ড্র্যাগন গাউডি

    একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক নগর হিসেবে বার্সেলোনার নগর পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়াও উল্লেখযোগ্য। সম্পূর্ণভাবে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বজায় রেখে টেকসই উন্নয়নের আধুনিকায়ন করা হয়েছে বার্সেলোনায়। ফেরান ফেরের আমাদেরকে এই বন্দর নগরীর উন্নয়ন অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন,

    "১৯৯২ সালের ২৫তম অলিম্পিক গেমস বার্সেলোনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সুযোগ এনে দেয়। অলিম্পিক গেমস শুরু হওয়ার ৬ বছর আগে বার্সেলোনা এর আয়োজক হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর আমরা এ সুযোগে মৌলিকভাবে শহরের উন্নয়ন পদ্ধতি পরিবর্তনের পরিকল্পনা উত্থাপন করি। সে সময় থেকে নগর পরিকল্পনা একটি নতুন পথ অন্বেষণ করে। নির্মাণের প্রক্রিয়ায় আমরা আগের শহর ও অঞ্চল ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকি। বরং নতুন ব্যবসায়িক অঞ্চল গড়ে তুলে এ দু'টি অংশকে সংযুক্ত করি। ফলে বসতবাড়ি, কর্মক্ষেত্র এবং শিল্প উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রীতি বজায় থাকে।

    বার্সেলোনা শহরের 'সর্বশ্রেষ্ঠ চর্চা এলাকা'র আদল গড়তে আমরা উদ্দীপনাময় উন্নয়নের প্রাণশক্তি উপভোগ করি। এর পাশাপাশি এখানে আরো গভীরভাবে 'সুন্দর শহর, সুন্দর জীবন' প্রসঙ্গ দেখানো হয়েছে। আয়নার প্রতিবিম্বের মধ্য দিয়ে বহুমুখী সাংস্কৃতিক জীবন এবং নতুন ও পুরনো শহর ও অঞ্চলের উন্নয়ন প্রদর্শিত হয়েছে। দর্শকরা ছোট্ট আয়নার বিশ্বে বর্তমানে দাঁড়িয়ে ইতিহাস পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে পারবেন।

    বার্সেলোনা প্যাভিলিয়নের প্রধান ফেরান ফেরের এবারের সাংহাই বিশ্বমেলার প্রতিপাদ্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নয়নে প্রতিপাদ্যটির গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে। তিনি বলেন,

    "সুন্দর শহর, সুন্দর জীবন' এই প্রতিপাদ্য খুবই সংগত এবং বিশ্বমেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে চীন এটা নির্ধারণ করেছে। বর্তমান সারা বিশ্বের ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ শহরে থাকেন। সুতরাং কিভাবে শহরে উন্নতমানের জীবন নিশ্চিত করা যায় তা অবশ্যই আমাদের দৃষ্টির মূলে রাখা উচিত। পাশাপাশি এবারের সাংহাই বিশ্বমেলার প্রতিপাদ্য আমাদের জীবনে শহরের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানকে আরো দৃঢ় করেছে। তাছাড়া বার্সেলোনার প্রদর্শনী প্রকল্পের নিজের প্রতিপাদ্য রয়েছে। এটা হলো 'বার্সেলোনা, শহরের ঘাঁটি'। ছ'মাসব্যপী বিশ্বমেলা চলাকালে দু'টি শহরের 'সর্বশ্রেষ্ঠ চর্চা এলাকা'র প্রদর্শনী প্রকল্প ছাড়া আমরা এটিকে ঘাঁটি হিসেবে চীনে বার্সেলোনাকে তুলে ধরে চীনা জনগণ এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আমাদের উন্নত শহর অর্থনীতি, সুষ্ঠু ব্যবসায়িক উন্নয়ন পরিবেশ ব্যাখ্যা করবো, যাতে আরো বেশি পর্যটক বার্সেলোনা আসতে আগ্রহী হয় এবং আরো বেশি চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠান বার্সেলোনায় পুঁজি বিনিয়োগে উত্সাহিত হয় এবং তার মধ্য দিয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক ও আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করা যায়।

    যদি আপনারা কাছে থেকেই বার্সেলোনার সুন্দর শহর দৃশ্য, ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি এবং তেজী আধুনিক আমেজ অনুভব করতে চান, তাহলে আপনাদের বার্সেলোনার শহরের 'সর্বশ্রেষ্ঠ চর্চা এলাকা'র প্রদর্শনী মিস করা চলবে না। আমি বিশ্বাস করি বর্ণোজ্জ্বল এই ভূমধ্য সাগরের মুক্তা আপনাদেরকে অভূতপূর্ব জাঁকজমকপূর্ণ উত্সব দেখিয়ে দেবে।