বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার আব্দুল লতিফ লিখেছেন, "গত সপ্তাহে সিআরআই থেকে একটি সুদৃশ্য বড় আকারের খামে চিঠি পেয়েছি। ভিতরের রঙ্গিন মোড়কটি আরও সুন্দর সংগে স্মারক খাম আর ডাক টিকিটসহ একটি সনদপত্র। তাতে গত বছর নয়া চীনের ৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতায় আমাকে প্রথম পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং কৃতজ্ঞ আপনাদের প্রতি আমাকে প্রথম পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার জন্য। যারা এই উপলক্ষে চীন সফরের সুযোগ পাবেন তারা নিশ্চয়ই আরও সৌভাগ্যবান। ১৯৮৭ সাল থেকে সিআরআই'র সঙ্গে গড়ে উঠা সম্পর্ক, যোগাযোগ আর অনুষ্ঠানের প্রতি নিবিড় টানের মধ্য দিয়ে আমার ছাত্র জীবন পার করে এসেছি এবং পেশাগত প্রশিক্ষণ শেষে বর্তমানে একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। পেশাগত ব্যস্ততার মধ্যেও অন্তত একটু সময় সিআরআইকে দিয়ে থাকি। সহজে পাশ কেটে যেতে পারি না সিআরআইকে। দীর্ঘ সময়ের বন্ধু হিসেবে সিআরআইও আমাকে ভোলেনি। বিচিত্র অনুষ্ঠানমালা উপস্থাপনার ঢ়ং সবই সুন্দর সিআরআই'র । ওয়েবসাইটে রয়েছে বিশাল তথ্যভাণ্ডার যা অতুলনীয়। সব কিছু মিলে সিআরআইকে যে কেউ সহজেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী অন্য সকলকে আমার অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করি কোন এক সময় হয়তো চীন দেখারও সুযোগ ঘটবে।" বন্ধু আব্দুল লতিফ আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহণ করুন এতটা সময় আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য।
বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার আইপিএম ফ্যান ক্লাবের সভাপতি শ্রীসুকদেব কুমার ঘোষ লিখেছেন, "আমরা সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে শুনে এবং চিঠি লিখে থাকি। সিআরআই'র বাংলা আমাদের পরিবারের একটি অবিছেদ্য অঙ্গ। শরীরের প্রতিটি অঙ্গ যেমন একত্রিত হয়ে আছে আমরাও তেমনি সিআরআইকে নিয়ে আছি। সিআরআই বাংলা অনুষ্ঠান ছাড়া আমরা একটি দিনের অতিক্রমও ভাবতে পারি না। সিআরআইকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। গত ১০ জুনে অর্থনীতির অগ্রযাত্রা অনুষ্ঠানে শিহাবুর রহমান বিশ্ব অর্থনীতি সম্পর্কে এ্যাপেকভূক্ত দেশগুলোর অর্থনীতির খবর পরিবেশন করলেন। এ্যাপেকভুক্ত ১৩টি দেশের মধ্যে ৪টি হলো শিল্পোন্নত বা ধনী দেশ, কয়েকটি উন্নয়নশীল এবং কয়েকটি দরিদ্র দেশ। অর্থাত্ এ্যাপেকভূক্ত সব দেশই সমান উন্নত নয়। ম্যাডাম ইউ কুয়াংইউয়ে শাংহাই বিশ্বমেলা সম্পর্কে বলতে গিয়ে চীনের হেলংচিয়াং প্রদেশ সম্পর্কে জানালেন। হেইলংচিয়াং প্রদেশ চীনের উত্তরে অবস্থিত। বছরে ৬মাস বরফে থাকে সেখানে। এ প্রদেশের ৯৬ ভাগ জুড়ে রয়েছে বনভূমি। এখানকার মৃত্তিকা বছরে ৬ মাস বরফে ঢাকা থাকে বলে তাতে জৈব পদার্থের পরিমাণ অনেক বেশী। তাই এখানে কৃষিজাত ফসলও খুব ভাল হয়। কৃষি ক্ষেত্রে কোন রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হয় না। যাই হোক, অর্থনীতির অগ্রযাত্রা অনুষ্ঠানটি আমাদের সবার কাছে ভাল লেগেছে। তবে মুক্ত মন মুক্ত চিন্তা অনুষ্ঠানে শুধু বাংলাদেশীদের সাক্ষাত্কার নিলে ভাল লাগে না - মাঝে মধ্যে ভারতীয় বাঙালীদের কিংবা অবাঙালীদের সাক্ষাত্কার গ্রহণ করলে ভাল লাগবে। কারণ ভারতীয় বাঙালীরাও বাংলা অনুষ্ঠানের শ্রোতা। দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অনুষ্ঠানে এ অঞ্চলে ঘটে যাওয়া এক সপ্তাহের পুরো খবরা খবর পাওয়া যায়। এমন কি যে খবরগুলো অন্য বেতারে পরিবেশিত হয়নি সেগুলোও পাওয়া যায় দক্ষিণ এশিয়া শীর্ষক অনুষ্ঠানে। এ জন্য মফিজুর রহমান ভাইকে জানাই ধন্যবাদ। শ্রোতা সন্ধ্যা মানেই নতুন কিছু পাওয়া। ১৪ জুন তারিখে প্রচারিত শ্রোতা সন্ধ্যা অনুষ্ঠানে অনেক শ্রোতা বন্ধুর চিঠির অংশ থেকে পাঠ করে শোনানো হলো, প্রশ্নের উত্তর দেয়া হলো এবং সুন্দর গান পরিবেশ করা হলো - অবশ্য যদিও আমার চিঠির উত্তর ছিল না।" শ্রী সুকদেব কুমার ঘোষ, আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ। তবে আপনাকে জানিয়ে রাখতে চাই, আমরা কিন্তু সুযোগ পেলে মুক্ত মন মুক্ত চিন্তা'য় ভারতীয়দের আনছি। এই যেমন সম্প্রতি আমরা এ অনুষ্ঠানে এনেছিলাম ভারতের বিখ্যাত বাউল শিল্পী নিতাই দাস বাউলকে।