|
শুরুতেই রয়েছে আপনাদের লেখা চিঠি থেকে পাঠ পর্ব।
বাংলাদেশের ঢাকার চায়না রেডিও ফ্যান ক্লাবের পরিচালক মোঃ লুৎফর রহমান তিনি লিখেছেন, "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সিআরআই বাংলা বিভাগ প্রচারিত বিশেষ অনুষ্ঠানমালা শুনে ভীষণ মুগ্ধ হয়েছি। চমৎকার উপভোগ্য এই অনুষ্ঠানমালা ছিল অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, সময়োপযোগী ও বিষয় সংশ্লিষ্ট। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারি পর্যায়ে কবির সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে। বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়াও চীন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলা বিভাগের সাবেক সারথি, রবীন্দ্রসাহিত্য অনুবাদক অধ্যাপক পাই খাই ইউয়ানের চীনের প্রতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভালোবাসা শীর্ষক তথ্যবহুল প্রবন্ধ শুনে অনেক কিছু জানতে পারলাম। প্রবন্ধে জানা গেল রবীন্দ্রনাথের চীনা নাম চুং চেন তাং। তিনি চীন থেকে ফেরার সময় বলেছিলেন, 'আমার হৃদয় ছাড়া আর কিছুই ফেলে যাচ্ছি না।' তাঁর এই বক্তব্যে চীনের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসা আর উপলব্ধির কথাই প্রকাশিত হয়। মহান চীনের নাগরিকদের কর্মস্পৃহা দেখে মুগ্ধ হয়ে তিনি চীনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যে ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন - অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রে চীন বিশ্বের প্রথম সারির দেশে পরিণত হয়ে তাঁর ভবিষ্যদ্বানীকেই যেন সত্য করে দিল।
তিন দিনের বিশেষ অনুষ্ঠানমালার প্রথম দিন ৭ মে ছাই য়ূএ মুক্তার উপস্থাপনায় রবীন্দ্র সাহিত্য অনুবাদকদের সাক্ষাতকার শুনলাম। পাই খাই ইউয়ান, শি চিং উ এবং তুং ইয়োছেনের সাক্ষাতকার খুব ভালো লেগেছে।
দ্বিতীয় দিন ৮ মে শিয়ে নান আকাশের উপস্থাপনায় রবীন্দ্র সাহিত্য প্রকাশকদের সাক্ষাতকার প্র্রচারিত হলো। সাক্ষাতকারগুলোর মাধ্যমে চীনে রবীন্দ্র সাহিত্য প্রকাশের উদ্দেশ্য এবং প্রকাশকদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানা গেলো। বাংলা সাহিত্যকে চীনা পাঠকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে প্রকাশকদের অবদান অপরিসীম।
তৃতীয় দিন ৯ মে ওয়াং হাই মান উর্মির উপস্থাপনায় চীনে রবীন্দ্র সাহিত্য গবেষণা এবং গবেষকদের সম্পর্কে জানতে পারলাম। এই অনুষ্ঠান শোনার আগে আমি কখনোই জানতাম না যে, চীনে রবীন্দ্রসাহিত্য নিয়ে এতো উন্নত গবেষণা হয়েছে। আমার ধারণা ছিল কেবল বাংলাদেশ ও ভারতেই রবীন্দ্র সাহিত্য নিয়ে গবেষণা হয়। তাহলে চীনা গবেষকরা বাংলাদেশ ও ভারতের গবেষকদের সাথে গবেষণা বিনিময় এবং একত্রে কাজ করলে নিশ্চয়ই আমরা সাধারণ পাঠকরা আরো অনেক জ্ঞানগর্ভ তথ্য জানতে পারব।
বাংলা বিভাগের এই চমৎকার আয়োজন শুনতে পেরে খুব ভালো লাগল। অনেক ধন্যবাদ সবাইকে যারা কষ্ট করে আমাদের জন্য এই অনুষ্ঠানমালা তৈরি করেছেন। আশা করি ভবিষ্যতেও এ ধরনের আরো ভালো অনুষ্ঠান শুনতে পারবো।"
বাংলাদেশের পাবনা জেলার সিআরআই ফ্যান ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এসএম আবদুল্লাহ রানা তিনি লিখেছেন, "গত ২৯ মের প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার, বিশেষ করে বাংলাদেশের, সুগন্ধি আগর চাষ সম্পর্কে অত্যন্ত চমত্কার তথ্য জানলাম। আমাদের দেশের বিপুল সম্ভবনাময় এই শিল্প সম্পর্কে আমরা সত্যিই এতটা জানতাম না। এজন্য আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ। আমাদের এখানে এখন গ্রীষ্মের লোভনীয় লিচু ফল প্রচুর পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে চায়না-থ্রি জাতের লিচু সবচেয়ে সুস্বাদু। আমার জানার আগ্রহ - এই জাতটা কী চীন থেকে এসেছে? ২৯ মের মুখোমুখিতে আমাদের দুটো চিঠির জবাব শুনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি।"
এসএম আবদুল্লাহ রানা আরেকটি চিঠিতে লিখেছেন, "২৪ জুনের 'মুক্ত মন মুক্ত চিন্তা'য় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির সাথে মাদাম ইয়ু কোয়াং য়ুয়ের অন্তরঙ্গ সাক্ষাত্কারটি অত্যন্ত চমত্কার হয়েছে। সুন্দর সাক্ষাত্কার গ্রহণের জন্য ইয়ু কোয়াং য়ুয়ে কে অসংখ্য ধন্যবাদ। মিষ্টি সুরের দুটো গান শোনার পর চীনা কমিউনিষ্ট পার্টির ৯০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের রাষ্ট্রদূতদের বক্তব্য অত্যন্ত সময়োপযোগী ছিল। সি আর আই প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে 'কালের স্মৃতি' প্রতিযোগিতার ফরম কি পাঠাবেন - বিনীতভাবে সেটা জানতে চাচ্ছি। আমাদের ক্লাবের জন্য আরো বেশি সংখ্যক পুবের জানালা পত্রিকা পাঠানোর অনুরোধ করছি।
বন্ধু এসএম আবদুল্লাহ রানা, আপনি জানতে চেয়েছেন, চায়না-থ্রি লিচু চীনা জাতের লিচু কিনা? আপনি নিশ্চয়ই জানেন, চীনে বহু জাতের লিচু আছে। তবে চায়না-থ্রি নামে কোনো লিচুর কথা আমরা শুনিনি। হতে পারে সেটা চীনা জাতেরই; কিন্তু এখানে হয়তো তার নাম ভিন্ন। তাই শুধু নাম শুনে বুঝতে পারছি না সেটা চীনা জাতের কি না। আর আপনি পূবের জানালা পত্রিকা পাঠানোর জন্য বলেছেন – আপনাকে জানিয়ে রাখি, নতুন সংখ্যা পূবের জানালা প্রকাশের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। ছাপাখানা থেকে আমাদের হাতে এলেই তা আপনাদেরকে পাঠানোর ব্যবস্থা করবো। আপনার চিঠির জন্য ধন্যবাদ।
প্রিয় চীন আন্তর্জাতিক বেতার
গত ১৭ .০৬ .২০১১ তারিখে অধ্যাপক জাহানারা বেগম এর সাক্ষাতকার আমার খুবই ভালো লেগেছে। কারণ সাক্ষাতকার থেকে তার ব্যাক্তিগত জীবনসহ নানা তথ্য জানতে পারলাম। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত তিনি সি আর আই এ কর্মরত ছিলেন। আজ অনেক দিন পর উনার কন্ঠ শুনে আমার খুব ভালো লাগলো।
বন্ধুরা, এখন আমাদের পি পি এস-এর কয়েকজন বন্ধুর কথা:
বাংলাদেশের ঢাকার সানজিদা রহমান লিখেছেন, "গত ৩রা মার্চ শুরু হওয়া চীনের গণ-রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলন এবং ৫ই মার্চ শুরু হওয়া জাতীয় গণ-কংগ্রেসের অধিবেশনের ওপর এখন দৃষ্টি নিবদ্ধ সারা বিশ্বের। এ দুটি অধিবেশন এখন আর কেবল চীনের অভ্যন্তরীণ কোনো ইস্যু নয়। এ দুটি অধিবেশন থেকে অর্থনীতির যে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হবে তা প্রভাব ফেলবে সারা বিশ্বের অর্থনীতি তথা সমাজের ওপর। কারণ চীনের মুদ্রা ইউয়ান এখন বিশ্ব মুদ্রাবাজারে যেমন ক্রমেই এক প্রভাব বিস্তারকারী মুদ্রাতে পরিণত হচ্ছে, তেমনি চীনে উত্পাদিত পণ্য সারা বিশ্বের ভোক্তা চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা পালন করছে। আমাদের আশা, এ অধিবেশন দুটিতে চীনা নেতৃবৃন্দ এমন অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করবেন, যা কেবল তার অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির জন্যই সুফল বয়ে আনবে না, বিশ্ব অর্থনীতির জন্যও কল্যাণকর হবে।"
শ্রোতা বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। শোনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি, আগামী সপ্তাহের একই সময় আবার আমরা আপনাদের সামনে হাজির হবো, আপনাদের চিঠিপত্র নিয়ে। যাই চিয়ান।–জিনিয়া ওয়াং
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |