Web bengali.cri.cn   
দেশি-বিদেশি মুসলমানগণ পেইচিংয়ের নিউচিয়েতে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন
  2009-12-03 20:47:07  cri

২৮ নভেম্বর ছিল মুসলমানদের পবিত্র উত্সব -- ঈদুল আজহা। চীনে হুই, উইগুর, হাসাক, উজবেক ও খালখাস জাতিসহ দশটি জাতির প্রায় ২ কোটি মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। এ দিন চীন, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও মিশরসহ বিভিন্ন দেশের ছয় হাজারেরও বেশি মুসলমান পেইচিংয়ের প্রাচীন ও বৃহত্তম মসজিদ – নিউচিয়ে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে উত্সব উদযাপন করেছেন।

পেইচিংয়ের নিউচিয়েতে হুই, মান, উইগুর ও হান জাতিসহ মোট ২৭টি জাতির লোকজন বসবাস করেন। প্রতি বছর কোরবানি ঈদের দিন মুসলমানরা নিউচিয়ে মসজিদে এসে নামাজ পড়েন এবং পশু কোরবানি দেন। সকাল সাতটায় সিআরআই'র সংবাদদাতা নিউচিয়ে মসজিদে গিয়ে দেখেছেন, সেখানে অনেক মুসলমান সমবেত হয়েছেন এবং পরস্পরকে ঈদ মুবারক জানাচ্ছেন। সকাল নয়টায় ঈদের নামাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। প্রথমে ইমাম মুসলমানদের উদ্দেশ্যে কোরান শরীফের আয়াত ব্যাখ্যা করে শোনান। পরে মুসলমানগণ ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন। মসজিদে ৫০টিরও বেশি গরু ও ছাগল কোরবানি দেয়া হয়েছে।

৬৫ বছর বয়সী ওয়াং জুন হো বলেন, আজ নিউচিয়ে এসে বিভিন্ন জাতির মুসলমানদের সঙ্গে একসাথে বিনিময় করতে পেরে খুব খুশি লাগছে। তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে একটি ছাগল আল্লার নামে কোরবানি দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আজ সবাই খুব খুশি। ভোর বেলায় উঠে গোসল করে পরিষ্কার কাপড় পড়ে আনন্দচিত্তে মসজিদে এসেছি এবং পরস্পরের সঙ্গে ভাব বিনিময় করে আমাদের সম্পর্ককে আরো সুসংবদ্ধ করেছি।'

পেইচিংয়ের মুসলমানগণ ছাড়াও পেইচিংয়ে কর্মরত, বসবাসরত ও ভ্রমণকারী বিভিন্ন দেশের মুসলমানরাও নিউচিয়ে এসে ঈদুল আজহার নামাজে অংশ নিয়েছেন। উত্সবের দিনে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে থাকতে না পারলেও পেইচিংয়ে কোরবানীর ঈদ উদযাপন করতে পেরে তাদের ভালোই লেগেছে। সিনচিয়াং থেকে আসা উইগুর জাতির যুবক এরতি পেইচিংয়ে লেখাপড়া করেন। তিনি বলেন, 'আমার বাড়ি এখানে নয়। আজ বাড়িতে ফোন করেছি। আজ আমি একটি ভালো রেস্তোঁরায় গিয়ে কাবাব ও বিরিয়ানি খাবো এবং ভালো করে ঈদের আনন্দ উপভোগ করবো।'

সিনচিয়াং থেকে আসা খালখাস জাতির যুবক মামান খুব সৌভাগ্যবান। তাঁর ঈদের ছুটি পাঁচ দিন। তিনি বড় ভাইয়ের সঙ্গে খালখাস স্বায়ত্তশাসিত বিভাগ থেকে পেইচিং এসে এখানে থাকা তার দশ জন আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে পেইচিংয়ে একটি বিশেষ উত্সব উদযাপন করেছেন। তিনি বলেন, 'কোরবানী ঈদের জন্য আমাদের পাঁচ দিন ছুটি দেয়া হয়েছে। আমার পরিবারের দশ জন সদস্যের সঙ্গে নামাজ পড়া ছাড়া অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে একসাথে বাইরে বেড়াতে যাবো এবং ভালো করে পেইচিংকে ঘুরে ঘুরে দেখবো। এ দিন আমরা পরস্পরকে নিজেদের সুন্দর উপহার দিই। বাসায় অনেক রকম খাবার রান্না করেছি। আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরা বেড়াতে আসবেন।'

পেইচিং বিদেশী ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ের মালয়েশীয় অধ্যাপক আয়াং সারিয়ান এ দিন মালয়েশিয়ার ৫০ জন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে নিউচিয়ে'র মসজিদে এসেছেন। তিনি বলেন, 'এখানকার কোরবানির ঈদ ঠিক মালয়েশিয়ার মতোই। এখানেও নামাজ পড়া ও পশু কোরবানি দেয়া যায়। এর মাধ্যমে আল্লার কাছে আমাদের শ্রদ্ধা প্রদর্শিত হয়। আজ নিউচিয়েতে অনেক মুসলমান এসেছেন। তাঁরা সবাই খুব আন্তরিক।'(ইয়ু কুয়াং ইউয়ে)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040