|
বন্ধুরা, গতকাল ছিল চীনের ঐতিহ্যবাহী তুয়ান উ উত্সব। আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদেরকে তুয়ান উ উত্সব সম্পর্কে কিছু জানাবো।
চীনা ভাষায় তুয়ান অর্থ প্রথম দিক। চীনের চান্দ্র পঞ্জিকায় পঞ্চম মাসের নাম উ। পঞ্চম মাসের পঞ্চম দিন হলো তুয়ান উ। তুয়ান উ উত্সব, বসন্ত উত্সব এবং মধ্য শরত্ উত্সব হলো চীনের প্রধান তিনটে ঐতিহ্যবাহী উত্সব।
তুয়ান উ উত্সবের ইতিহাস সম্বন্ধে বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা আছে। এক ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, তুয়ান উ উত্সব হলো চীনের চান্দ্রবর্ষের ২৪টি পর্বের অন্যতম - সিয়া চি উদযাপনের রীতি। আরেক ব্যাখ্যায় বলা হয়, তুয়ান উ উত্সব প্রাচীন চীনে ইয়াংসি নদীর অববাহিকা অঞ্চলের অধিবাসীদের ড্রাগনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের রেওয়াজ থেকে এসেছে। কিন্তু সর্বাধিক স্বীকৃত ব্যাখ্যা হলো চীনের প্রাচীনকালের দেশপ্রেমিক কবি ছু ইউয়ানের স্মৃতি-চারণের জন্যই এই উত্সব উদযাপন করা হয়। ছু ইউয়ান খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে ছু রাজবংশের একজন দেশপ্রেমিক কবি ছিলেন। ছু রাজ্য যখন যুদ্ধে শত্রুর দখলে চলে যায়, তখন ছু ইউয়ান দুঃখে ও ক্ষোভে মিলো নদীতে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার আত্মহুতির দিন ছিলো চান্দ্রবর্ষের পঞ্চম মাসের পঞ্চম দিন। কাজেই পরবর্তীকালে প্রতি বছরের এদিন দেশপ্রেমিক কবি ছু ইউয়ানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মানুষ বাঁশের পাত্রে চাল রেখে নদীতে ফেলে। পরে চীনারা চুনচি নামে এক ধরনের খাবার নদীতে ফেলে ছু ইউয়ানকে স্মরণ করেন।
চুনচি খাওয়া তুয়ান উ উত্সব উদযাপনের প্রধান রেওয়াজ। চুনচি আঠালো চাল, কুল, মাংস আর বিভিন্ন ধরনের ডাল একত্রে বাঁশের বা খাগড়ার পাতায় মুড়ে পুটলি করে সিদ্ধ করা এক ধরনের খাবার। প্রাচীনকালে চুনচিকে চিয়াওসু (角黍) বলা হতো।
তুয়ান উ উত্সবের দিন ঐতিহ্যবাহী খাবার খাওয়া ছাড়াও চীনে বাড়ীর দরজার সামনে আইছাও (艾草) ও ছাওফু (菖蒲) নামে দুই ধরনের ভেষজ গাছের পাতা ঝুলানোর রীতি আছে । এই দুই ধরনের ভেষজ গাছের পাতা ঝুলানোর উদ্দেশ্য হলো জীবজন্তু ও ভুত তাড়ানো। অন্য দিকে তুয়ানউ উত্সব যখন উদযাপিত হয়, তখন থাকে গ্রীষ্মকাল। এ সময় বেশি বৃষ্টি হয়, বায়ুতে বেশি আর্দ্রতা থাকে, নানা ধরনের বিষাক্ত পোকা উপদ্রব হয় এবং মানুষ সহজেই অসুস্থ হয়। এই দুটি গাছের পাতার গন্ধ পোকা তাড়াতে পারে বলে রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হয়। তা ছাড়া, তুয়ান উ উত্সবের সময় চীনারা বাচ্চার জন্য নানা আকারের সুগন্ধি থলি তৈরি করেন। এই সব সুগন্ধি থলির আকার কোনোটা বাঘের মতো, কোনোটা লাউয়ের মতো, দেখতে খুব সুন্দর। রঙিন কাপড়ের তৈরি এই সব সুগন্ধি থলির মধ্যে নানা ধরনের সুগন্ধি মশলা রাখা হয়। কোনো কোনো অঞ্চলে নিরাপত্তা ও সুখশান্তির জন্য বাচ্চারা বাঘের মাথার আকারের জুতা পরে অথবা বাঘের ছবিওয়ালা কাপড় পরে।
দক্ষিণ চীনের ইয়াংসি নদী অববাহিকা অঞ্চলে ড্রাগন নৌকার প্রতিযোগিতাও তুয়ান উ উত্সবের একটি প্রধান রীতি। এই রীতিও চীনের প্রাচীন দেশপ্রেমিক কবি ছু ইউয়ানের আত্মহত্যার সংগে সম্পর্কিত। একটি কিংবদন্তিতে বলা হয়, গ্রামবাসীরা ছু ইউয়ানকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখে নৌকা চালিয়ে তাকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন।
আচ্ছা, বন্ধুরা, এতক্ষণ আপনাদেরকে চীনের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী উত্সব তুয়ান উ উত্সব সম্পর্কে জানালাম। এ উত্সব উপলক্ষ্যে সারা চীনে এক দিনের সরকারি ছুটি থাকে। আমিও এ উত্সব খুব পছন্দ করি। কারণ আমার চুনচি খেতে ভাল লাগে। বিশেষ করে মিষ্টি কুল চুনচি আমার প্রিয়। আশা করি, শ্রোতারা সুযোগ পেলে চীনে এসে এ খুব মজার খাবারটি খাবেন।
আচ্ছা, এখন আপনাদের পালা।
১. বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার সোর্স অফ নলেজ ক্লাবের সভাপতি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম তাঁর ইমেলে লিখেছেন, "মুক্তা আপু, সালাম নিবেন। ভাল আছেন তো আপু? প্রতি রোববারের অনুষ্ঠানে আমরা শ্রোতারা আপনার মিষ্টি কণ্ঠের কথা শুনি। প্রায় বিশ মিনিটের মতো আপনি কথার ঝুলি নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হন। আপু, এখন বাংলাদেশে মধু মাস গ্রীষ্মকাল। বিচিত্র পাকা রসালো ফলের সমারোহ চারিদিকে। আপু আপনি ভাল বাসাবাড়িতে থাকেন। আমার গরিব কুটিরে আসবেন কি যদি আপনাকে আমার বাড়িতে দাওয়াত দেই? আমি প্রতিদিনই আপনাদের বাংলা ওয়েবসাইট ভিজিট করি। কি যে ভাল লাগে তখন। মনে হয় যেন চীন দেশ আমার সামনে হাজির হয়েছে। একটি কথা না বলে থাকতে পারছি না। সেটি হলো, সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন "আপনাদের চিঠি পেলাম" শিরোনামে একটি প্রাপ্তিস্বীকার ধরনের অনুষ্ঠান প্রচার করলে কেমন হয়? মতামতটি ভেবে দেখতে অনুরোধ রাখছি। যারা আপনাদের কাছে পত্র পাঠাবেন কিন্তু পত্রে তেমন কিছু থাকবে না, শুধু তাদের নাম ঠিকানা এই অনুষ্ঠানে প্রচার করা যেতে পারে। আর একটি কথা যে, আগামীতে আপনারা নতুন জ্ঞানযাচাই প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেওয়া মাত্র খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করলে ভাল হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই তার ফলাফল প্রকাশ করারও অনুরোধ রাখছি।"
বন্ধু খোন্দকার রফিকুল, আমাদের অনুষ্ঠান শোনা এবং পরামর্শ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। কোনো কোনো শ্রোতা আমাকে বলেছিলেন যে, 'মুক্তার কথা' এ নাম সঠিক হয়নি। কারণ এ অনুষ্ঠানে আসলে শ্রোতাদের চিঠি পড়ি এবং তাদের মতামত নিয়ে আলোচনা করি। আমি অনুষ্ঠানে আপনাদের কথাটাই পড়ি। সেজন্য অনুষ্ঠানের নাম 'শ্রোতার কথা'য় পরিবর্তন করা উচিত। কিন্তু ব্যাপার হলো 'মুখোমুখি' নামটি যখন আমরা পরিবর্তন করি, তখন আমরা ভেবেছিলাম আপনাদের মতামত ও প্রশ্ন নিয়ে আমি কিছু কথা বলবো এবং আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবো। যদি আপনাদের কোনো মতামত থাকে, তাহলে আমি এ অনুষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব বিবেচনা করবো। কারণ আসলে আমরা আপনাদের জন্য অনুষ্ঠান তৈরি করি। অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু ও কাঠামো বেশির ভাগ শ্রোতার মনোভাব অনুযায়ী তৈরি করা হয়। আচ্ছা, খোন্দকার রফিকুল, আমি "আমার চীনা চলচ্চিত্র ভাল লাগে" শীর্ষক জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতার বিষয় বা প্রশ্নপত্র আমাদের ওয়েবসাইটে পোস্ট করেছি। আপনারা ওয়েবসাইটে দেখতে পারেন। এছাড়া আমরা 'পুবের জানালা'র আগামী সংস্করণে এটা ছেপেছি এবং তাড়াতাড়ি শ্রোতাদের কাছে পাঠিয়ে দেব। আপনি ভাল প্রস্তাব করেছেন। আমি ভবিষ্যতে অনুষ্ঠান তৈরি করার সময় বিবেচনা করবো। আমরা আপনার কাছে থেকে আরো বেশি গঠনমূলক মতামত পেতে চাই।
২. পাবনা জেলার চালন রেডিও ক্লাবের রাফিকুল আজিজ লিখেছেন, "আগুন ঝরা ফাগুনের সোনাঝরা দিনগুলোর শুভেচ্ছা থাকলো আমার জীবনের সব চাইতে প্রিয় বেতার সিআরআই বাংলা বিভাগের সবার প্রতি। আমি এবং আমাদের শ্রোতা ক্লাবের সবাই এ বেতারের একনিষ্ঠ নিয়মিত শ্রোতা ও মতামত দাতা। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত যদি শুনতে না পাই তাহলে রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত আপনাদের রেডিও শুনি। তাও যদি শুনতে না পাই, তাহলে রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান শুনি। পরদিন সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে আবার অনুষ্ঠান শুনে নেই। ভাল লাগে বলেই এত মনোযোগ সহকারে অনুষ্ঠান শুনি এবং তার ওপর মতামত লিখে পাঠিয়ে আপনাদেরকে অবহিত করি। বিশ্ব সংবাদ, প্রতিবেদন, জীবন গানের দক্ষিণ এশিয়া, মুখোমুখী, চলুন বেড়িয়ে আসি, নতুন আলোয় চীন, সংস্কৃতি সম্ভার, মুক্ত মন মুক্ত চিন্তা, অর্থনীতির অগ্রযাত্রা ইত্যাদি আমার অতি প্রিয় পরিবেশনা। বিগত ৩ মার্চ রাতে ম্যাডাম চুং শাওলির পরিবেশনায় 'স্বাস্থ্যরক্ষা' অনুষ্ঠানটি দারুণ ভাল লাগলো। আমার এটি প্রশ্ন রয়েছে, চীন দেশে কি কোনো আগ্নেয়গিরি আছে? থাকলে তার নাম কী কী?"
বন্ধু রাফিকুল আজিজ, আমাদের অনুষ্ঠান নিয়মিত শোনা এবং মতামত দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনার প্রশ্নের জবাব হচ্ছে, সিনাজোইক যুগে চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়গিরি ছিল। এখানে মোট ৩৪টি আগ্নেয়গিরি গ্রুপ অর্থাত্ ৬৪০টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এখানকার আগ্নেয়গিরিগুলো বিশাল ও শক্তিশালী। মঙ্গোলিয়া অঞ্চলেও অনেক সিনাজোইক যুগের আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এখানে কৃষ্ণশিলা নিয়ে গঠিত লাভা প্ল্যাটফর্মের আয়তন প্রায় ১২হাজার বর্গ কিলোমিটার। হাইনান দ্বীপের উত্তরাঞ্চল ও লেইচৌ উপদ্বীপে বাসাল্টের আয়তন হলো ৭৫০০ বর্গ কিলোমিটার এবং আগ্নেয়গিরির সংখ্যা ৭০টি। তিয়ানসি পর্বতমালায় বিশ্ববিখ্যাত্ থেংছং আগ্নেয়গিরি গ্রুপ রয়েছে। এখানে ৭০টিরও বেশি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। তিব্বতের উত্তরাঞ্চলের ছিয়াংথাং পার্বত্য অঞ্চলে অনেক আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এসব আগ্নেয়গিরি ঘনিষ্টভাবে প্রক্রিয়া হচ্ছে। পশ্চিম খুনলুন পাহাড়ে ৪৭০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ১৪৫মিটার উচ্চ এক নম্বর আগ্নেয়গিরিতে ১৯৫১ সালের ২৭ মে অগ্ন্যুত্পাত হয়েছিল। এ অঞ্চলের সবচেয়ে দক্ষিণে বামাওছিয়ংজং আগ্নেয়গিরি গ্রুপ ৫৩৯৮ মিটার উঁচু। এটি হলো চীনের সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি। তাইওয়ান দ্বীপ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল আগ্নেয়গিরি ব্যান্ডে অবস্থিত। যেমন উত্তরাঞ্চল আগ্নেয়গিরি গ্রুপ ও ফেংহু ধারাবাহিক দ্বীপে কোনো কোনো আগ্নেয়গিরি থেকে এখনো অগ্ন্যুত্পাত হচ্ছে। থাইহাং পর্বতমালায় বিখ্যাত্ জিংসিং স্যুয়েহুয়া পাহাড় ও থাংইনহে পাহাড়ের কৃষ্ণশিলা রয়েছে। হোপেই সমভূমিতে সিয়াওশান ও তাশান পাহাড় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। নানচিং উত্তর ফাংশান ও নিম্ন ফাংশান কৃষ্ণশিলা রয়েছে। ইয়াংসি নদীর উত্তর তীরের স্যুই, লিউহো এবং দক্ষিণ তীরের চিয়াংনিং অঞ্চলে ১০টিরও বেশি আগ্নেয়গিরি নিয়ে গঠিত আগ্নেয়গিরি গ্রুপ রয়েছে।
৩. কুষ্টিয়া জেলার দারুল হিকসাহ লিসনার্স ক্লাবের এটিএম খাইরুল বাসার লিখেছেন, "আমি আপনাদের একজন নিয়মিত শ্রোতা ছিলাম। কিন্তু কয়েক বছর যাবত্ চিঠি লিখতে পারিনি। আশা করি, এখন থেকে আবার নিয়মিত লিখবো। আমার ডান হাত ভেঙ্গে যায়ার কারণে আমার আর চিঠি লেখা সম্ভব হয়নি। হাত ভাল হওয়ার পর আপনাদের কাছে চিঠি লিখলাম। আমি নিয়মিত আপনাদের অনুষ্ঠান শুনি, মনোযোগ সহকারে। আপনাদের অনুষ্ঠান আমার এত ভাল লাগে যে তা আমি বলে বুঝতে পারবো না। আশা করি, হাজারো শ্রোতার মধ্যে আমাকে গ্রহণ করবেন।"
বন্ধু খাইরুল বাসার, আপনার ডান হাত ভেঙ্গে গিয়েছিল জেনে আমরা অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছি। তবে আপনি আবার নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠান শুনছেন শুনে খুব ভাল লাগছে। ভবিষ্যতে আপনার কাছ থেকে আরো বেশি মতামত পেতে চাই। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
৪. আচ্ছা, বন্ধুরা আজকের অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে আপনাদেরকে একজন নতুন শ্রোতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব। তিনি হলেন বাংলাদেশের পাবনা জেলার সিআরআই ড্রাগন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শেখ আব্দুল মান্নান বারী। তিনি লিখেছেন, "আমাদের সিআরআই ড্রাগন ক্লাবের পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। আমি ডা. এসএমএ হান্নানের কাছ থেকে সিআরআই খাম সংগ্রহ করে আপনাদের কাছে জীবনের প্রথম এই চিঠি লিখলাম। দয়া করে আপনাদের কয়েকটি খাম পাঠাবেন এবং আমাদের ক্লাবটি সিআরআই-এ তালিকাভুক্ত করে নিবেন।
বন্ধু শেখ আব্দুল মান্নান বারী, আপনাকে স্বাগত জানাই আমাদের ভূবনে। আপনার ক্লাবকে আমরা ইতোমধ্যে আমাদের ক্লাব তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছি। আশা করি, আপনারা নিয়মিত আমাদের অনুষ্ঠান শুনবেন এবং আমাদেরকে মতামত দেবেন। অবশেষ ডা. এস এম এ হান্নানকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের রেডিওর পক্ষে প্রচারণার জন্য।
আচ্ছা, বন্ধুরা, এতক্ষণ আমার সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনারা আমাদের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও আনন্দ পেয়ে থাকেন, তাহলে আমরা ধন্য হবো। আর আপনাদের জন্য আমরা আরো সুন্দর ও সমৃদ্ধ অনুষ্ঠান তৈরি করার চেষ্টা করবো। হ্যাঁ, আপনারা আমাদের ইমেলেও আপনাদের তথ্য পাঠাতে পারেন। আমাদের ইমেল ঠিকানা হলো ben@cri.com.cn আবারো বলে দিচ্ছি ben@cri.com.cn আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই সময় আবার আপনাদের সামনে ফিরে আসবো। সবাই ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন। যাই চিয়ান। --মুক্তা/এসআর
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |