Web bengali.cri.cn   
বিদেশী সংবাদদাতাদের চোখে লিয়াওনিং প্রদেশ
  2010-12-07 20:36:28  cri

শেনইয়াং মহানগর

২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ইংরেজী, ফরাসী, জার্মান, রুশ ও জাপানী ভাষা বিভাগের বিদেশী বিশেষজ্ঞ আর চীনা ভাষা ও কোরীয় ভাষা বিভাগের চীনা সাংবাদিকদের নিয়ে গঠিত ১৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল 'বিদেশী সংবাদদাতাদের চোখে লিয়াওনিং প্রদেশ' শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী সাক্ষাত্কারমূলক সফর করেছে। প্রতিনিধি দলটি লিয়াওনিং প্রদেশের রাজধানী শেনইয়াং, ফুসুন, থিয়েনলিং আর ফুসিনসহ চারটি শহর সফর করেন। সফরকালে তাঁরা এ শহরগুলোর সামাজিক উন্নয়ন, বৈদেশিক বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক পর্যটনসহ নানা ক্ষেত্রের নতুন পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। এ অনুষ্ঠানে আমি প্রথমে এ চারটি শহরের সংক্ষিপ্ত পরিচয় জানিয়ে দেবো।

লিয়াওনিং প্রদেশের রাজধানী শেনইয়াং ২০০৮ সালের অলিম্পিক গেমসের ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজক শহরের অন্যতম হিসেবে শেনইয়াংবাসীদের ফুটবল খেলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে। শেনইয়াং হচ্ছে লিয়াওনিং প্রদেশের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং উত্তর-পূর্ব চীনের পণ্য স্থানান্তরের প্রাম্ভিক স্থান। এখানে উত্তর-পূর্ব চীনের সবচেয়ে বড় বেসামরিক বিমান বন্দর ও রেলপথে মালামাল পরিবহনের স্টেশন রয়েছে। ভারী শিল্প উন্নয়নের লক্ষ্যে শেনইয়াং টেকসই উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে নগরায়নের একত্রীকরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং 'আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কমিউনিটি' প্রতিষ্ঠা করছে। শেনইয়াং অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে শেনইয়াং, আনশান, ফুসুন, বেনসি, ইয়াংখো, ফুসিন, লিয়াওইয়াং ও থিয়েনলিংসহ মোট আটটি শহর।

শেনফু নতুন নগরের নকশা

ফুসুন লিয়াওনিং প্রদেশের পূর্ব দিকে অবস্থিত এবং চিলিন প্রদেশ সংলগ্ন। আঞ্চলিক উন্নয়ন কমিউনিটিতে ফুসুনের শহরায়নের মাত্রা অপেক্ষাকৃত বেশি। উল্লেখ্য যে, শেনইয়াং ও ফুসুন এ দুটি বড় শহরের মধ্যে শেনফু নামে একটি নতুন নগর নির্মিত হচ্ছে এবং দুটি শহরের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। ফুসুন চীনের পুরানো শিল্প কেন্দ্র এবং কয়লা নগর নামে সুপরিচিত। এখানে বিশ্বের সর্বাধিক অর্থাত্ দশ লাখ টন উচ্চ শ্রেণীর ইথিলিন উত্পাদন কেন্দ্র রয়েছে। শহরের নকশা ও শিল্প উন্নয়ন ক্ষেত্রে ফুসুন ভবিষ্যতমুখী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। তা ছাড়া, এখানকার সুদীর্ঘ ইতিহাস ও গভীর সংস্কৃতি জনবিদ্দিত। প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক চীনের সবচেয়ে বিখ্যাত স্মৃতি জাদুঘরের অন্যতম লেইফাং স্মৃতি জাদুঘরে এসে পরিদর্শনে আসেন। এ নবীন সৈনিক নিজের নিঃস্বার্থ ও অহঙ্কারহীন আচার-আচরণ দিয়ে চীনা জাতির মাঝে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

সৈনিক লেইফাং'র মূর্তির সঙ্গে সিআরআই'র প্রতিনিধি দল

থিয়েনলিং লিয়াওনিং প্রদেশের উত্তরাংশে অবস্থিত। এর দক্ষিণ দিকে শেনইয়াং শহর সঙ্গে, পশ্চিম দিকে অন্তঃর্মঙ্গোলীয় স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল আর উত্তর দিকে রয়েছে চিলিন প্রদেশ। এ শহরের পরিবহন ব্যবস্থা সুবিধাজনক এবং এর ভৌগলিক প্রাধান্য স্পষ্ট। এ শহরের পুরনো অঞ্চল পাহাড়ের পাদদেশে আর নদীর পাশে গড়ে উঠেছে। নতুন অঞ্চলকে উত্তর চীনের একটি মনোরম পানির নগর হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছে। থিয়েনলিং খনিজ, কৃষি ও পর্যটন সম্পদে সমৃদ্ধ এবং গভীর সাংস্কৃতিক অবস্থান অর্থবহ।

ফুসিন অতীতকালে কয়লা ও বিদ্যুত্ নগর নামে পরিচিত ছিল। গত শতাব্দীর ৮০'র দশকের পর কয়লা সম্পদ শেষ হওয়ায় ফুসিন এক সময় স্থবির হয়ে পড়ে। একাবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই চীনের প্রথম সম্পদ ঘাটতি শহরের রূপান্তরের পরীক্ষামূলক শহর হিসেবে ফুসিন নতুন জ্বালানি উন্নয়নের পথ অন্বেষণ করতে শুরু করে।

ফুসিন চীনের বায়ুসম্পদ সমৃদ্ধ অঞ্চলে অবস্থিত। এ মূল্যবান সম্পদ কাজে লাগিয়ে ফুসিন বায়ুশক্তি থেকে বিদ্যুত্ উত্পাদনের কাজ জোরদার করেছে। এ পর্যন্ত ফুসিনের বায়ুশক্তি থেকে বিদ্যুত্ উত্পাদন ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৭৫ হাজার কিলোওয়াট। ২০১০ সালের শেষ দিক পর্যন্ত তা ১০ লাখ কিলোওয়াট ছাঁড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040