বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার প্রজাপতি রেডিও ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান
2011-07-26 15:36:32 cri
বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার প্রজাপতি রেডিও ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান 'আমি ও বেতার' শিরোনামে একটি রচনা লিখেছেন। তিনি তাঁর রচনায় রেডিওর গুরুত্ব ও সুবিধা বর্ণনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, "এই অত্যাধুনিক যুগে অনেকের কাছে রেডিওর মূল্য কমে গেছে। এসেছে রং-বেরঙের পত্রিকা, ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ইত্যাদি। তাহলে কি রেডিও কিছুই দিতে পারছে না? রেডিও শোনা কি বন্ধ করে দেবো? ইতিহাসকে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। বাঙ্গালী জাতির গর্ব ওয়্যারলেস রিসিভার তথা বেতারের উদ্ভাবক বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু আমাদের বেতার শ্রোতাদের উত্সাহদাতা। শুধু কি তাই, এই বাংলাদেশের অস্তিত্ব অর্থাত্ স্বাধীনাতার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে। যখন হানাদারেরা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, জাতীয় প্রেসক্লাবে বসে রমনা বটমূলের মত জায়গা থেকে সংবাদ নেয়ার জন্য নির্ভর করতে হতো এই বেতার যন্ত্রটির ওপর - চর্তুদিকে গোল হয়ে বসে মাঝখানে একটি রেডিওটি রেখে প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীর সংবাদ লিখতেন। এছাড়াও বিশ্বের যে কোন স্থানে বা যে কোন যানবাহনে বা যেখানে কোন দূর্যোগের কারণে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক থাকেনা সেখানে রেডিও আবহাওয়ার সংবাদ, বিশ্বের সমকালীন তরতাজা সংবাদসহ নানা তথ্য জানিয়ে যাচ্ছে মানুষদেরকে। এখনও সিআরআইসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক বেতার কেন্দ্রগুলোতে যখন বাংলা ভাষায় খবর প্রচারিত হয়, তখন রাস্তার পাশে রহিমউদ্দিনের চায়ের দোকানে বুড়ো রেডিওটিও জমিয়ে তোলে মানুষের মন। অন্যদিকে দৈনিক পত্রিকা, কম্পিউটার-ইন্টারনেট সকল স্তরের মানুষদের ঘরে পৌঁছানো এখনও দুরূহ ব্যাপার। শুধু কি তাই যেখানে বিদ্যুত্ নেই, যেখানে আবহাওয়া বা অন্য কোনও কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সেখানে পত্রিকা, কম্পিউটার কিভাবে দুনিয়ার খবরাখবর দিবে? হ্যাঁ সেখানেও প্রস্তত বন্ধু রেডিওটি। কেউ না বুঝুক, আমরা বুঝি রেডিও মানুষকে কী দিতে পারে, কী দিচ্ছে। রেডিও একটি স্বল্প মূল্যের যন্ত্র যা সর্বস্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং যা স্বল্প খরচে শ্রোতাদের দিচ্ছে সংবাদ, বিনোদন, ব্যক্তি পরিচিতি, বন্ধুত্বের সেতু বন্ধন এবং এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের বন্ধুত্ব ঘনিষ্ঠ করার সুযোগ। যন্ত্রটি আরও এনে দিচ্ছে নিয়মিত পত্রদাতা/শ্রোতাদের দামী-দামী উপহার সামগ্রী, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিনাখরচে ভ্রমণের সুযোগ। শুধু তাই না, বেতারের কল্যাণেই শ্রোতা সম্মেলনের মতো আয়োজনে বিদেশী বাংলাভাষী প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভাব বিনিময় সম্ভব হচ্ছে এবং বেতার-অনুষ্ঠান পিপাসুরা বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের দায়িত্বে শ্রোতা সংগঠন তৈরী করে একজন আরেক জনকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে পারছেন।" ধন্যবাদ বন্ধু মোস্তাফিজুর রহমান এমন চমত্কারভাবে বেতারের উপযোগিতাকে তুলে ধরার জন্য।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা