|
ভাই আব্দুল হালিম, চীন বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের জন্য চীনে লেখাপড়ার বৃত্তি প্রদান করে। ২০০৯ সালে চীন একশ'জন বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীকে চীনে লেখাপড়ার বৃত্তি দিয়েছিল। আপনার অভিজ্ঞতা আমরা দেখেছি। আপনি একজন ভাল ছাত্র। সেজন্য আপনি বাংলাদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চীনা দূতাবাসের কাছে চীনে লেখাপড়ার বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারেন। ভালো ফলাফল থাকলে চীন সরকারের বৃত্তি পেয়ে চীনে লেখাপড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আশা করি, আপনি আগামী বছর চীনের বৃত্তি পাওয়া একজন বাংলাদেশী ছাত্র হতে পারবেন।
বাংলাদেশের পাবনা জেলার অশোক কুমার বিশ্বাস তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠান আমার খুব ভাল লাগে। ১৯৯০ সাল থেকে আপনাদের সংগে আমার যোগাযোগ আছে এবং নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠান শুনি। নতুন অনুষ্ঠানসুচী ও ক্যালেন্ডার পেয়েছি। খুব সুন্দর। বাংলা বিভাগের সকলকে নিয়ে ছবি খুব ভাল লেগেছে। বাংলা বিভাগ থেকে যেসব অনুষ্ঠান প্রচার করা হয় সব অনুষ্ঠানই আমার ভাল লাগে। কিন্তু সব চাইতে বেশি ভাল রাগে অজানা কাহিনী। আমি নিয়মিত প্রতিযোগিতাগুলোয় অংশ নিয়ে থাকি। কিন্তু দুখের বিষয় আজ পর্যন্ত কোনো পুরস্কার পেলাম না। ভাগ্য আমার সত্যিই খারাপ। অশোক কুমার বিশ্বাস, সত্যিইকি ভাই আপনার মন খারাপ? কথায় আছে না কোন চেষ্টাই বৃথা যায় না। আমাদের অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনলে আর প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে অবশ্যই আপনি একদিন না একদিন পুরস্কার পেয়ে যাবেন। কারণ অনেক শ্রোতাইতো বার বার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। কে জানে হয়তো আগামীবারই আপনি পুরস্কার পেয়েও যেতে পারেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার চেতনা ডিএক্স ক্লাবের বোন মনোয়ারা বেগম আপনি লিখেছেন, 'বিভিন্ন কারণে বেশকিছুদিন চিঠি পত্র লেখা হয়নি। আমি একজন গৃহবধু। স্বামী, ছেলে ও মেয়ে নিয়ে সংসার করি। আমার স্বামী আপনাদের সিআরআই'র একজন নিয়মিত ভক্ত শ্রোতা। ফলে আমরা সপরিবারে সিআরআই শুনি। আমার পরিবারের সবাই ভারতের কম্যুনিষ্ট পাটির সমর্থক। আমাদের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে নয়া চীন গঠনের ৬০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সমাবেশ হয়েছিল। রাজ্যের বিভিন্ন নেতা চীন সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। 'আমি ও সিআরআই' নামক রচনা প্রতিযোগিতায় আমার ক্লাবের সম্পাদক আমিনুল ইসলাম অংশ নিয়েছেন। আমি সেই সময় কাজের চাপে লেখা দিতে পারিনি। পরবর্তীতে আবার কোন রচনা প্রতিযোগিতা হলে অবশ্যই অংশ নেব। বহু মহিলা শ্রোতা আছে সিআরআই'র। সেটা অনুষ্ঠান শুনেও শ্রোতা সন্ধ্যায় চিঠি থেকে জানতে পারি। আমার কাছে ভাল লাগে অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে আছে চলুন বেড়িয়ে আসি, সংস্কৃতি সম্ভার ও অজানা কাহিনী। চলুন বেড়িয়ে আসি অনুষ্ঠান যখন শুনি তখন নিজের অজান্তেই যেন চলে যাই চীন। মনে হয় পশ্চিম বঙ্গের শ্রোতাদের একটু অবহেলা করা হয়। বাংলাদেশের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতা অনেক কম। তবুও গুরুত্বহীন চিঠির তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ চিঠি গুলি পড়ে শোনানোর অনুরোধ জানাই।
বোন মনোয়ারা সংসার ধর্ম আর জীবন জীবিকার পাশাপাশি আপনি যে সময় করে অনুষ্ঠান মনোযোগ দিয়ে শোনেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আশা করি, ভবিষ্যতে আপনি আমাদের সব প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের সব শ্রোতাদের ওপরই গুরুত্ব দেই। আসলে বাংলাদেশের শ্রোতা সংখ্যা ভারতের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। তাছাড়া, যেকোন তথ্যবহুল চিঠির উত্তর দিতে আমরা কখনোই ভুল করি না। সব শ্রোতাই আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |