|
আন্তর্জাতিক উদ্যান উত্পাদনকারী সমিতির চেয়ারম্যান দুক ফাবো সম্প্রতি পূর্ব চীনের শানতুং প্রদেশের ছিংতাও শহর পরিদর্শন করেছেন । পরিদর্শনের সময় তিনি বলেন , ছিংতাও শহরের লি ছাং পাইকোওশান বন পার্ক ২০১৪ সালের বিশ্ব উদ্যান মেলার খুবই উপযোগী হবে । তিনি আশা করেন যে , এ উদ্যান মেলা অবশ্যই ছিংতাওয়ের জন্যে চিরকালের সম্পদ রেখে যাবে ।
২০১৪ সালের বিশ্ব উদ্যান মেলার স্বাগতিক শহরের যোগ্যতা পাওয়ার পর এ উদ্যান মেলার বিষয় বরাবরই ছিংতাওবাসীদের একটি আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে । কেমন করে এ উদ্যান মেলার স্থাপত্য নির্মাণ করা হবে ? এ মেলা ছিংতাওয়ের জন্যে কি কি এনে দেবে ? তবে আন্তর্জাতিক উদ্যান উত্পাদনকারী সমিতির চেয়ারম্যান ফাবোর ছিংতাও পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব উদ্যান মেলার স্থাপত্যের ডিজাইন ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের ধারণা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ।
১৪ নভেম্বর সকালে ফাবো ছিংতাওয়ের লিছাং পাইকোওশান বন পার্কে সরেজমিন পরিদর্শনের সময় বলেছেন , আমরা আশা করি , আসন্ন বিশ্ব উদ্যান মেলা ছিংতাওয়ের জন্যে একটি চিরকাল অসমাপ্ত উদ্যান মেলা রেখে যাবে । এ মেলা পরে ছিংতাওয়ের পর্যটনের একটি সম্পদে পরিণত হবে এবং কর্মব্যস্ত শহরের হৈচৈ থেকে মুক্ত ছিংতাওবাসীদের প্রকৃতি উপভোগের একটি স্থানে পরিণত হবে ।
১৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিক উদ্যান উত্পাদনকারী সমিতির চেয়ারম্যান ফাবো ও তার সহযাত্রীরা ছিংতাওয়ে পৌঁছান । এদিন বিকেলে তিনি পর পর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ছিংতাও কমিটির সম্পাদক ইয়ান ছি চুন ও ছিংতাওয়ের মেয়র সিয়া কেংয়ের সংগে সাক্ষাত করেন । এরপর এক অনুষ্ঠানে ফাবো "২০১৪ সালের বিশ্ব উদ্যান মেলার স্বাগতিক হওয়ার স্বীকৃতিমূলক পত্র" মেয়র সিয়া কেংয়ের হাতে অর্পণ করেন । এটি স্বাক্ষর বহর করে যে , ছিংতাওয়ের ২০১৪ সালের বিশ্ব উদ্যান মেলার স্বাগতিক হওয়ার জন্যে আবেদনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং এ মেলার প্রস্তুতিমূলক কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ।
পরিদর্শনের সময় ছিংতাও বিশ্ব উদ্যান মেলার পরিকল্পনার কাজে নিয়োজিত চীনের নগর পরিকল্পনা ও ডিজাইন আকাডেমীর বিশেষজ্ঞ হান পিং ইয়ুয়ে পাইকোওশানের অবস্থান ও এর সুবিধাজনক দিক সম্পর্কে ফাবোকে অবহিত করেন । তিনি বলেন , পেশাগত দিক থেকে বিবেচনা করলে এখানে পাহাড় ও জলের সুন্দর সংমিশ্রন ঘটবে । উদ্যানের দিক থেকে বিবেচনা করলে পাইকোওশানের পেছনে থাকা পাহাড় একটি পটভূমিকা হয়ে থাকবে । এ জায়গা মেলা অনুষ্ঠিত হলে তা নানা ধরণের উদ্ভিজ ও ফুলের উপযোগী হবে ।
ফাবো পাইকোওশানের মনোরম দৃশ্যে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন । তিনি বিশেষজ্ঞ হানের কাছে প্রশ্ন করেন যে , কেমন করে এখানকার জীবের বৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা যাবে ? তার এ প্রশ্নের উত্তরে হান পিং ইয়ুয়ে বলেন , পাইকোওশানে এমনিতে তিন বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল রয়েছে । এ বনাঞ্চল অবশ্যই বজায় থাকবে । যেসব পাহাড়ে কোনো গাছপালা নেই , সেসব পাহাড়ে নানা ধরণের গাছপালা লাগানো হবে । যাতে সেখানে একটি সুষ্ঠু প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে । তখন ছোটখাটো জীবজন্তু ও নানা ধরণের পাখি সেখানে বসবাস করবে যেখানে সেখানে কিছু ছোট পথ নির্মান করা হবে । তবে যাতে ছোটখাটো জীবজন্তুর কষ্ট না হয় , সেদিকে খেয়াল রাখা হবে ।
পরিদশনের পর ফাবো ছিংতাও বিশ্ব উদ্যান মেলার প্রস্তুতিমূলক কাজে অপার সন্তোষ প্রকাশ করেন । তার দৃঢ বিশ্বাস , ২০১৪ সালের বিশ্ব উদ্যান মেলা নিশ্চয়ই সাফল্যমন্ডিত হবে । এ মেলা বিশ্ববাসীদের মনে গভীর রেখাপাত করবে । তিনি বিশ্বাস করেন যে , ছিংতাও বিশ্ব উদ্যান মেলা একটি অত্যন্ত সুন্দর পার্কে পরিণত হবে । এ মেলা পরিদর্শনকারীদের কাছে প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য্য দেখাবে । পাশাপাশি পরিদর্শনকারীরাও শহরের মধ্যে প্রকৃতির মাধুর্য্য উপভোগ করতে পারবেন ।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |