নবম কারণ হল ল্য পাহাড় অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম বৃদ্ধমুর্তি দর্শন করা
2011-03-16 10:46:41 cri
বাংলাদেশের নাগাঁও জেলার ফ্লেইন্ডজ ডিএক্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আব্দুর রশ্বিদ আনছারী তাঁর রচনায় লিখেছেন, আসলে আমি সিছুয়ান যেতে চাই কেন যেতে চাই, এই প্রশ্নের উত্তরেই রয়েছে আমার মনের অসংখ্য কল্পনা এবং প্রাচীন সিছুয়ানের অসংখ্য গুরুত্ব মা আমি এখানে রচনার মারফত্ কলমের টানে তুলে ধরতে চাই। আমি সিছুয়ানে যেতে চাই কেন? এই প্রশ্নের সর্ব প্রথম উত্তরে আমি বলতে চাই ১৮ই মে সিছুয়ানের ভয়াভহ ভূমিকম্পের নিষ্ঠুরতম শিকার হয়ে নিহত হওয়া লোকদের স্মরণে মোমবাতি জালিয়ে শোক নালন করতে এবং তাদের আত্মরে চিরশান্তি কামনায় প্রার্থনা করতে আমি সিছুয়ানে সবসময় যেতে চাই। আর পাথে সামে এমনও যদি কেও ঐ ধ্বংসত্মক ভূমিকম্পের আঘাতে আঘাতপ্রাপ্ত, তাদেরকে সেবা শুশ্রসা করার জন্যে আমি সিছুয়ানে যেতে চাই। আহত হওয়া লোকদেরকে সেরা করতে পারলে নিজেকে যেন ধন্য বলে মনে হবে। দ্বিতীয়ত, আমি সিছুয়ানে যেতে চাই ইংরেজী 'Y' অক্ষরের মত বিশ্বের স্বর্গ চিউ চাই কৌ উপত্যকা দেখতে মরে দৈর্ঘ্য চল্লিশ কিলোমিটারে। তৃতীয়ত, আমি সিছুয়ানে যেতে চাই সিছুয়ানের চিউ চাই কৌতে অবস্থিত ১৭টি জণ প্রপাতে দেখার জন্যে। জলপ্রাতের সৌন্দের্য্যে আমাকে বিরাট মুগ্ধ করে আর তাই বিশ্বের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের তালিকায় তালিকাভুক্ত এই জলপ্রপাতগুলো দেখতে খুবই ইচ্ছে হয়। চতুর্থত, আমি সিছুয়ানে যেতে চাই এর আর একটি উল্লেখমুগ্য কারণ হল বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন মূল্যবান ও বিরল প্রাণী পান্ডাকে স্বচুক্ষে দেখার জন্যে। যেহেতু পান্ডা হচ্ছে চীনের রাষ্ট্রীয় সম্পদ আর সিছুয়ান হচ্ছে বিরল রাষ্ট্রীয় সম্পদ পান্ডার জন্মস্থানে, সেই হেতুকে আমার কাছে সিছুয়ানের গুরুত্ব অবর্ণনীয়। পঞ্চমে, আমি সিছুয়ানে যেতে চাইএর আর একটি কারণ হল আমি পান্ডার জন্মস্থান সিছুয়ানে গিয়ে পান্ডার সাথে অধিক থেকে অধিকতর সময় ব্যয় করে নিজে একজন স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার উদ্দেশ্যে। কেননা পান্ডার জন্যে একজন স্বেচ্ছাসেবক হতে পারলে অবশ্যই অবশ্যই আনন্দিত ও উত্ফুল্লিত হব। যষ্ঠ, আমি সিছুয়ান যেতে চাওয়ার আর একটি অন্যতম কারণ হল সারা বিশ্বে চীনের প্রথম পাহারে নামে পরিচিত এ্যমেই পাহাড় ভ্রমন করার জন্যে। ভারতীয় সন্ন্যাসী পাও চাং এ দেয়ার চেনতানের প্রথম পাহাড় নামের প্রশংসানীয় পাহাড়টি আমি একজন ভারতীয় হিসেবে দর্শন করতে অত্যন্ত আগ্রহী। কেননা এই এ্যমেই পাহাড়ের নাকি রয়েছৈ অনেক বৈশিষ্ঠ। সপ্তমে কারণ হল চীনের অন্যতম বৌদ্ধ প্রধান তীর্মস্থানে দর্শন করা ও এই বৌদ্ধ ধর্মের গভীর ধর্মীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে খানিকটা জ্ঞান আহরণ করা। ভিন ভিন ধর্মের ধর্মীয় তীর্থস্থানে দর্শন করা হচ্ছে আমার ধর্মীয় অভিকারে একটা অন্যতম অভিরুচি। আষ্টম কারণ হল এ্যমেই পাহাড়ের বৌদ্ধ কিরণ দেখরে আশায়। এই বিস্ময়কর বৌদ্ধ কিরণ দেখতে মেন আমি খবই আগ্রহী। নবম কারণ হল ল্য পাহাড় অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম বৃদ্ধমুর্তি দর্শন করা। মার উচ্চতা নাকি ৯০ মিটারেরও বেশি। কাঁধের বিস্তার ২০ মিটারের বেশি। নদীর ওপর দারিয়ে থাকা পাহাড় সমান বিশ্বের বৃহত্তম বুদ্ধমুর্তি দেখা আমার খুব ইচ্ছা হয়। দশতম কারণ হল রহস্যপূর্ণ সানপিংতুই যাদুঘর দর্শন করা মার সাহায়ে আমি বহু বছর পুরনা সানমিংতুই সভ্যতা সম্পর্কে মনিকটা জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হব। ভিন ভিন দেশের ভিন ভিন সভ্যতার বিসয়ে আমি একবিংশ শতিকরে একজন মানুষ হিসেবে জনোটা অবশ্যই দরকার। একার নম্বর কারণ হয়েছে সানসিংতুইতে আরিস্কৃত মূল্যবান পুরাকীর্তি দর্শন করা। বিশেষ করে শুরাষ্ট্রের প্রথম রাজার আসল মুখের মূর্তি দেখতে ব্রোন্জের সুখোশ এবং রাষ্ট্রীয় মূল্যবান বস্তু। বারতম কারণটি হল আকর্ষনীয় পুরাকীর্তি মুংথিয়ান গাছ দর্শন করা। বিশ্বের বিস্ময়স্বরূপ ৩৬ মিটারের ব্রোন্জ দিয়ে তৈয়ারী চমত্কার এমন ভাস্কর্য্য না দেখতে ইচ্ছে করা মানুষ পৃথিবীতে কি কেও আছে? তেরতম কারণ হল ছিংছে পাহাড় অবস্থিত কয়েক ডজন মন্দির ও বহু মূল্যবান পুরাকীর্তি দর্শন করা। সেগুলো নাকি গভীর পাহাড়ের ঘন বনে লুকিয়ে আছে এবং ভালভাবে চার পাশের পাহাড়, বন ও ঝর্ণার সঙ্গে মিশে আছে। ১৪তম কারণ হল এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে আরিস্কৃত সবচেয়ে প্রাচীন জলসেচ প্রকল্প মিন নদীর মধ্য অববাহিকায় অবস্থিত তুচিয়াং বাঁধ দর্শন করা। সবশেষে আমি আবারও একবার ১৮ই মে সিছুয়ানের ভয়াবহ ভূমিকম্পের নিষ্ঠুরতম শিকার হয়ে প্রাণ হারান লোকদের স্মরণে মোমবাতি জালিয়ে শোক পালনের আশায় এবং চমত্কার ও রহস্যময় সিছুয়ানের সৌন্দর্য্য সভ্যতা তথা সংস্কৃতি দর্শনের প্রত্যাশায় আমার নিবন্ধে এখানেই ইতি চানছি। আব্দুর রশ্বিদ আনছারী, আপনি অনেক লম্বা ও সন্দুর রচনা লিখেছেন। আমি এখানে শুধু এতকুটু পড়তে পারি। আপনি সিছুয়ানে যেতে চাওয়ার ১৪টি কারণ আমরা এখন জানি। আশা করি, আপনি সিছুয়ানে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। আমনি সিছুয়ানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শিকার লোকদেরকে শোক প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ জানাই।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা