|
২০০৮ সালের প্রথম দিকে চীন সরকার 'কুয়াংশির উত্তর উপসাগরীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নের পরিকল্পনা' অনুমোদন করেছে। এর প্রধান আওতার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কুয়াংশির নাননিং, পেইহাই, ছিনচৌ, ফাংচেনকাং আর ইউলিন, ছোছু শহরের পরিবর্তন ও পণ্য স্থানান্তর। এখানে রয়েছে চীনের ষষ্ঠ শুল্ক অপরিশোধিত বন্দর এলাকা। এর নিকটেই পাইশেসহ অন্যান্য শহরগুলোও সক্রিয়ভাবে আসিয়ানের দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ ও জোরদার করছে।
ছোছু শহরের চারটি জেলা ভিয়েতনাম সংলগ্ন। এ শহরে জাতীয় পর্যায়ের প্রথম শ্রেণীর বন্দর রয়েছে তিনটি এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর বন্দর রয়েছে চারটি। সীমান্ত অঞ্চলের অধিবাসীদের বিনিময় বাজার রয়েছে ১৩টি। এ শহর হচ্ছে চীনের স্থল বন্দরের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি থাকা একটি জেলা পর্যায়ের শহর। চীন ও আসিয়ানের অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ছোছু শহর চীন ও ভিয়েতনামের সীমান্ত সংলগ্ন শহরের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা অঞ্চলের নির্মাণ কাজ দ্রুততর করছে। যাতে সীমান্ত বন্দরে আসা-যাওয়া আর বাণিজ্যের সুবিধাজনক মান আরো বাড়ানো যায়।
পাইশে শহর কুয়াংশির পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এ শহরটিও ভিয়েতনাম সংলগ্ন। পাইশে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, কাম্পুচিয়া, ইন্দোনেশিয়া আর সিঙ্গাপুরসহ নানা দেশের সঙ্গে খনিজ শিল্প, কৃষি ও পর্যটনসহ নানা ক্ষেত্রে 'আসিয়ান দেশগুলোতে গিয়ে বিনিয়োগ আকর্ষণের প্রস্তাব' প্রণয়ন করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাইশে আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে ৩৬টি প্রকল্প সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ১৪.৬৫৩ বিলিয়ন ইউয়ান রেনমিনপি। ২০০৮ সালে পাইশের সাতটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ভিয়েতনামের সঙ্গে রপ্তানি মূল্য ১ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। (ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |