|
আপনারা শুনছেন পেইচিং থেকে প্রচারিত বাংলা অনুষ্ঠান। আমি ওয়াং ছুই ইয়াং জিনিয়া এবং আমি আবাম ছালাউদ্দিন আমার প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা সবাই নিশ্চয়ই ভালো আছেন? আপনাদের সবাইকে একরাশ শুভেচ্ছা জানিয়ে এখন শুরু করছি আমাদের আজকের অনুষ্ঠান মুখোমুখি।
প্রথমেই বাংলাদেশের পাবনা জেলার সিআরআই ওয়েমেন্স লিসনার্স ক্লাবের সম্পাদক রীনা পারভীনের লেখা চিঠি তিনি লিখেছেন,
প্রিয় বন্ধুরা, বাংলাদেশ থেকে সবাইকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সবাই ভাল আছেন তো?
আমরা গত আগষ্ট মাসে একটি নতুন মহিলা শ্রোতা ক্লাব গঠন করে আপনাদের অবহিত করেছি। আশা করেছিলাম আপনাদের কাছ থেকে আন্তরিক সাড়া পাবো। কিন্তু দুঃখের সাথে জানাচ্ছি দীর্ঘ সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত উত্তর পেলাম না। আমরা নিয়মিত অনুষ্ঠান শুনচ্ছি। সিআরআই বাংলা অনুষ্ঠান আমাদের দারুনভাবে আকৃষ্ট করে যা বলে প্রকাশ করা যায় না। অনুষ্ঠান না শুনে যা পারি না। মনোমুদ্ধকর অনুষ্ঠানের সাথে চমত্কার শ্রবণ মান আমাদের অভিভুত করে। আমাদের ক্লাবকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য সবিশেষ অনুরোধ করছি।
হ্যাঁ বন্ধু, আপনাদের ক্লাব আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, তবে দুঃখিত যে আমরা এখন পর্যন্ত আপনাদের কোন চিঠি পাইনি। আমরা আপনার ক্লাবের তথ্য ও ঠিকানা পাওয়ার পর আপনি এবং আপনার ক্লাবের সদস্যরা আমাদের নতুন প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন, আশা করি আমরা অব্যশই আপনার ক্লাবের জন্য সময়মত বিশেষ উপহার পাঠাবো। আশা করি আপনি এবং আপনার ক্লাবের সদস্যরা আমাদের বাংলা বিভাগের বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনবেন।
আচ্ছা, আজকের দ্বিতীয় চিঠি হচ্ছে আমাদের বন্ধু লুত্ফরের দুটি ইমেইল, তিনি লিখেছেন,
প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সুদূর পেইচিংয়ে সবাই ভালো আছেন।
২৩ এপ্রিল রকমারি অনুষ্ঠানটি শুনছিলাম। বন্ধু ছাও ইয়ান হুয়া'র উপস্থাপনায় রান্না-বান্নার আসরটি শুনলাম। এতে আজ পেইচিং খাও ইয়া বা বিখ্যাত পেইচিং রোস্ট ডাক সম্পর্কে অনেক তথ্য পরিবেশিত হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো আমার চীন ভ্রমনটি শুরু হয়েছিল ঐতিহ্যিক পেইচিং খাও ইয়া খাওয়ার মাধ্যমে।
চীন ভ্রমণের প্রথম দিন আমাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বিখ্যাত রেস্টুরেন্টে যেখানে ঐতিহ্যিক চীনা খাবার পেইচিং খাও ইয়া পরিবেশন করা হয়। সিআরআই বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠানে বহুবার ডাক রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে। আমি জানতাম, পেইচিং এসে কেউ পেইচিং রোস্ট ডাক না খেলে তার চীন ভ্রমণের কোন সার্থকতা নেই। সেই বিখ্যাত খাবার খাওয়ার মাধ্যমেই আমার চীন ভ্রমণ শুরু হয়েছিল।
সেদিন শওকত মাহমুদ ভাই, আকাশ ভাই আর সালাউদ্দিন ভাই মিলে খাও ইয়া খাওয়ার ঘটনাটি আমার খুব মনে আছে। পাতলা রুটি, পেঁয়াজের পাতলা টুকরা আর পেইচিং ডাক রোস্ট যা কিনা ১০৮ টি টুকরা করার ঐতিহ্যিক রীতি আছে- এসব খাওয়া আমার জন্য একটি স্মরণীয় ব্যাপার। সত্যিই খাও ইয়া খুব সুস্বাদু। সুযোগ পেলে সবারই খাওয়া উচিত।
ঠিক আছে বন্ধুরা, আজকের মত শুভরাত্রি।
ভাই লুত্ফর, এ ইমেইল ছাড়াও আমি আপনার আরেকটি ইমেইল পেয়েছি। হ্যাঁ, আমি হৃদয় খানের গান খুব পছন্দ করি, আপনার কাছে তাঁর গানের কোন অ্যালবাম আছে কি? আমার কাছে আছে তাঁর "বল না" নামে একটি সি ডি অ্যালবাম। আপনার? আশা করি আপনি আমার কাছে ইমেইল পাঠিয়ে জানাবেন। ধন্যবাদ।
পরের ইমেইলে তিনি লিখেছেন,
প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সুদূর পেইচিংয়ে সবাই সুস্থ্য এবং নিরাপদে আছেন।
৭ মে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রচারিত বিশেষ অনুষ্ঠানমালার প্রথম পর্ব শুনলাম। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরণ করে এই বিশেষ দিনে বিশেষ আয়োজন প্রচারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। রবীন্দ্রনাথ শুধু ভারত বা বাংলাদেশের কবি নন, তিনি নন কোন নির্দিষ্ট সময়ের কবি। তিনি সব দেশের, সব মানুষের এবং সব সময়ের। শত বছর পরেও তাঁর লেখার সময়োপযোগিতা ফুরিয়ে যায়নি, যাবে না হাজার বছরেও। কারণ তিনি প্রেমের কবি, মানবতার কবি। প্রেম এবং মানবতা চির ভাস্বর। আর তাই কবির সৃষ্টিও সর্বকালের, সর্বজনের।
চীন থেকে ফেরার সময় রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, তিনি তাঁর হৃদয় ছাড়া আর কিছু ফেলে যাচ্ছেন না। রবীন্দ্রনাথ যে অন্তর দিয়ে চীনকে ভালোবেসেছিলেন, তাঁর বক্তব্যে সেটি প্রতীয়মান হয়। তিনি চীনের উন্নয়নের বিষয়ে যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তা ও আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। চীন সব দিক থেকেই এখন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শক্তিতে রূপান্তরিত হতে চলেছে।
মি. পাই খাই ইউয়ান এবং মি. শি চিং উ সাহেব রবীন্দ্র সাহিত্য চীনা ভাষায় অনুবাদে বিশেষ অবদান রেখেছেন। সারাজীবন বাংলা চর্চা করে তাঁরা বাংলাভাষীদের ঋণী করেছেন। এই ঋণ ভালোবাসার, এই ঋণ প্রেমের। অনেক দিন পর পাই সাহেবের কন্ঠ শুনে আমি অতীতে হারিয়ে গিয়েছিলাম। অধ্যাপক তুং ইয়োছেন ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় এসেছিলেন। তাঁর চমৎকার বাংলা বক্তৃতা সরাসরি শুনারও দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। কিন্তু অনুষ্ঠানে তাঁর সাক্ষাতকারটি শিহাবুর রহমান অনুবাদ করেছেন। তুং ইয়োছেন এর কন্ঠে বাংলা শুনতে পেলে শ্রোতারা নিশ্চই আরো বেশি খুশি হতেন। পাই খাই ইউয়ান এবং শি চিং উ সাহেবের সাথে তুং ইয়োছেন এর সাক্ষাতকার অংশটিও স্বকন্ঠে বাংলায় প্রচার হলে অনুষ্ঠানটি আরো শ্রুতি মধুর হতো বলে আমার বিশ্বাস।
ঠিক আছে বন্ধুরা, তাহলে আজ আর নয়। আবার কথা হবে।
আল্লাহ হাফেজ।
বাংলাদেশের মাগুরা জেলার কুমার কোটা লিসনার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ আশরাফুল ইসলাম আমাদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, তাতে তিনি লিখেছেন:
আমি সিআরআই বেতারের একজন নিয়মিত ও পুরাতন শ্রোতা। আমি ও আমার ক্লাবের প্রতিটি সদস্য ও সদস্যা নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠান শুনে আসছি। সিআরআই-এর প্রতিটি অনুষ্ঠান এত ভালো লাগে তা আমি লিখে বুঝতে পারবো না। সিআরআই-এর অনুষ্ঠান খুবই চমত্কার। আমার ক্লাবের পক্ষে গত তেসরা জানুয়ারি নববর্ষ উপলক্ষে এবং ক্লাবের নবম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে আমার ক্লাবের সদস্য ও সদস্যারা এমনকি গ্রামের অনেক ব্যক্তি অংশ গ্রহণ করেন। আমি আমার ক্লাবের সাথে সিআরআইর সম্পর্কের উত্তোরাত্তোর সাফল্য কামনা করেছি। আমি গত ২রা জানুয়ারী সিআরআইথেকে প্রচারিত 'জীবন গানের দক্ষিণ এশিয়া' নামক নববর্ষ উপলক্ষে যে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হয় তা আমার ক্লাবের সকল সদস্য ও সদস্যা খুবই মনোযোগ সহকারে শুনছি এবং পুরো অনুষ্ঠানটি আমরা রেকডিং করে বিভিন্ন শ্রোতাদের শুনায়েছি। এই জন্য সবাই সিআরআই কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। নববর্ষ উপলক্ষে আমার কবিতা বিভিন্ন শ্রোতাদের কবিতা, গান এবং সিআরআই-এ আবাম সালাউদ্দিন ভাইয়ের কবিতা, জিনিয়া ওয়াংয়ের গান এবং মুক্তা আপার কৌতুক এতো ভালো হয়েছে তা আমি লিখে বোঝাতে পারবো না। আমরা ভবিষ্যতে এই রকম অনুষ্ঠান আরো শুনতে চাই। আশা করি নতুন বছর ২০১১ সাল সিআরআই আমাদের আরো নতুন নতুন অনুষ্ঠান উপহার দেবে এই শুভ কামনায়।
ভাই আশরাফুল, আপনার প্রশংসা আমাদের চলার পথের অনুপ্রেরণা পাযেয়। আশা করি আপনারা আমাদের অনুষ্ঠান শুনে অভিজ্ঞতারআলোকে নিজেদের ও সমাজকে সমৃদূ করে তুলবেন। আপনাদের ক্লাবের সবাইকে আমাদের রক্তিম শুভেচ্ছা।
বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার মোঃ কামাল হোসাইন তাঁর চিঠিতে লিখেছেন,
পত্রের শুরুতেই জানাই আন্তরিক অভিনন্দনও শুভেচ্ছা। সেই সদর বাংলা বসন্ত বরন ও বিশ্ব ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছাও জানাচ্ছি সিআরআই বাংলা বিভাগের সকল কর্মকর্তা, কলা-কৌশলীসহ সকল শ্রোতা বন্ধুদের। যে সব ক্লাবের সম্মানিত অতিথিগন এসেছিলেন তাদের কোন ছবিই স্মান পায়নি এ পুবের জানালায়। বিষয়টি আমার কাছে ভাল লাগেন। বই মেলায় সিআরআই এর কোন শলের যে কোন ছবি প্রকাশ পেলে যে সব শ্রোতারা যায়নি। তারা বুঝতে পারত সিআরআই-এর জনপ্রিয় কত। আশা করি ভবিষ্যতে এধরনের ছবি প্রকাশে কাপর্ন্য করবেন না।
শ্রোতা বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। শোনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি আগামী সপ্তাহের একই সময় আপনাদের সঙ্গে কাটাবো। যাই চিয়ান।–জিনিয়া ওয়াং
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |