Web bengali.cri.cn   
আমাদের গ্রামে একটি গঙ্গাপুজার মেলাই ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা হয়ত
  2010-08-19 16:30:09  cri
বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার আই পি এম ফ্যান ক্লাবের সভাপতি শ্রী সুকদেব কুমার ঘোষ তাঁর চিঠিতে লেখেন, আমাদের ক্লাবের সদস্যবৃন্দ নিয়মিত সিআরআই বাংলা অনুষ্ঠান শুনে থাকে। আজ দক্ষিণ এশিয়ার নামে অনুষ্ঠানে ভুটানের রাজধানী থিস্ফুতে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শীর্ষক অনুষ্ঠানটি আমাদের নিকট চমত্কার হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল মুক্ত মন মুক্ত চিন্তা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ২ ঘুড়ি প্রতিযোগিতার একান্ত সাক্ষাত্কার নিলেন আবাম সালাউদ্দিন। আমিও ছোট বেলায় খুব ঘুড়ি উড়াতাম। আমাদের গ্রামে একটি গঙ্গাপুজার মেলাই ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা হয়ত। সেখানে বিভিন্ন রকমের এক দুই শত ঘুড়ি উড়ানো হত। এই ঘড়িগুলো বেশির ভাগ গ্রামের কৃষক ভায়েরা উড়াতেন। বাংলাদেশের সংখ্যা লঘু হিন্দু সম্প্রদায় এ দেশ থেকে চলে যাওয়াতে এ সব প্রতিযোগিতা আস্তে আস্তে বিলীনা হতে চলেছে। কারণ হিন্দু সম্প্রাদায় বিভিন্ন উপলক্ষে পূজা করতেন, পূজায় মেলা বসত, মেলায় বিভিন্ন উত্সব আয়োজন করা হতো। আমার মেজদা ঘুড়ি তৈরী ও স্তাদ। যাহাই হোক ঘুড়ি, প্রতিযোগিতার খবর শুনে খুব ভাললাগল। গত ২৪ এপ্রিল চীনের ছিংহাই প্রদেশ এক ভূমিকম্প হয়ে গেল। চীনারা যেমন শোকাহত অনুরূপ আমরা বাংলাদেশে জনগণ চীনা ভাই-বোনদের শোকে মর্মাহত আমরা চীনা ভাই-বোনদের বন্ধু, বন্ধুর বিপাদে আমরা কি দুঃখ পাইব না? আমার আই পি এম ক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ নিহাত চীনা বন্ধুদের জানাই গভীর সমবেদনা। ভগবান নিহাতদের আত্মর স্বার্গবাসী করুক। শ্রী সুকদেব কুমার ঘোষ, আপনার ক্লাবের সবাই সদস্যবৃন্দকে ছিংহাই প্রদেশে ভূমিকম্পে নিহতদের সমবেদনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনারা নিয়মিতভাবে আমাদের অনুষ্ঠান শোনা ও চিঠি লেখার জন্যও ধন্যবাদ জানাই।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার রেডিও শ্রোতা সংঘের অজয় কুমার সরকার তাঁর চিঠিতে লেখেন, বর্তমান সময়ের অনুষ্ঠান আরো বৈচিত্রময় এবং সেই সঙ্গে আকর্ষনীয়। খেলাধুলার আসর সংযোজন করায় সিআরআই'র অনুষ্ঠানের মান আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। আরো একটি আকর্ষনীয় অনুষ্ঠান মুক্ত মন মুক্ত চিন্তা। বর্তমান সপ্তাহে খুড়ি নিয়ে পরিবেশনাটি বেশ উপভোগ করলাম। আমার মনে হয় এশিয়ার অনেক দেশে খুড়ি ওড়াবার প্রচলন আছে। ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর-পশ্চিম চীনের তিব্বতীয় মালভূমির ছিংহাই প্রদেশ। বুধ বার সকাল ৭টা ৪৯ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.১। মৃতের সংখ্যা প্রায় চারশ।এদিন ছিল আমাদের পশ্চিমবঙ্গে তথা ভারতের বৈশাখের প্রথম দিন অর্থাত্ বাংলা নববর্ষ। সম্ভবত কারণেই মন খুব খারাপ হয়ে গেল। কারণ বছরের প্রথম দিনই ধ্বংসের খবর পেলাম। প্রকৃতির এই খেলায় আমরা একেবারে শিশু। এরপর আমরা প্রতিদিন কান পেতেছি সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠানে। তাতে বিস্তারিতভাবে জেনেছি ভূমিকম্পের পরবর্তী অবস্থা। আজকের এই ভয়াবহতা একদিন কাটিয়ে উঠবেন কিনবাই প্রদেশের জনগণ। স্মৃতিতে রয়ে যাবে স্বজন হারানোর দুঃখ। জন্ম নেবে নতুন ভবিষ্যত্। এটাই যেন প্রকৃতির নিয়ম। আমরা এতো দূর থেকে সিআরআই'র মাধ্যমে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ সকল মানুষকে জানাই সমবেদনা। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি অচিরেই ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষ ছন্দময় জনজীবনে ফিরবেন। ঈশ্বর প্রত্যেককে মঙ্গল করুণ। চীনের ঐতিহাসিক নগর থিয়ানচিন ভ্রমণের ওপর ভ্রমনকারী আবাম ছালাউদ্দিনের প্রতিবেদন দারুণ লেগেছে। তাছাড়া সাংহাই বিশ্বমেলা নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন থেকে অনেক কিছু জানতে পারছি। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সুরের ভুবন অনুষ্ঠান চীনের নারী গীতিকার ও শিল্পীদের কন্ঠে গানগুলি দারুণ আকর্ষনীয় ছিল। ভাই অজয় কুমার সরকার, আপনাকে ছিংহাই প্রদেশের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মনোযোগ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনি ঠিক লিখেছেন, আমরা প্রকৃতির কাছে অনেক লঘু। কিন্তু চীনা জনগণ ঐকবদ্ধ করে ছিংহাই প্রদেশকে পুনর্গঠনের সহায়তা করছে। আমরা আরো সুন্দর ইউশু নির্মাণ করবো। অজয় কুমার সরকার আরো লিখেন, শাংহাই বিশ্বমেলা শুরু হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা কেউ শাংহাই বিশ্বমেলার ওপর জ্ঞানযাচাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারলাম না , প্রশ্নপত্র না পাওয়ায়। আমি ও সিআরআই রচনা প্রতিযোগিতায় আমি বিজয়ী হয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমার পুরস্কারটি হাতে পাইনি। দয়া করে তা পাঠিয়ে দেবেন। অজয় কুমার সরকার, শাংহাই বিশ্বমেলা প্রতিযোগিতার প্রশ্নপত্র আমরা অবশ্যই শ্রোতাদেরকে পাঠাবো। কিন্তু এর আগে আপনি ওয়েবসাইট ও অনুষ্ঠান শোনার মাধ্যমে প্রতিযোগিতাটিতে অংশ নিতে পারেন। এখন পর্যন্ত অনেক শ্রোতা প্রশ্নপত্র আমাদেরকে পাঠিয়েছেন। যত তাড়াতাড়ি আমাদেরকে প্রশ্নপত্র পাঠালে, বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। আমরা আমি ও সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান রচনা প্রতিযোগিতা এবং নয়া চীন প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী বিষয়ক প্রতিযোগিতার সবাই বিজয়ী শ্রোতাদের পুরস্কার পাঠিয়েছি। আশা করি, আপনারা দ্রুতভাবে পেয়ে পাবেন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ইন্টারন্যাশনাল মিতালি লিসনার্স ক্লাবের হাফিজুর রহমান তাঁর চিঠিতে লিখেন, সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান আমার জীবনের অবিচ্ছেদ আগ। জীবনের প্রতি পদক্ষেপে সিআরআই বাংলা বিভাগের মধুর কন্ঠ ধ্বনিত হয়। আমরা ক্লাবে নিয়মিতভাবে সিআরআই'র প্রচারিত অনুষ্ঠান নিয়ে মত বিনিময় করি। সকল সদস্য-সদস্যা এক বাক্যে স্বীকার করে সে আমাদের স্বপ্নের দেশ চীন, চীনকে জানার জন্য আমাদের কাছে সবচেয়ে ভাল মাধ্যম হল সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান। তাই সিআরআই আমাদের মধ্যে আছে এবং আগামীতেও থাকবে। সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান অতুলনীয়, চীন দেশটা অতুলনীয়। সারা বিশ্বে যত গুলো দেশ আছে তার মধ্যে চীন সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ। চীন তার প্রতিবেশী দেশসহ সব দেশের সঙ্গেই নিবিড় সম্পর্কে রেখে চলেছে। চীন সবচেয়ে শান্তিপ্রিয় দেশ। কোন দেশের সঙ্গে চীনের কোন রকম অশান্তির বাতাবরণ নেই। চীন দেশটা যেমন ভালো তেমনই চীনের মানুষরা আরো ভালো। সাদের মন ভাল তারাতো প্রসংশারই যোগ্য। তাই আমার সমস্ত প্রশংসা চীনের সুন্দর মনের মানুষদের জন্য। চীনের মানূষ যেমন দেখতে সুন্দর তেমনি সুমিষ্ট তাদের কন্ঠস্বর। সবদিক দিয়ে চীন পরিপূর্ণ। চীনের মানুষদের ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ব, সহযোগিতা, শান্তিপূর্ণ জীবন যাপনের কথা যখন রেডিওতে শুনি তখন চীনের মানুষদের সঙ্গে সেন নিজেকে হারিয়ে ফেলি। পক্ষীরাজের খোড়ায় চেপে যেন চীনের একপ্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে ঘুরে বেপাই। বিশ্বের সবদেশ যদি চীনের মতো হতো তাহলে কতই না ভালো হতো, কোন অশান্তি, হানাহানি থাকত না। হাফিজুর রহমান, আপনাকে চীনের প্রশংসা করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, আপনি চীনে ও আমাদের অনুষ্ঠানে আরো মনোযোগ দেবেন। এবং আমরা বিশ্বাস করি চীন ভারত ও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো গভীর হবে।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040