নির্বাচিত শ্রোতাদের চিঠির অংশ
2010-09-23 20:04:06 cri
বন্ধুরা এখন নির্বাচিত শ্রোতাদের চিঠির অংশ বিশেষ পড়ে শোনাবো। বাংলাদেশের ঢাকার চুয়াডাঙ্গা জেলার শ্যামলী কর্মকার তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, সিআরআই যেন হৃদয় থেকে উঠে আসা একটি নাম। আমি অনুষ্ঠানের নিয়মিত একজন দর্শক। আমি যখন অনুষ্ঠান শুনি তখন মনে হয় আমি বুঝি চীন দেশে হারিয়ে গেছি। চীন দেশের সভ্যতা, সৃস্কৃতি এবং নানা অজানা ঐতিহ্য জানতে পারি। অনুষ্ঠান যখন শেষে হয়ে যায় তখন মনে হয় আরোকিছুক্ষ যদি থাকতে পারতাম সিআরআই'র অনবদ্য অননুষ্ঠানগুলির মধ্যে। অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে সংবাদ, চলুন বেড়িয়ে আসি, অজানা কাহিনী এবং সংস্কৃতি সম্ভার। পরিশেষে বলতে চাই চীন আন্তর্জাতিক বেতার যেন আমাদের সবার সাথে যেন সবসময় থাকে। বাংলাদেশের বগুড়া জেলার পাইওনিয়ার রেডিও এন্ড টিভি ক্লাবের সভাপতি এম.এ,বারিক তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নবী হযরত সহাম্মদ বলেছেন, জ্ঞান আহরণের জন্য প্রয়োজনে চীন দেশে যাও। এখন আর চীন দেশে যেতে হবে না। কারণ সিআরআই নিয়মিত শুনলে চীনে যাওয়ার আশা কিছুটা মিটবে। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের অনুষ্ঠান সত্যিই শিক্ষানীয়। অজানা কাহিনী, সংস্কৃতি সম্ভার, মুক্ত মন মুক্ত চিন্তা, চলুন বেড়িয়ে আসি, অর্থনীতির অগ্রযাত্রা, চীনা ভাষা শিক্ষার আসর, চীনের সংবাদ, সুরের ভুবন এবং সর্বপুরি শ্রোতা সন্ধ্যা আমার অত্যন্ত প্রিয় অনুষ্ঠান। এস, এ, বারিক, আপনি আমাদের অনুষ্ঠানের প্রশংসা করার জন্য ধন্যবা জানাই। আমাদের দায়িত্ব হল বিশ্বকে চীন প্রচার করা এবং বিশ্বকে বিশ্ব প্রচার করা। আশা করি, আমরা ভালভাবে এ দায়িত্ব পালন করছে। যদি আপনাদের কোনো মতামত ও প্রস্তাব থাকে, তাহলে আমাদেরকে জানাই। আমরা আরো তথ্য সমৃদ্ধ অনুষ্ঠান তৈরীর চেষ্টা করবো। বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার সূর্য তরুণ ক্লাবের সভাপতি শাহনেওয়াজ পারভেজ মাসুম তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমরা গরমের প্রচন্ড তীব্রতাকে অতিক্রম করেও নিয়মিত আপনাদের সাথে রয়েছি। অত্যন্ত নিপুন আওয়াজ সুমধুর কল্পনা আর সুরেলা কন্ঠে উপস্থাপন আর অনুষ্ঠানের নতুনত্ব যেন দিন দিন আরও সমৃদ্ধ করছে এই বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠান সমৃহকে। আমরা সত্যিই মুগ্ধ ও অনুপ্রানিত যে আমরা আপনাদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত্ সেতু বন্ধুনে আপনাদের সাথে আবদ্ধ হতে পেরে। আশা ও বিশ্বাস আমরা নিয়মিত আমাদের কিডব্যাক আপনাদের অবহিত করবো। রবিবার যখন শ্রোতা বন্ধুদের চিঠি পত্র নিয়ে আপনারা বসেন তখন মনে হয় যেন সত্যিই আমরা আপনাদের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসেছি। পর সামাচার এই যে প্রকৃতির নিষ্ঠুর আচরণের প্রতিচ্ছবি ১৪ তারিখের ভয়াবহ চীনের ভূমিকম্প। এতে সত্যিই আমরা আন্তরিকভাবে বেদনার্থ এবং সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের দ্রুত কল্যান কামনায় আমরা সকল শ্রোতাবন্ধু বিধাতার নিকট সাহায্যপ্রার্থী। শাহনেওয়াজ পাভেজ মাসুম, আপনাকে চীনে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সমোবেদনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই। এখন ভূমিকম্প সংঘটিত স্থানের পুনর্গঠন সুষ্ঠুভাবে চলচ্ছে। আপনি আমাদের অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে শোনার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আসলে শ্রোতা সন্ধ্যা অনুষ্ঠান হল আমরা শ্রোতাবন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের একটি সুযোগ। আশা করি, শ্রোতা বন্ধুরা আরো বেশি মতামত ও প্রস্তাব করবেন। আমরা আপনাদেরকে প্রশ্নের উত্তর দেয়া চেষ্টা করবো। বাংলাদেশের কুশ্টিয়া জেলার মানজিলা তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের একজন নিয়মিত শ্র্রোতা। সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান খুব আগ্রহসহকারে শুনে থাকি। আমার অনেক ভাল লাগে। সিআরআই'র বিশ্ব সংবাদের নিরপেক্ষতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। মিতালী, চুলন বেড়িয়ে আসি, মুখোমুখি, বিজ্ঞান বিচিত্রা এই সব মনকাড়া অনুষ্ঠানগুলি সত্যি আমার মন কেড়ে নিয়েছে। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। এই বাংলা ভাষায় ভাইয়া ও আপুদের চমত্কার উপযাপনা সত্যি খুবই ভাল লাগে। আমার আরো ভাল লাগে যখন ডাকপিয়ন আমাদের বাড়িতে এসে আপনাদের পাঠানো বিভিন্ন তথ্য ভিত্তিক পুবের জানালা পত্রিকা, ছোট ছোট শুভেচ্ছা কার্ড দিয়ে যায়। কিন্তু মাঝে মাঝে খুবই কষ্ট লাগে আমাদের গ্রামের ডাকপিয়নের বেযেয়ারী অবহেলা। যাইহোক আমি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি, আরো করতে চাই। এবারের পুবের জানালা পত্রিকা আমার খুবই ভাল লেগেছে চীন দেশের নতুন নতুন তথ্য জানতে পেরে। আমি অনেকেরই উত্সাহিত করেছি, আমার ছোট ভাই বোনদেরকেও। তারাও এখন নিয়মিত সিআরআই'র পরিবেশিত অনবদ্য ও অতুলনীয় অনুষ্ঠানগুলি শোনে। সবশেষে আমি আমার প্রিয় সিআরআই'র প্রতি চির কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে শেষ করছি। বাংলাদেশের কুশটিয়া জেলার ব্লু স্কাই রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের সভাপতি এম,এ,রশিদ,চৌধুরী তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আমি সুদীর্ঘ দিন ধরে আপনাদের বাংলা অনুষ্ঠান শুনে আসছি। সত্যিই আপনাদের বাংলা অনুষ্ঠানের তুলনাই হয় না। আপনারা সুন্দর সুন্দর করে বাংলা বলিতে পারেন, সত্যি অবাক করার মোত। তাই আবারও আপনাদের ধন্যবাদ। আমি আপনাদের বাংলা অনুষ্ঠান ১৯৮২ মাল থেকে শুনে আসছি। সুদীর্ঘ ২৮ বছর ধরে আপনাদের বাংলা অনুষ্ঠান শুনে যাচ্ছি। সিআরআই থেকে অনেক অজানা জিনিস জেনেছি। যদি একদিন না শুনতে পারি তাহলে আমার খুব খারাপ লাগে। আমার মনে হয় আমি সিআরআই'র পরিবারের একজন সদস্য। আমাদের ক্লাবের শ্রোতা সংখ্যা বর্তমানে ২১০জন। দয়া করে আমাদের এই ২১০জন শ্রোতাকে মেনে নিয়ে আমাদের এই ক্লাবটি তালিকা ভুক্ত করে নেবেন। আমাদের একটি নম্বর দিয়ে দিবেন। এম,এ,রশিদ চৌধুরী, আপনাকে আমাদের অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে শুনেন এবং আমাদেরকে চিঠি লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমরা অবশ্যই আপনার ক্লাব নম্বর দিবো। আমরা নম্বর কার্ড আপনাকে পাঠাবো। নম্বরটি হল (CRI-B-001-10)। আশা করি, আপনি নিয়মিতভাবে আমাদেরকে মতামত দেবেন। বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার সিআরআই ক্লাব-৯৫'র চেয়ারম্যান বিপ্লব কুমার মধিকারী তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, সিআরআই'র সঙ্গে আমার পরিচয় কটে সেই সম্পর্কে কিছু জানতে চাই সিআরআইকে। আমার বেশ ভাল মনে পড়ে মনে পড়ে না। আমি যখন প্রাইমারী স্কুলের ছাত্র ছিলাম। ঠিক সেই সময় আমার একজন প্রাইভেট শিক্ষক ছিরেন, তার নাম মোনোয়ার হোসেন। আমি তাকে ভাই বলতাম। তিনি একবদিন রাতে পড়াতে পড়াতে বললেন বিপ্লব শোন কি মিষ্টি করে বাংলা কথা বলছে কেমন লাগছে? আমি বললাম, ভাইয়া সুন্দর বাংলায় কথা বলতে পারে। তিনি বললেন, এটা পিকিং রেডিও। আমি নিয়মিত এই বেতার শুনি। অনেক কিছু এই বেতার থেকে পেয়েছি। তুই এ বেতার শুনবি অনেক বিষয় বা পিকিং সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবি। মোহাম্মদ বলেছেন, জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীন দেশে যাও। সেই সময় থেকে পিকিং বেতার শুনতে থাকি। ১৯৮৮ সাল থেকে আমি পিকিং বেতার শুনতে আরাম্ভ করি। ১৯৯০ সাল থেকে বেইজিংকে পত্র লিখা আরাম্ভ করি। ঠিক মনে আছে তখন আমি মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্র। রেডিও নিয়েই পরে থাকতাম। রেডিও শুনতে ভাল লাগত। কারণ, পাশের বাড়িতে বড় একটি রেডিও ছিল। সেই বাড়িতেই বই খাতা কলম নিয়ে পরে থাকতাম। আমার নিজের বাড়িতে খাও পর্যন্ত খেতাম না, সেই বাড়িতেই থাকা ও খাওয়া পড়া করতাম। রাত আসলেই ভাইয়াকে বলতাম ভাইয়া বেতারে শুনান। আমি যখন সপ্তম শ্রেনীল ছাত্র ঠিক সেই সময় আমার ঠিকনের টাকা বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে ১৮০ টাকা দিয়ে আমি একটি ছোট রেডিও ক্রয় করি যা আমার পকেটে সবসময় থাকত। রাত ৯টা বাজলে বেইজিং বেতার শুনার জন্য ব্যস্ত হয়ে যেতাম। এরজন্য পিতা মাতার কাছে মারধর বোকা বোকি খেয়েছি নিয়মিত। যাবলৈ শেষ করা যাবেনা। ঠিক মাস কয়েক পরে আমার ঠিকানায় একটি পত্র আসে। সে পত্রের মধ্যে ছিল একটি অনুষ্ঠানসূচী, একটি কা৩র্ যা চীনা ভাষার একটি ক্যালেন্ডার। তারপর থেকে সিআরআইকে পত্র লিখার উত্সাহ বেড়ে যায়। তারপর থেকে সিআরআই'র সঙ্গে নারীর বন্ধনে বাধা পরে যায়। আমি সিআরআই'র সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরে আমি চীনের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, আইন, ইতিহাস সম্পর্কে হানতে পেরেছি। যা আমি কোনদিনও সিআরআইকে জানতে পারতাম না, যদি সেইদিন মিলন ভাইয়া কাছে প্রাইভেট পড়তে নাযেতাম। তবে দুঃখের সঙ্গে জানাছি যে সেই মিলন ভাই আজ মার নেই আমাদের মাঝে। ২০০৩ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন। আমি মিলন ভাইয়ার কথা মতো আজও সিআরআই'র সঙ্গে আছি। আমি সিআরআই'র কাছে থেকে অনেক কিছুই উপহার হিসেবে পেয়েছি যা লিখে শেষ করতে পারব না। আমি দীর্ঘদিন সিআরআই'র সঙ্গে যুক্ত আছি। আমি আমার মৃত্যুর যাগ পর্যন্ত সিআরআইকে ভূলতে পারব না। আমি সিআরআইকে পত্র লেখার কারণৈ ২০০৫ সালের শ্রেষ্ট শ্রোতা হিসাবে নির্বাচন করেছিলেন। শ্রোতাদের বিশেষ অনুরোধে আধঘন্টার অনুষ্ঠান এক ঘন্টায় উত্ত্তিন। অনুষ্ঠান প্রচার দুই বার থেকে তিনবার যাবার তিনবার থেকে চারবার প্রচার চালু করা হয়। শ্রোতাদের জন্য বিশেষ বিশেষ সুযোগ করে দেয়ার জন্য সিআরআই মাসে মাসে বেতার বিজ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতা আয়োজন করে থাকে, যাতে শ্রোতারা মূল্যায়িত হয়। বিজয়ীদের চীন ভ্রমন বা রেডিও উপহার প্রদান করা ইত্যাদি শ্রোতাদের জন্য করা হয়। যাতে শ্রোতারা সিআরআই'র কাছ থেকে কিছু জানতে বুঝতে পারে বিজ্ঞান অর্জন করার সুযোগ করে দাওয়া। আমি পুরাতন শ্রোতা হিসাবে এই কথায় বলব যে, মহান চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও মৈত্রী হাজার বছরের প্রাচীণ। শিক্ষা, বাণিজ্য ও সংস্কৃতিসহ নানা ক্ষেত্রে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক এক মজবুত দুঢ় ভিত্তির ওপ্র প্রতিষ্ঠিত। সিআরআই ছাগা কি আমার চলে। সিআরআই তো আমার দেহের একটা অংশ। বিপ্লব কুমার মধিকারী, আপনার চিঠি পড়লে আমরা অনেক মুগ্ধ করি। আপনার মত আন্তরিক শ্রোতা আমাদেরকে সবসময় উত্সাহ দেয়ার জন্য আমরা ভাল অনুষ্ঠান করতে পারি। আমরা আশা করি, আপনি আমাদেরকে আরো বেশি মতামত ও আমাদের অনুষ্ঠানে মনোযোগ দিবেন।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা