|
পাই চুই ই'র জন্ম ৭৭২ খ্রীষ্টাব্দে এবং তিনি মারা যান ৮৪৬ খ্রীষ্টাব্দে । চীনের সাহিত্যকর্মের ইতিহাসে তিনি ছিলেন একজন ব্যাপক প্রভাবশালী কবি ও সাহিত্যিক । তাকে 'কবির রাজা' বলা হয় । চীন ছাড়াও জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায়ও তার কবিতার বেশ প্রভাব রয়েছে । ছোট বেলায় যুদ্ধের কবল থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য পাই চুই ই বাধ্য হয়ে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতেন , নির্বাসিত জীবনযাপন করতেন ।
কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি রাজবংশের কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হন । তিনি সেকালের সমাজ ও রাজনীতির সংস্কারের ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন । এ সব বিষয়ে অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে পছন্দ করতেন । পরে মা মারা যাওয়ার কারণে তিনি জন্মস্থানে ফিরে যান । পারিবারিক কারণে রাজনৈতিক কাজে নিয়োজিত থাকার কৌতুহল হ্রাস পায় । জন্মস্থানে ফিরে যাওয়ার পর তিনি বৌদ্ধ ও তাও ধর্মীয় তত্ত্বের ক্ষেত্রে অধ্যবসায়ের সঙ্গে অধ্যায়ন করতেন । তার পর তিনি কর্মকর্তার পদ থেকে পদত্যাগ এবং আরামে শেষ জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন ।
পাই চুই ই'র বেশির ভাগ কবিতায় মানুষের সত্ জীবনযাপনের চর্চার কথা উল্লেখ করা হতো । এতে তার কবিতার অনেক বৈশিষ্ট্য এবং থাং রাজবংশ আমলের সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের জীবনযাপনের কথা ফুটে ওঠে । অবশ্যই তার বেশ কিছু কবিতায় জনগণের ওপর সেকালের রাজবংশের কঠোর শাসন ও কর্মকর্তাদের অশেষ শোষনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে । এ সব কবিতা ভবিষ্যতের সাহিত্যিক ও কবিদের সাহিত্যকর্মের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনুপ্রেরনা সৃষ্টি করেছে ।
পাই চুই ই'র কবিতায় থাং রাজবংশের সম্রাট এবং তার স্ত্রী ও অন্যান্য নারীদের মধ্যকার ভালবাসা ও রাজবংশের জীবনযাপনও বর্ণনা করা হয়েছে । এতে সম্রাটের ভালবাসার প্রশংসা করা হয়েছে । এর সঙ্গে সঙ্গে থাং রাজবংশের সম্রাট নারীদের পছন্দ করা এবং ভালবাসার জন্য যে রাজত্ব ত্যাগ করেছেন , তারও উল্লেখ করা হয়েছে । (থান ইয়াও খাং)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |