|
আসলে বিশেষ অনুষ্ঠানটিতে শ্রোতাদের তৈরি করে পাঠানো অনুষ্ঠানই প্রচার করা হয়েছিল। তবে আরো অনেক শ্রোতা আমাদের কাছে তাদের অনুষ্ঠান পাঠিয়েছিলেন, আমরা দুঃখিত যে তাদের সবার অনুষ্ঠান প্রচার করা সম্ভব হয়নি। অনেকে আবার আমাদের কাছে চিঠি ও ইমেইল পাঠিয়েছিলেন। যাদের অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়নি আমাদের সেইসব বন্ধুরা আপনাদের জানাই ধন্যবাদ। আগামীতে আপনাদের অনুষ্ঠান প্রচারের ব্যবস্থা নেবো। কি খুশিতো?
ভারতের পশ্চিম বঙ্গের ইন্টারন্যাশনাল মিতালি লিসনার্স ক্লাবের মহ: হাফিজুর রহমান কবিতা লিখে পাঠিয়েছেন, তা হলো
বাংলা ভাষা আমার ভাষা।
বাংলা ভাষা তোমার ভাষা।
বাংলা আমার দেশের ভাষা।
বাংলা আমার মায়ের ভাষা।
সুখের ভাষা দুখের ভাষা।
বাংলা ভাষা বাংলা ভাষা।
আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে ভরা
কত মাধুর্যতায় ভরা ।
২১ শের বাংলা ভাষা
তাজা রক্তের বাংলা ভাষা।
একই সুরে কলতানে
গেয়ে ওঠার বাংলা ভাষা।
তিনি আরো লিখেছেন, পুরো পরিবেশনা দারুণ, আকর্ষণীয় ও উপভোগ্য ছিল, এক কথায় অনবদ্য অনুষ্ঠান। মাতৃভাষা ভাষা দিবস উপলক্ষে বিশেষ সাক্ষাত্কার ভিত্তিক মতামত, লুত্ফুর রহমানের গান 'আমি বাংলায় গান গাই আমি বাংলার গান গাই' দারুণ ভালো লাগলো। এম,বি,জামান সিদ্দিকীর ধারণকৃত অনুষ্ঠান "স্মরণে সম্প্রীতি'' আমাদের মন ছুঁয়ে গেল। ''বর্ণমালা আমার দুখিনি বর্ণমালা ও জন্মদিন শীর্ষক দুটি কবিতা এবং আমায় গেথে দাও মাগো একটা পলাশ ফুল, আমায় যদি প্রশ্ন কর অজানা নদীর কোন দেশ বলব আমি বাংলাদেশ, মাগো ওরা বলে শীর্ষক চারটি গান আর আব্বাসউদ্দিন আহমদের কন্ঠে স্বরচিত কবিতা পাঠ খুব ভালো লেগেছে। তাছাড়া দেবব্রতসাহার গল্প ''মায়ের ভাষা প্রাণের স্পন্দন এবং ভাষা সংক্রান্ত মহা মনিষীদের মন্তব্য ভিত্তিক প্রতিবেদন এক অসাধারণ পরিবেশনা। পুরো পরিবেশনা আমাদের বিশেষ ভাবে আকৃষ্ট করেছে। আপনাদের স্বার্থক প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ।
এবারে রয়েছে একটি গান। এ গানটি গেয়েছেন বাংলাদেশের শিল্পী মনির...................................
বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার ফ্রেন্ডস রেডিও ক্লাবের প্রেসিডেন্ট দেওয়ান রফিকুল ইসলাম লিখেছেন,
বাংলা বিভাগের সবার প্রতি রইল প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আমি একজন নিয়মিত শ্রোতা। দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে অনুষ্ঠান শুনছি। বিগত বছরগুলো থেকে বর্তমানে অনুষ্ঠানের মান অনেক অনেক উন্নত হয়েছে একথা সকল শ্রোতা স্বীকার করতে বাধ্য। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা আপনাদের ও বিশ্বের ভাষা, শিল্প, সাহিত্য, সাংস্কৃতি, জীবনযাত্রা, দর্শনীয় স্থান, তথ্য প্রযুক্তি, অর্থনীতি রাজনীতিসহ সকল বিষয় জানতে পারছি যা বিশ্বের অন্য বেতার থেকে পাওয়া যায়না । তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে আমরাও তার সাথে যুক্ত হচ্ছি । এখন ঘরে বসে কম্পিউটার ও মোবাইলের মাধ্যমে আপনাদের ওয়েবপেজ দেখতে ও অনুষ্ঠান শুনতে পাচ্ছি। প্রতিটি অনুষ্ঠান অত্যন্ত চমকপ্রদ, নিরপেক্ষ বাস্তবধর্মী শিক্ষণীয় ও আনন্দদায়ক। যা সকল বয়সের শোতাদের আকৃষ্ট করে। আমরা আমাদের এলাকাতে শ্রোতা সংখা বাড়ানোর জন্য কাজ করে চলেছি। মাইকের মাধ্যমে আমরা আপনাদের অনুষ্ঠান প্রচার করছি ও অনুষ্ঠানসূচী ফটোকপি করে বিতরণ করছি।
বাংলাদেশের পাবনা জেলার সিআরআই ফ্যান ক্লাবের এস.এম.আবদুল্লাহ্ রানা লিখেছেন, আমাদের প্রাণ প্রিয় CRI বাংলা বিভাগের বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ।কেমন আছেন সবাই? আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলহ্মে শ্রোতাদের অংশ গ্রহণে ২০ ফেব্রুয়ারি রাতের প্রচারিত বিশেষ অনুষ্ঠান শুনে আমরা অত্যন্ত মুগ্ধ এবং অভিভূত। চমত্কার অনুষ্ঠান উপহার দেয়ার জন্য
সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ ।আমাদের ক্লাবের অনুষ্ঠানের জন্য যে উপহার প্যাকেট আপনারা পাঠাবেন তাতে কী কী থাকবে ই-মেইলের মাধ্যমে জানালে খুবই উপকৃত হবো । কেননা সে প্যাকেটে বাংলাদেশ শুল্ক কর্তৃপক্ষ অস্বাভাবিক ভাবে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করবে। যেটা বহন করা আমাদের পহ্মে সম্ভব নাও হতে পারে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার জন্য আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এবছর বাংলাদেশে কবে আপনারা শ্রোতা সম্মেলন করবেন? জানালে খুশি হবো। শুভেচ্ছান্তে,
আপনাদের বিশ্বস্ত এবং অতি পুরাতন শ্রোতা।
ফরিদপুরের বন্ধু, ইমন, আপনি বাংলাদেশ বা ভারতের মানুষ? পরবর্তী ইমেইলে আমাদেরকে জানাবেন। কারণ, ফরিদপুর বাংলাদেশে এবং ভারতেও আছে, তাই দেশের নাম এক্ষেত্রে উল্লেখ করা বান্ছনীয়। তিনি জানতে চেয়েছেন বাংলা সার্ভিসের শ্রোতা সংখ্যা কত?
ভাই ইমন, আমাদের বাংলা বিভাগের শ্রোতার সংখ্যা বলা খুব কঠিন। কারণ লাখ লাখ শ্রোতা আমাদের অনুষ্ঠান নিয়মিত শোনেন। তবে তার মধ্যে বেশিরভাগই আমাদের কাছে চিঠি পাঠান না। তবে আমরা যাদের কাছ থেকে নিয়মিত চিঠিপত্র পাই ২০১০ সালে তার সংখ্যা ছিল ২,২২,৫৭৩। আগের বছরের চেয়ে দশ হাজার বেশী নতুন শ্রোতার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের শ্রোতা ক্লাবের সংখ্যা বাংলাদেশে আগের চেয়ে ১২টি বেড়েছে এবং ভারতে বেড়েছে একটি । তাই আপনি যদি আগ্রহী হন, তাহলে আপনি আপনার এলাকায় একটি নতুন ক্লাব খুলতে পারেন বা আপনার এলাকার কোন ক্লাবের সাথে যোগ দিতে পারেন। তাহলে আপনার পক্ষে সুবিধা হবে একজন পূর্ণাঙ্গ শ্রোতা হিসেবে আমাদের ভালো বন্ধু হবার।
এবারে আবারো একটি গান। এ গানটি গেয়েছেন শিল্পী পারভেজ। তিনি গেয়ে শোনাচ্ছেন 'যাবি যদি'। সবাই মিলে শুনুন তাহলে তার গানটি।
শ্রোতা বন্ধুরা, কথায় কথায় সময় কখন যে শেষ হয়ে যায়, বোঝাই যায় না। না চাইলেও আমাদের আজকের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করতে হচ্ছে। এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে শোনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি আগামী সপ্তাহের একই সময় আবার আপনাদের সঙ্গে কাটাবো। ততদিন সবাই আনন্দে থাকুন। যাই চিয়ান।–জিনিয়া ওয়াং
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |