Web bengali.cri.cn   
ম্যাকাওকে দেখা
  2009-12-15 20:56:01  cri
    ম্যাকাও পর্যটন ব্যুরোর মহাপরিচালক আন তুংলিয়াং বেশ কয়েকবার বলেছেন, ম্যাকাওয়ের পর্যটন ব্যুরো পর্যটকদের জন্য বহুমুখী পর্যটন বাজার ও পণ্যের বহুমুখী দিকগুলো ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নিজেদের পর্যটন সম্পদকে কাজে লাগিয়ে সাংস্কৃতিক পর্যটনের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি বৈচিত্র্যময় পর্যটন লাইনের ডিজাইন এবং আঞ্চলিক পর্যটনের ব্র্যান্ড তৈরী করবে।

    ম্যাকাও চীনের কোলে ফিরে আসার আগে পর্যটকরা প্রধানতঃ হংকং থেকই আসতেন। ১৯৯৯ সালে ম্যাকাও-এ বেড়াতে আসা দেশী-বিদেশী পর্যটকের মোট সংখ্যা ছিল ৭৪ লাখ ৪০ হাজার। ২০০৩ সালের জুলাই মাসে মূলভূভাগের অধিবাসীদের হংকং ও ম্যাকাও-এ 'অবাধ ভ্রমণ' ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তখন থেকেই ম্যাকাও-এ আসা পর্যটকের সংখ্যার কাঠামোগত পরিবর্তন হয়েছে। মূল-ভূভাগের পর্যটকের সংখ্যা প্রতি বছর একটানা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে 'অবাধ ভ্রমণ' এই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে ম্যাকাও-এ আসা মূল-ভূভাগের পর্যটকের সংখ্যা ম্যাকাও-এ বেড়াতে আসা পর্যটকের মোট সংখ্যার ৫০ শতাংশ। ২০০৮ সালে মোট ২ কোটি ২৯ লাখ দেশী-বিদেশী পর্যটক ম্যাকাও-এ বেড়াতে এসেছেন। তা চীনের কোলে ফিরে আসার আগের চেয়ে বলতে গেলে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। যদিও বর্তমানে পর্যটন শিল্পের পরিবেশ খুব একটা ভালো নয়, তবুও ম্যাকাও আগের প্রাণশক্তিতে পুনরায় তার পর্যটন ব্যবস্থার কাজ শুরু করেছে। ম্যাকাওয়ের পর্যটন ব্যুরোর মহাপরিচালক আন তুংলিয়াং বলেন,

    ম্যাকাওয়ের পর্যটন শিল্প ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তা বিশ্বের আর্থিক সংকট এবং এ/এইচ-১ এন-১ ফ্লু'র প্রভাব থেকে এখনো মুক্ত। গত তিন মাস ধরে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় গত আগস্ট মাসে তা ৬.৪১ শতাংশ বেশি, সেপ্টেম্বর মাসে ৩.৭৫ শতাংশ বেশি এবং অক্টোবর মাসের অস্থায়ী পরিসংখ্যানও ৫.১৯ শতাংশ বেশি। অন্যান্য অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রার ইতিবাচক তথ্যের বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে পর্যটন শিল্পের অব্যাহত পুনরুদ্ধারের দিকে এগিয়ে যাওয়া আমাদের একমাত্র প্রত্যাশা।

    আসলে ২০০২ সালে ম্যাকাও বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের সরকার ইউনেস্কোর কাছে 'ম্যাকাও ঐতিহাসিক অঞ্চল' বিশ্ব সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি হিসেবে তালিকাভূক্তির জন্য আবেদন জানায়। প্রায় ৩ বছরের চেষ্টার মধ্য দিয়ে ২০০৫ সালের ১৫ জুলাই ইউনেস্কোর ২৯তম বিশ্ব পুরাকীর্তি কমিটির সম্মেলনে 'ম্যাকাও ঐতিহাসিক অঞ্চল' বিশ্ব সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি হিসেবে 'বিশ্ব পুরাকীর্তি তালিয়ায়' অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তখন থেকেই প্রাচ্য ও পশ্চিমা সাংস্কৃতিক যোগাযোগ প্রতিফলনের ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলো চীনের ৩১তম বিশ্ব পুরাকীর্তিতে পরিণত হয়েছে।

    'ম্যাকাও ঐতিহাসিক অঞ্চল' হচ্ছে চীনের ভূভাগের সবচেয়ে পুরানো, সবচেয়ে বড় মাত্রার ও সম্পূর্ণভাবে সংরক্ষিত এবং প্রাচ্য ও পশ্চিমা স্থাপত্যের সংমিশ্রিত ঐতিহাসিক অঞ্চল। ম্যাকাওয়ের পুরনো অঞ্চলকে কেন্দ্র করে তার আশপাশের মহাচত্বর ও সড়কগুলো এক সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাচীনকালের ২০টিরও বেশি স্থাপত্য।

    ২০০৬ সালে ম্যাকাও কুয়াংতুং ও হংকংয়ের সঙ্গে 'ক্যান্টনীজ অপেরা' এবং 'ঔষধি সম্বন্ধীয় চা' আবেদন প্রকল্প হিসেবে সে বছরের প্রথম দফা 'জাতীয় পর্যায়ের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি তালিকায়' অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। ২০০৮ সালের জুন মাসে 'কাঠের ভাস্কর্য—ম্যাকাও'র পবিত্র মূর্তি খোদাই' দ্বিতীয় দফা 'জাতীয় পর্যায়ের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি তালিকায়' অন্তর্ভূক্ত এবং ম্যাকাওয়ের প্রথম এককভাবে আবেদন জানানো জাতীয় পর্যায়ের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তিতে পরিণত হয়। জানা গেছে, পর্তুগালের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য কাস্টার্ড টার্ট (সাধারণত ডিম, দুধ ও কাষ্টার্ড পাউডার দিয়ে তৈরী সুস্বাদু খাবার) এবং জাতীয় নৃত্য ম্যাকাওয়ের অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি তালিকায় অন্তর্ভূক্তির জন্য আবেদন জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। শতাধিক বছরের বন্ধকী দোকান 'দে ছেং আন' ২০১০ সালের সাংহাই বিশ্ব মেলার 'শহরের শ্রেষ্ঠ কার্যকর অঞ্চলে' আগের মতই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐতিহাসিক স্থাপত্যের পুনরানয়ন ও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে ম্যাকাও বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের সাফল্যকে তুলে ধরবে।


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040