|
বাঘ বর্ষের তৃতীয় ও চতুর্থ দিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পর্যটক সিসুয়াংপাননায় ভ্রমণ করতে এসেছেন । এ দুই দিনে পর্যটকদের সংখ্যা আলাদা আলাদাভাবে ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে । বাঘ বর্ষের ষষ্ঠ দিনে যারা নিজেরা গাড়ি চালিয়ে এসেছেন , তারা তখনো সেখানে অবস্থান করছিলেন । সেখানকার বৃক্ষ উদ্যান , তাই জাতির পার্ক ও বন্য হাতির উপত্যকাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের দৈনিক সংখ্যা ছিল ১০ হাজারেরও বেশি ।
যখন চীনের অধিকাংশ প্রদেশ এবং ইয়ুননান প্রদেশের অধিকাংশ জায়গায় তীব্র শীত পড়েছিল , তখন সিসুয়াংপাননায় বসন্ত কাল চলছিল , নানা ধরণের ফুল ফুটছিল এবং সূর্যের আলোও স্নিগ্ধ ছিল । পাশাপাশি এখানকার সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ , সুদীর্ঘকালের বেইয়ে সংস্কৃতি , বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতির রংবেরংয়ের রীতিনীতি , নানা ধরণের সুস্বাদু খাবার , বিবিধ ফলমূল এবং বণার্ঢ্য পর্যটন পণ্যের কারণে এখন সিসুয়াংপাননা শীতকালে চীনের বিভিন্ন স্থানের পর্যটকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণের গন্তব্যস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে । বর্তমানে সিসুয়াংপাননা উত্তর চীনের মানুষের অবকাশ ও ছুটি কাটানোর একটি সুন্দর স্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ।
সু সিয়াও এক্সপ্রেস সড়ক চালু হওয়ার পর অনেক পর্যটক নিজেরা গাড়ি চালিয়ে সিসুয়াংপাননায় ভ্রমণ করতে শুরু করেছেন । এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে , বসন্ত উত্সবের প্রথম দিন থেকে বাঘ বর্ষের পঞ্চম দিন পর্যন্ত পর্যটকদের ৩২ হাজার ৮২৩টি গাড়ি সিসুয়াংপাননায় প্রবেশ করেছে এবং পর্যটকদের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬৪ হাজার ১১৫জন । এটি ইতিহাসের রেকর্ড ছিল ।
এছাড়া বিচিত্র কার্যক্রমও বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সংক্রান্ত জাতীয় সংস্কৃতি ও বৈজ্ঞানিক পরিচিতিমূলক যাদুঘর , তাই জাতির পানি বিচ্ছুরণ উত্সব , বন্য হাতির উপত্যকার হাতির পরিবেশনা , আদি জংগলের ময়ুর উড়ানো , মেংচিংলাই সীমান্ত এলাকার আচার আচরণ পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক সমাদার পেয়েছে । বহু সংখ্যালঘু জাতির সংস্কৃতির প্রদর্শনকারী লানছাংচিয়াং-মেকোং নদীর রাত নামক অগ্নুত্সব এবং মেংপালানাসি নাচগানের অনুষ্ঠানও পর্যটকদের জন্য অফুরন্ত আনন্দ এনে দিয়েছে ।
বসন্ত উত্সবের পর্যটন বাজার সমৃদ্ধ করে তোলার জন্য ইয়ুননান প্রদেশের বিভিন্ন স্থান নানা ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে ।
এ বছর বসন্ত উত্সবের সময় উত্তর চীনের অনেক স্থানে প্রবল তুষার পড়েছিল । পাশাপাশি ইয়ুননান প্রদেশের থেং ছোং শহরের বিমানবন্দর বহু অভ্যন্তরীণ বিমান ফ্ল্যাট চালু করেছে । ফলে এ বছর থেংছোংয়ের পর্যটন বাজার বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে । বিশেষ করে পেইচিং , সাংহাই , সিছুয়ান ও কুইচৌ এবং এ প্রদেশের অন্যান্য স্থানের অনেক পর্যটক থেংছোংয়ে এসেছেন । বসন্ত উত্সবের সময় থেং ছোংয়ের রেহাই উষ্ণপ্রস্রবন, আগ্নেয়গিরি দর্শনীয় স্থান , ইয়ুনফোং পাহাড় এবং চীনের প্রথম সুবিখ্যাত প্রাচীন নগর হে সুন নানা স্থানের অনেক পর্যটককে আকৃষ্ট করেছে ।
ইয়ুননান প্রদেশের লু ফোং বিশ্বের ডাইনোসোরের স্বদেশভূমি বলে পরিচিত । বিশ্ব ডাইনোসোর উপত্যকা দর্শনীয় স্থান উন্মুক্ত হওয়ার পর লু ফোংয়ের সুনাম সারি পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে । অধিক থেকে অধিক পর্যটক এখানে ভ্রমণ করতে আসেন । এ পর্যন্ত দেশ বিদেশের ৯৬ হাজার পর্যটক বিশ্ব ডাইনোসোর উপত্যকায় এসেছেন । এ থেকে আয় হয়েছে ৬৩ লাখ ইউয়ান ।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |