বাংলাদেশের গ্রামের জনগণের এখনও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ হয় নাই। আমরা গ্রামে বাস করি
বাংলাদেশথের ঝিনাইদহ জেলার আই পি এম ফ্যান ক্লাবের সভাপতি শ্রীসুকদেব কুমার ঘোষ তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমার ক্লাবের সকল শ্রোতা বন্ধু আপনাদের প্রচারিত বাংলা অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনিয়া থাকে। আপনাদের অনুষ্ঠান থেকে আমরা চীন সম্পর্কে আরও বেশি জানার আগ্রহ সৃষ্টি করে। আমরা সিআরআই'র মাধ্যমে চীন সম্পর্কে আরও বেশি জানার আশাবাদী। আপনারা প্রায় বলে থাকেন, আও বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ব্যবহার করুণ। আপনারা জানেন কি? বাংলাদেশের গ্রামের জনগণের এখনও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ হয় নাই। আমরা গ্রামে বাস করি। বেতারই একমাত্র ভরসা। বেতারের মাধ্যমে আমরা সিআরআই'র অনুষ্ঠান শুনে থাকি। আপনারা নতুন শ্রোহতাদের জন্য সিআরআইতে চিঠি লেখার ঠিকানা বলবেন কেমন? গত ২২ মে তারিখে শ্রোতা সন্ধ্যা অনুষ্ঠানে নয়া চীন প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় শ্রেণীর পুরস্কার বিজয়ী শ্রোতাদের নানের তালিকা ঘোষণা করা হলো। এই দ্বিতীয় শ্রেণীর বিজীয়দের মধ্যে আমার নামটিও আছে। আমাকে পুরস্কার বিজীয় ঘোষণা করবার জন্য সিআরআইকে ধন্যবাদ জানাই। প্রতি মাসে একজন শ্রোতা সিআরআই'র মাসিক শ্রেষ্ঠ শ্রোতা নির্বাচিত হয়ে থাকে। এক মাসে বাংলাদেশের শ্রোতা অন্য মাসে ভারতের শ্রোতা। আপনাদের নির্বাচন সঠিক বলে আমরা মনে করি। কারণ বাংলা অনুষ্ঠান শুরু বাংলাদেশের জন্য নয়। সকল বাংলা ভাষী শ্রোতাদের জন্য। শ্রীসুকদেব কুমার ঘোষ, ---- আপনি আরো দু'টি প্রশ্ন করেন। আমরা পরের অংশে আপনার প্রশ্নের জবাব জানাবো।
বাংলাদেশের করিদপুর জেলার নন্দন বেতার শ্রোতা সংঘের আফজাল আলী খান তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগ বাংলাদেশ ও চীনের জনগণের মধ্যে একটি নিবিঢ় সেতুবন্ধুন। উভয় দেশের মধ্যে বিরাজমান মৈত্রীর বন্ধুন এত সধুর, এত গভীর, এত হৃদয়ষ্পশী হওয়ার পিছনে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের যেন একটা যাদুর ছোয়া আছে। আমি যখনই সিআরআই'র অনুষ্ঠান শুনি তখনই এক অব্যক্ত আবেশে নিমগ্ন হয়ে পড়ি। আপনাদের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা অনেক সুন্দর। যতই দিন যাচ্ছে ততই অনুষ্ঠান প্রচারের শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে, মান উন্নত হচ্ছে। আর বন্যার শ্রোতার মত শ্রোতাসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনাদের প্রচেষ্টা নিশ্চিতভাবেই সার্থক হয়েছে। আপনাদের প্রতিবেদন, ঢাকা থেকে প্রচারিত মাহমুদ হাশিমের বিপোর্ট, সাক্ষাত্কার, চলুন বেড়িয়ে আসি, ভিন দেশীর চোখে চীন আমার কাছে খুবই ভাল লাগে। গত ১১ জুন হুমায়ুন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাত্কারমূলক অনুষ্ঠান শুনে তাঁর বর্নাত্য সাংবাদিক জীবনের এবং ব্যক্তিতে চিন্তাভাবনা সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পেলাম। চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাংহাই বিশ্বমেলা এবং অর্থনীতির ওপর সিআরআইতে যে সুন্দর সাক্ষাত্কারটি দিয়েছেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ। চীনা জনগণ বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু। বাংলাভাষার প্রতি তাদের ভালবাসার পরিচয় পেয়ে আমু মুগ্ধ হই। এইত কয়েকদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম। চীনের একজন মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী তিনি। তার বাংলা নাম ইরা। তার দাদি ১৯৯৮ সালের দিকে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি বাংলা ভাষা শিখতে। চীনা তরুণী ইতোমধ্যেই বাংলা শিখে ফেলেছেন, তার অনেক বন্ধু হয়েছে। তিনি শাড়ী ব্রাউজ পড়তে পারেন। বাঙ্গালী রান্নাও শিখেছেন। চীন আন্তর্জাতিক বেতার থেকে হয়ত কোনো একদিন ইরা তার এদেশে আগমণ, লেখাপড়া, ব্যক্তিগত জীবন ইত্যাদি নিয়ে শ্রাতাবন্ধুদের উদ্দেশ্যে সাক্ষাত্কার দিবেন-যা আমি একান্তভাবে প্রত্যাশা করি। চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ চীনের বিশ্বক্ত ও প্রকৃত বন্ধু। সত্যিই তাই। চীন সবসময়ই বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক এবং জন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত স্থাপত্য নির্মাণে বড় অংকের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। ১৫ জুন তারিখে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীপতির সাথে চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এক বৈঠক করেছেন। বাংলাদেশের নৌপথ, রেল ও সড়ক যোগাযোগ অর্থনৈতিক সহায়তার আশ্বাস দেয়ার আমরা আনন্দিত চিত্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। এ সফল সংবাদ চীন আন্তর্জাতিক বেতার থেকে প্রচার করায় আমরা খুশী হয়েছি।