|
বন্ধুরা, আমি ওয়াং ছুই ইয়াং এবং আমি আবাম ছালাউদ্দিন এখন শুরু করছি আপনাদেরই প্রিয় শ্রোতাদের মুখোমুখী পর্ব।
ভারতের ধীরেন বসাক তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আপনাদের চলুন বেড়িয়ে আসি অনুষ্ঠানটি আমার ভীষণ প্রিয় অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আপনারা যখন চীনের নানা প্রদেশের পাহাড়, নদী, ঝর্ণা, মন্দির, বন, তুষার, উপতক্যা ও প্রকৃতির সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে আমাদের জন্য রেডিওর মাধ্যমে প্রচার করেন, তখন আমরা বাড়ীতে বসে, রেডিওর মাধ্যমেই শুনি। এবং সেই সব সুন্দর দর্শনীয় স্থান, আপনাদের চোখ দিয়ে আমরা দেখতে পাই।
বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার আই পি এম ফ্যান ক্লাবের শ্রী সুকদেব কুমার ঘোষ তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, নি হাও? আমার আই পি এম ফ্যান ক্লাবের সকল শ্রোতাবন্ধু নিয়মিত সি আইর বাংলা অনুষ্ঠান শুনে থাকে এবং চিঠি পাঠিয়ে থাকে। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের প্রতিদিনের প্রতিটি অনুষ্ঠান আমাদের মুগ্ধ করে থাকে। তাই তো প্রতিদিন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের অনুষ্ঠান না শুনে থাকতে পারি না। অনুষ্ঠান যতই শুনি, ততোই যেন চুম্বকের মত আকর্ষণ করে। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রচারিত 'মুক্ত মন মুক্ত চিন্তা' অনুষ্ঠানে ম্যাডাম ইউ কুয়াং ইয়ু সাংহাই বিশ্বমেলা চত্বরে ২০ সেপ্টেম্বর বাংলদেশ "প্যাভিলয়নে" বাংলাদেশ দিবস উদযাপন সম্পর্কে সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। সে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব ফারুক খান উপস্থিত ছিলেন এবং সাংস্কৃতিক দল বিভিন্ন রকমের নাচ-গান, নাটক এবং বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও সুন্দরবনকে বিশ্বের আশ্চর্যজনক তালিকায় আন্তভূক্তির প্রতিযোগিতায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ দিবস অনুষ্ঠানে চীনের মন্ত্রীও বাংলাদেশ প্যাভিলয়নে উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন চীনে অবস্থিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুনসি ফয়েজ আহমেদ ও তার স্ত্রী এবং চীনে অবস্থানরত ছাত্র-ছাত্রী। ম্যাডাম ইউ কুয়াং ইউয়ু ফারুক খানের সাক্ষাত্কার গ্রহণ করলেন। সাক্ষাত্কারে প্যাভিলিয়নে চীনাদের উপস্থিতির কথা শুনে খুব ভাল লাগলো। এই সাক্ষাত্কারের অংশ বাংলাদেশ টেলিভিশণেও দেখতে পেলাম। যাই হোক বাংলাদেশ প্যাভিলয়নের অজানা অনেক কথা জানতে পারলাম। এ জন্য 'মুক্ত মন মুক্ত চিন্তা' অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ম্যাডাম ইউকে অজস্র ধন্যবাদ জানাই।
আজ শনিবার সি আর আই থেকে অনেক পেয়েছি। দক্ষিণ এশিয়ার ঘটনা প্রবাহ ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেদন পুনঃপ্রচার করা হলো। শ্রোতা সন্ধ্যা মানে শ্রোতাদের আকর্ষণ। শ্রোতা সন্ধ্যায় আমার চিঠি পাঠ করে শোনানো হলো ও অপর একটি চিঠির প্রশ্নের উত্তর দেয়া হলো। আপনারা জানেন কি হাজার হাজার চিঠির মধ্যে নিজের চিঠির উত্তর পেলে কত যে ভালোলাগে, তা বুঝিয়ে লেখা কষ্ট। ছাই ইউয়ে অনেক কষ্ট করে আমাদের চিঠিগুলো মনোনীত করেন। তাই ছাই ইউয়েকেও ধন্যবাদ জানাই।
আমাদের BBSর একজন বন্ধু মোঃ লুত্ফর রহমান লিখেছেন, আজ বাংলাদেশের প্রায় সব জাতীয় দৈনিকে সাংহাই বিশ্বমেলার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন দিবস উদযাপন বিষয়ক খবর অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ দুই দেশের পারস্পরিক বন্ধুত্ব আরো দৃঢ়তর হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। আমিও মনে করি, দুই দেশের মধ্যে অবকাঠামো, যৌথ বিনিয়োগ আর যোগাযোগের ক্ষেত্র আরো প্রসারিত হবে। দুই দেশ পারস্পরিক উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে আরো বেশিমাত্রায় সফল হলে এটা হবে আমাদের দুই দেশের সাধারণ জনগণের জন্য অত্যন্ত আনন্দের।
আরেকজন বন্ধু নাজিম BBS-এ লিখেছেন কেমন আছো বন্ধুরা? ভালোতো সবাই। অনেক দিন পর তোমাদেরকে আবার দেখলাম প্রায় তিন বছর পর। তোমাদেরকে খুব সুন্দর লাগছে! আমি এখন সৌদি আরবে থাকি। তোমাদের সাথে তাই সময়ের কারণে তোমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনা। তোমাদের পাঠানো বাংলা পত্রিকাসহ অনেক পুরস্কার আমার দেশে আছে। কী না ভালো লাগতো যখন ছাত্র অবস্থায় ১৯৯৭ সালে তোমাদের অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনতাম আর চিঠি লিখতাম। বন্ধুরা, আমার একটা স্বপ্ন আছে চীন ভ্রমণ করা আর তোমাদের সাথে আড্ডা দেয়ার জন্য। তোমার ভালো থেকো।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |