|
মধ্য চীনের চিয়াং সি প্রদেশের চিংকাংশানে উঁচু উঁচু পাহাড় ও ঘন গাছ আছে। ৮০ বছর আগে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের গ্রামীণ বিপ্লবের প্রথম মূল ঘাঁটি গড়ে তোলেন সেখানে। এ জন্য চিংকাংশান চীনের বিপ্লবের জন্মস্থল বলে পরিচিত। ২০০৭ সালে সেখানকার ছিপিং নগরে সে সময়ের বিপ্লবী ইতিহাসের স্মৃতি হিসেবে চিংকাংশান বিপ্লব জাদুঘর নির্মিত হয়। ২০০৭ সালের ২৭ অক্টোবর জাদুঘর চালু হওয়ার পর বহু পর্যটক এখানে এসেছেন। পর্যটকরা জাদুঘরের নকশাবিদের নৈপুণ্যের কারণে বিপ্লবের সময়কার পরিবেশ অনুভব করতে পারেন। এখন আমরা আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে সেই জাদুঘরটিতে চীনের সে সময়ের ইতিহাস ঘুরে ঘুরে দেখবো।
চিংকাংশান বিপ্লব জাদুঘরের নির্মিত স্থাপত্যের মোট আয়তন ২০ সহস্রাধিক বর্গমিটার। প্রধান স্থাপত্যটিতে ৪টি তলা আছে। প্রথম তলা হচ্ছে গাড়ি পার্কিং ও রিপোর্টিং হল। দ্বিতীয় তলায় পুরাকীর্তি নিদর্শনের গুদাম ও অফিস। তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় প্রদর্শনী হল। দুটি তলার মোট ৬টি প্রদর্শনী হলে ৮শ'রও বেশি পুরাকীর্তি নিদর্শন এবং ২ হাজারেরও বেশি । ঐতিহাসিক ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শনী হলের মোট আয়তন ৮ হাজার ৪শ' ৩৬ বর্গমিটার। এছাড়া এখানে অনেক ঐতিহাসিক নথিপত্র আছে। জাদুঘরের আকার ইংরেজী ইউ অক্ষরের মতো এবং ছাদের রঙ লাল। জাদুঘরের সামনে ৬টি বড় স্তম্ভ আছে। পুরো জাদুঘর দেখতে খুব মহিমাময়।
জাদুঘরের প্রথমহলে ঢুকলে প্রথমেই চোখে পড়ে একটি তেলের প্রদীপের ভাস্কর্য। ভাস্কর্যের পটভূমি হচ্ছে সবুজ ও ঢেউ খেলানো পাহাড় চিংকাংশান। চীনের অধিকাংশ জাদুঘরের প্রথম হলে প্রদর্শনীর প্রধান বিষয়বস্তু মানুষ। কিন্তু চিংকাংশান জাদুঘর এখানে ব্যতিক্রমী তেলের প্রদীপ ও পাহাড়ই প্রধান। 'চিয়াং সি পিকচার্স' ম্যাগাজিনের প্রধান কুও চিয়া শেং এ বিষয়ে বলেন,
এখানে দাঁড়ালে আমরা অতীত দেখতে পাই এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা পাই। এমনকি লাল ও সবুজ রং অনুভব করতে পারি, যা অভিনব ও সমারোহময়। বিগত দিনগুলোতে আমরা এই তেলের প্রদীপ দেখেছি। এটি বিপ্লবে বিজয়ের নিদর্শন। চেয়ারম্যান মাও সেতুংয়ের ব্যবহৃত প্রদীপের আলো চীনের বিপ্লবী বিজয়ের ভবিষ্যতকে আলোকিত করেছে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |