|
আপনারা শুনছেন পেইচিং থেকে প্রচারিত বাংলা অনুষ্ঠান। আমি ওয়াং ছুই ইয়াং জিনিয়া এবং আমি আবাম ছালাউদ্দিন আমার প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা সবাই নিশ্চয়ই ভালো আছেন? আপনাদের সবাইকে একরাশ শুভেচ্ছা জানিয়ে এখন শুরু করছি আমাদের আজকের অনুষ্ঠান মুখোমুখি।
প্রথমেই আমাদের শ্রোতাদের চিঠি পর্ব।
আজকের অনুষ্ঠানের প্রথম বন্ধু হচ্ছে বাংলাদেশের পাবনা জেলার এস,এম,আবদুল্লাহ্ রানা, তিনি সিআরআই ফ্যান ক্লাবের সদস্য।
তিনি তাঁর ইমেইলে লিখেছেন,
প্রীতিভাজনেষু, বাংলা বিভাগের প্রিয় বন্ধুদের আন্তরিক ভালবাসা জানিয়ে শুরু করছি আজকের বার্তা। কেমন আছেন বন্ধুরা? ২০ মার্চের পুরো অনুষ্ঠান শুনলাম। চমত্কার অনুষ্ঠান মনপ্রাণ ভরে উপভোগ করেছি। এত সুন্দর মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠান উপহার দেয়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের
উপস্হাপিত সব অনুষ্ঠানই দারুণ শিক্ষণীয় এবং অনন্য মান সম্পন্ন। সর্বোপরি যথেষ্ট সময়োপযোগী অনুষ্ঠান শুনে আমরা পরিতৃপ্ত। আমাদের ধারণা অনুষ্ঠানের মধ্যে গান একটু কমিয়ে দিলে ভাল হয়। এব্যাপারে আমরা অন্যান্য অনেক শ্রোতার সাথে আলাপ করেছি-তারা সবাই একমত পোষণ করেছে। আপনাদের ই-মেইল পেয়েছি। ধন্যবাদ। আশা করছি অল্প দিনের মধ্যেই আপনাদের পাঠানো পুরস্কার হাতে পাবো।
ভাই, আপনার প্রশংসায় আমরা খুব খুশি, আপনার মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। উপহার সম্পর্কে আপনি একটু অপেক্ষা করুন, আমরা পাঠিয়ে দিচ্ছি।
এবার আবার মোঃ লুৎফর রহমানের ইমেইল, তিনি বাংলাদেশের ঢাকার চায়না রেডিও ফ্যান ক্লাবের পরিচালক।
তাঁর ইমেইলে তিনি লিখেছেন,
সিআরআই বাংলা বিভাগের প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন?
আশা করছি সুদূর পেইচিংয়ে সবাই মিলে খুব ভালো আছেন।
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যে, অনেকদিন ধরে আপনাদের সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারছি না। নানা কারণে একটু ব্যস্ত সময় কাটছে।
১১ মার্চ প্রচারিত মুক্ত মন মুক্ত চিন্তা অনুষ্ঠানটি নিয়ে একটা ই-মেইল পাঠাবো ভেবেছিলাম কিন্তু দেরি হয়ে গেলো। পেইচিংয়ে বসবাসরত রশিদ আমিন সাহেবের সাক্ষাতকারটি খুব মনোযোগ দিয়ে শুনলাম। উনি দীর্ঘ সময় চীনে বসবাস করছেন এবং খুব গভীরভাবে চীনের পরিবর্তন স্বচক্ষে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। তার ঋদ্ধ অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের জন্য যে বক্তব্য তিনি উপস্থাপন করেছেন তার মাধ্যমে চীনের শিল্প-সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারলাম। পেইচিংয়ের পরিবেশ এবং নিত্যদিনের অভিজ্ঞতাও তিনি শ্রোতাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
রশিদ আমিনের সাক্ষাতকার শোনার সময় আমার পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। চীন ভ্রমণকালে আমার সৌভাগ্য হয়েছিল পেইচিংয়ের ক্যাপিটাল মিউজিয়াম দেখার। যাদুঘরকে যে কোন দেশের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের দর্পণ বলা হয়ে থাকে। বিশাল চীন দেশে অসংখ্য যাদুঘর রয়েছে যাতে সংরক্ষিত উপাদান প্রাচীন চীনের গৌরবময় ঐতিহ্যের কথাই প্রকাশ করে। ক্যাপিটাল মিউজিয়ামে যেসব নিদর্শন সংরক্ষিত আছে তা সত্যিই খুব গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দেয়। বিশেষ করে সমসাময়িক প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের ঐতিহাসিক নিদর্শন পাশাপাশি প্রদর্শনের ফলে তৎকালীন বিশ্ববৈচিত্র্য এবং ঘটনাবলীর সাথে চীনের ঘটনাবলী তুলনা করার বা উপলব্ধি করার একটা ভালো সুযোগ রয়েছে। প্রাচীনকালের মুদ্রা, তৈজসপত্র, ঐতিহাসিক নিদর্শন ইত্যাদি নিয়ে বিশাল আয়তনের পেইচিং ক্যাপিটাল মিউজিয়াম আমাকে মুগ্ধ করেছে। বন্ধু শিয়ে নান এবং ছালাউদ্দিন ভাই জাদুঘরের অনেক ছবি আমাকে তুলে দিয়েছিলেন। আমার ধারণা নিজস্ব নিদর্শনে সমৃদ্ধ এতো বিশাল আকারের মিউজিয়াম সারা বিশ্বে খুব কমই আছে।
এখন থেকে চীনের যাদুঘরগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত একটি আনন্দের খবর। এর ফলে আরো বেশি সংখ্যক মানুষ অতীতকে জানার আগ্রহ এবং সুযোগ পাবে। আমরা কয়েকজন যখন পেইচিং ক্যাপিটাল মিউজিয়ামে গিয়েছিলাম তখন আমাদেরকে কোন চার্জ করা হয়নি। বাংলাদেশ থেকে গিয়েছি শুনে কর্তৃপক্ষ আমাদের বিনা টিকেটে যাদুঘর পরিদর্শনের সুযোগ দিয়েছিলেন। এটা সত্যিই মনে রাখার মতো ঘটনা।
সবশেষে আমাকে স্মৃতিকাতর করে দেয়ার মতো একটি সুন্দর সাক্ষাতকার উপহার দেয়ার জন্য সুবর্ণা ও ম্যাডাম ইউসহ বাংলা বিভাগের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের মাধ্যমে রশিদ আমিন সাহেবকেও অনেক ধন্যবাদ। অত্যন্ত চমৎকারভাবে তিনি তার চীনা অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। তার মাধ্যমে আমরা চীন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
সেই সাথে গত ১৮ মার্চ মুক্ত মন মুক্ত চিন্তা অনুষ্ঠানে সুবর্ণা, প্রকাশ এবং ছালাউদ্দিন ভাইয়ের সাথে পেইচিংস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার সাহেবের সাক্ষাতকারও খুব ভালো লেগেছে।
আশা করি, এ ধরণের সাক্ষাতকার ভবিষ্যতেও শুনতে পারবো। সবাই ভালো থাকবেন, এই শুভকামনায় আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি। যাই চিয়েন!!!
গান ১
বন্ধুরা, সম্প্রতি আমি হৃদয় খানের গান এত পছন্দ করি যে তাঁর গান আমি বার বার শুনি। তাহলে এখন আপনাদের সঙ্গে একটি গান শোনাছি, তা হচ্ছে ধোঁয়া ধোঁয়া।
ভারতের পশ্চিম বঙ্গের ইন্টারন্যাশনাল মিতালি লিসনার্স ক্লাবের মহ: হাফিজুর রহমান আমাদেরকেও এক ইমেইল পাঠিয়েছেন। তিনি লিখেছেন।
প্রিয় বাংলা বিভাগ,
আমার আন্তরিক প্রীতি ও বসন্তের স্নিগ্ধ শুভেচ্ছা নেবেন। নিয়মিত ভাবে আমি, আমাদের পরিবারের সকল সদস্য এবং আমাদের ক্লাবের সকলে আপনাদের বস্তুনিষ্ঠ অনুষ্ঠান শুনছি ও ওয়েব সাইট দেখছি। অনুষ্ঠান এবং ওয়েব সাইট অত্যন্ত উচ্চমানের ও বিশাল তথ্যের ভান্ডার। আমরা দারুণভাবে উপভোগ করি। প্রচারিত অনুষ্ঠানের মধ্যে 'সংস্কৃতিক সম্ভার' আমার অন্যতম প্রিয় অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে ২ মার্চ 'সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব' বিভাগে চীনের উসী শহরের স্বেচ্ছাসেবক ''থাং লিং'' কে নিয়ে পরিবেশনা শুনলাম। অন্যান্যকে সাহায্য করে তিনি যে আনন্দ পান তা জেনে খুব ভালো লাগলো। 'সংস্কৃতিক বিনিময়' বিভাগে চীনের শিকড় অনুসন্ধান ভ্রমণ শীর্ষক পরিবেশনায় চীনের প্রাচীন বাদ্যযন্ত্রের প্রতি চীনা বংশদ্ভুত বিদেশী ছেলেমেয়েদের জনপ্রিয়তার কথা জানতে পারলাম। ৯ মার্চ ''সংস্কৃতিক সম্ভার'' অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক বিনিময় বিভাগে সিঙ্গাপুরে চীনা দুতাবাসে চীনা ভাষা শিক্ষার শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা আমাদের মুগ্ধ করলো। এটা শিক্ষকদের জন্য একটা উপযুক্ত জানালা। শিক্ষকরা সমাজ গঠনের চাবিকাঠি। চীনে যে শিক্ষকদের যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয় তা জানতে পারলাম। 'সংস্কৃতিক ঘটনা' বিভাগে ইউরোপীয় ইউনিয়িনের প্রতিনিধিদের চীন সফরে আসা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরুণ তরুণীদের মধ্যে সংস্কৃতিক বিনিময় বিষয়ে পারস্পারিক সমঝতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। ১৬ মার্চ সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক ইটালির মার্ক মুলারকে নিয়ে পরিবেশনা খুব ভালো লাগলো। বিশ্বে তার অবদান মনে রাখার মত। চীনের চলচ্চিত্র বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সব চলচ্চিত্র উত্সবে প্রদর্শনের জন্য তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। চীন ও ইতালির চলচ্চিত্রের সংশ্লিষ্টতা, যোগাযোগ ও সহযোগিতা আরো জোরদার হবে বলে মনে করি। সংস্কৃতিক বিনিময়ে চীনের বিশিষ্ট কৌতুক অভিনেতা 'পিং কং ছুয়াং' -এর বিদেশীদের কৌতুক শেখানো অর্থাত্ উত্তর প্রত্যুত্তর কৌতুক ও চীনা ভাষাকে জনপ্রিয় করার প্রচেষ্টা সমন্ধে জানতে পারলাম। দারুণ দারুণ সব পরিবেশনা আমাদের মোহিত করেছে। অনুষ্ঠানগুলিতে পরিবেশিত গানগুলি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে এক্স জাপানের গানগুলি বেশ ভালো ছিল। সুন্দর ও আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান উপহার দেবার জন্য চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সকলকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই।
আমাদের প্রশ্ন হল :- চীনের সবাক চলচ্চিত্র কত সালে চালু হয়? প্রথম চলচ্চিত্রের নাম কি?
চীনের চলচ্চিত্র ১৮৯৫ সালে শুরু হয়। প্রথম চলচ্চিত্রের নাম হচ্ছে ডিং চুন সান। তা হচ্ছে চীনের চলচ্চিত্রের সূচনা।
গান ২
বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান শেষ করার আগে আরেকটি গান আপনাদের শোনাবো, শিল্পী লিজার কন্ঠে 'ধীরেতে নিরবে' নামে একটি সুন্দর গান। আশা করি আপনারা এ গান পছন্দ করবেন।
间奏
শ্রোতা বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করছি। শোনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি আগামী সপ্তাহের একই সময় আপনাদের সঙ্গে কাটাবো। যাই চিয়ান।–জিনিয়া ওয়াং
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |