Web bengali.cri.cn   
চীনের সংবিধান সম্পর্কিত কিছু জানতে চান।
  2010-10-29 17:20:44  cri
এ ক্লাবের শ্রোতা সানজিনা জামান চীনের সংবিধান সম্পর্কিত কিছু জানতে চান। আপনার প্রশ্নের জবাব হচ্ছে, চীনের সংবিধানের নাম হল গণ প্রজান্ত্র চীন সংবিধান। সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্রের এক মৌলিক আইন । এতে সাধারণতঃ একটি দেশের সমাজ ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মৌলিক নীতিসমুহ , রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর সংগঠন ও তার কার্যকলাপের মৌলিক নীতিসমুহ , নাগরিকের মৌলিক অধিকার ও দায়িত্ব প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয় । কোনো কোনো দেশের সংবিধানে দেশের জাতীয় পতাকা , জাতীয় সংগীত , রাজধানী আর শাসক শ্রেনীর ধারনায় গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে । সংবিধান রাষ্ট্রীয় জীবনের বিভিন্ন দিকের সংগে সম্পর্কিত। সংবিধান সর্বোচ্চ আইনগত ক্ষমতা সম্পন্ন একটি আইনবিধি , সংবিধান অন্য আইন প্রনয়নের ভিত্তি, কোনো আইনই সংবিধানের সংগে অসংগতিপূর্ণ হতে পারে না। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার প্রাক্কালে প্রকাশিত " চীনের গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের অভিন্ন কর্মসূচী " যেমন চীনের জন- গণতান্ত্রিক ঐক্য ফ্রন্টের কর্মসূচী , তেমনি চীনের একটি অস্থায়ী সংবিধান । চীনের জনগনের রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে " অভিন্ন কর্মসূচী " গৃহিত হওয়ার পর ১৯৪৯ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয় । ১৯৫৪ সালে " গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সংবিধান "প্রকাশের আগে " সাধারণ কর্মসূচী " বাস্তব ক্ষেত্রে অস্থায়ী সংবিধানের ভুমিকা পালন করেছে । ১৯৪৯ সালের পয়লা অক্টোবর গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর চীন ১৯৫৪ সালে , ১৯৭৫ সালে , ১৯৭৮ সালে আর ১৯৮২ সালে মোট চারবার সংবিধান সংশোধন ও প্রকাশ করেছে । চীনের চতুর্থ সংশোধিত সংবিধান ১৯৮২ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর চীনের পঞ্চম জাতীয় গণ কংগ্রেসের পঞ্চম অধিবেশনে গৃহিত হয়ে প্রকাশিত হয় । এই সংবিধানে ১৯৫৪ সালের সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলোর উত্তরাধিকার সুত্রে বিকাশ করা হয়েছে , চীনের সমাজতান্ত্রিক বিকাশের অভিজ্ঞতার সারসংকলন করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাগুলো গ্রহণ করা হয়েছে । এই সংবিধান চীনের স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতান্ত্রিক আধুনিকায়নের গঠনকাজের চাহিদার সংগে সংগতিপূর্ণ একটি মৌলিক বিধান । এই বিধানে চীন গণ প্রজাতন্ত্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থা , অর্থনৈতিক ব্যবস্থা , নাগরিকের অধিকার ও দায়িত্ব , রাষ্ট্রীয় সংস্থার বিন্যাস ও তাদের দায়িত্ব আর দেশের ভবিষ্যত মৌলিক কর্তব্য স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে । তার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এতে চীনের মৌলিক ব্যবস্থা ও মৌলিক কর্তব্য নির্ধারন করা হয়েছে এবং চারটে মৌলিক নীতি আর সংস্কার ও উন্মুক্ততার মৌলিক কর্মসুচী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । এতে বলা হয়েছে চীনের সকল জাতির জনগণ ও সকল সংগঠনের উচিত সংবিধানের মৌলিক নীতি অনুসরণ করা , কোনো সংগঠন বা ব্যক্তির সংবিধান ও আইন অতিক্রম করার বিশেষ অধিকার নেই । এই সংবিধান পাঁচ ভাগে বিভক্ত , এই পাঁচ ভাগ হলোঃ ভুমিকা , সাধারণ নীতিসমুহ , নাগরিকের মৌলিক অধিকার ও দায়িত্ব , রাষ্ট্রীয় কাঠামো , জাতীয় পতাকা ও জাতীয় প্রতীক আর রাজধানী । সংবিধানে মোট চার অধ্যায়ে ১৩৮টি ধারা আছে । সংবিধানটি প্রকাশের পর আরো নিখুঁত করার জন্য মোট চার বার সংশোধন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040