|
এ সংগীতের সুর উদার এবং সুদূর থেকে শোনা যায় । এ সংগীতের সুর শুনে মনে হয় মানুষের চোখের সামনে একটি বিস্তীর্ণ তৃণভূমি ভাসতে থাকে । এটাই মঙ্গোলিয় জাতির লোক সংগীতের আকর্ষণীয় শক্তি । এ সংগীত মঙ্গোলিয় জাতি উদ্ভবের পাশাপাশিই সৃষ্টি করা হয় । এক হাজার বছরেরও বেশি সময় পুরানো এ সংগীত তৃণভূমি এবং মঙ্গোলিয় জাতির পশুপালন জীবনধারার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ । তা এ জাতির ইতিহাস , স্বভাব , মনোবল ও রীতি-নীতির পরিচায়ক । এ প্রসঙ্গে অন্তঃমঙ্গোলিয়ার সমাজ বিজ্ঞান একাডেমীর অধ্যাপক মান তু ফু বলেন ,
মঙ্গোলিয় জাতির সংগীতে মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যেকার সম্পর্ক বর্ণনা করা হয়ে থাকে । কারণ তৃণভূমির সঙ্গে পশুপালকদের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে । এ দু'টোর মধ্যে কোনো ব্যবধান নেই । সুতরাং এ সংগীতের সুরে তৃণভূমি ও পশুপালকদের উদারতা প্রকাশ পেয়েছে ।
অন্তঃর্মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের উচিমুসিং তৃণভূমি হল মঙ্গোলিয় জাতির লোক সংগীতের জন্মভূমি । এ তৃণভূমিতে ২ শ'রও বেশি লোক সংগীত প্রচলিত । এ অঞ্চলের সবাই মঙ্গোলিয় লোক সংগীত পরিবেশন করতে পারেন ।
মঙ্গোলিয় জাতির লোক সংগীত শুধু একটি সংগীত তা নয় , আসলে এটাও পশুপালকদের একটি নির্ভরযোগ্য জীবনযাত্রা । তা পশুপালকদের উত্পাদন ও শ্রমের একটি অপরিহার্য অংশও । বিস্তীর্ণ তৃণভূমিতে থাকার জন্য মঙ্গোলিয় জাতির লোক সংগীতের মতো উদারতা বজায় রাখা প্রয়োজন । সরকার ও স্থানীয় সংশ্লিষ্ট বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টায় মঙ্গেলিয় জাতির লোক সংগীতের আকর্ষণ ও প্রাণশক্তি আরো বেশি সৌর্য্যময় হয়ে ওঠছে । তৃণভূমির নিবিড় রীতি-নীতি ভিত্তিক এ সংগীতের সুর বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে । (থান ইয়াও খাং)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |