Web bengali.cri.cn   
সাংহাই ভ্রমণ
  2010-03-23 17:21:34  cri
২০১০ সালের সাংহাই বিশ্বমেলা উদ্বোধনের সময় দিন দিন ঘনিয়ে আসছে। চীনের বিশ্বমেলা আয়োজকরা যথেষ্ঠ উত্সাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে মেলার প্রস্তুতিমূলক কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। বিশ্বমেলা পার্কের ব্যবস্থাপনা থেকে প্যাভিলিয়ন নির্মাণ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সবাই মেলার সূচনা দিনের জন্য অপেক্ষা করছেন। সারা পৃথিবী যাতে এক সাথে বিশ্বমেলার সুযোগ-সুবিধা ও সাফল্য উপভোগ করতে পারে সে ব্যাপারে যেন এক ধরণের মতৈক্য হয়েছে চীনা জনগণের মধ্যে।

প্যাভিলিয়নগুলো যেমন শেষ মুহুর্তের নির্মাণ এবং প্রদর্শনীর প্রস্তুতিমূলক কাজ নিয়ে ব্যস্ত, তেমনি সাংহাইয়ের পর্যটন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোও বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল থেকে আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানোর লক্ষ্যে সেবামান উন্নত করার কাজে ব্যস্ত।

আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেকে নিয়ে যাব বিশ্বমেলা উপলক্ষে সাংহাইয়ের বিভিন্ন হোটেল ও পর্যটন সংস্থার প্রস্তুতিমূলক কাজের বর্তমান অবস্থা জানাতে।

নতুন চিন চিয়াং হোটেল

দুপুরবেলায় নতুন চিন চিয়াং হোটেলের সহকারী প্রধান পাচক শি ই মিং অতিথিদের জন্য দুপুরের খাবার পরিবেশনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ৫৭ বছর বয়সী শি ৩৮ বছর ধরে এই কাজ করছেন। তিনি অনেক বার গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে পাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এপেক থেকে 'সাংহাই পাঁচ-জাতি শীর্ষ সম্মেলন' পর্যন্ত পাচক শি একাধিকবার গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ভোজসভার আতিথেয়তা কাজে অংশ নিয়েছেন এবং তার অভিজ্ঞতা খুবই সমৃদ্ধ। এবারের বিশ্বমেলা চালাকালে নতুন চিন চিয়াং হোটেল বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রীয় ভোজসভা আয়োজনের দায়িত্ব পালন করবে। বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ, শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও তাদের স্ত্রীদের সুস্বাদু খাবার খাওয়ানোর জন্য পাচক শি এবং তার সহকর্মীরা গত বছরের আগস্ট মাস থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন,

খাবারের ব্যাপারে আমরা অব্যাহতভাবে আলোচনা, পরিকল্পনা এবং গবেষণা করেছি। এ মেলা চলাকালে চার ধরণের ভোজের আয়োজন থাকবে। সেগুলো হলোঃ প্রেসিডেন্ট ভোজ, বৈদেশিক ও বাণিজ্যিক ভোজ, উচ্চ পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভোজ এবং বিশ্বমেলা ভোজ। প্রতিটি ভোজে আবার দু' ধরনের মেনু থাকবে।

পাচক শি বলেন, বিশ্বমেলা হচ্ছে চীনা সুস্বাদু খাবার প্রদর্শন করার শ্রেষ্ঠ সুযোগ। রাষ্ট্রীয় ভোজসভার দায়িত্ব পাওয়ার পর হোটেলের খাদ্য বিভাগ পণ্য গবেষণা ও উন্নয়ন গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে। চারটি ভোজের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ভোজের গবেষণা ও পরিকল্পনায় চার মাসেরও বেশি সময় লেগেছে। স্বাদের সংযুক্তি, উপকরণের ব্যবহার এবং রান্নার পদ্ধতি নিয়ে বার বার পরীক্ষা চালানো হয়েছে। বিশ্ব মেলা চলাকালে দেশী-বিদেশী অতিথিদের সামনে যে কোন একটি খাবারকে উত্কৃষ্ট হস্তশিল্প পণ্যে সঙ্গে তুলনা করা যাবে। পাচক শি চীনা খাবার বিভাগের প্রধান পাচক হুয়াং কুওপিংয়ের গবেষণা করা 'চু হুয়া তৌ ফু' অর্থাত ক্রিস্যান্থিম্যাম বিনকাডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন,

'চু হুয়া তৌ ফু'

'চু হুয়া তৌ ফু নিয়ে ৪/৫ বার পরীক্ষা চালানো হয়েছে। অবশেষ তা ফলপ্রসূ হয়েছে। রান্না করার সময় পানির নিচে হাত দিয়ে তৌ ফু কাটা হয়। ফলে তা সত্যিকারের ক্রিস্যান্থিম্যামের মতো হয়ে ওঠে। যারা এই খাবারের রান্না পদ্ধতি দেখেননি, তারা এটা কল্পনাও করতে পারবেন না।'

অনুমান করা হচ্ছে, সাংহাই বিশ্বমেলা চলাকালে ৭ কোটি দর্শকের মধ্যে ৫ কোটি ৮৫ লাখ চীনের অন্য প্রদেশ এবং বিদেশ থেকে আসবেন। এতো বিপুল সংখ্যক অতিথির অভ্যর্থনা সাংহাইয়ের অতিথিশালা ও হোটেলগুলোকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। কর্মীবাহিনীকে সুপ্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে ২০০৮ সালের শেষ দিক থেকে সাংহাইয়ের বিভিন্ন অতিথিশালা ও হোটেল পরপর 'বিশ্বমেলা জ্ঞান', 'বিশ্বমেলা ইংরেজ' ও 'বিশ্বমেলা আদবকায়দা'সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচী চালিয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন সেবা-প্রযুক্তিরও উন্নতি সাধন করা হয়।


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040