Web bengali.cri.cn   
সিছুয়ান প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত উওলুং পান্ডা প্রাকৃতিক সংরক্ষিত অঞ্চল
  2010-08-06 15:42:09  cri
বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার সোর্স অফ নলেজ ক্লাবের সভাপতি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম 'আমি সিছুয়ানে যেতে চাই' শীর্ষক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে একটি রচনা পাঠিয়েছেন। এখন শুনবেন সে রচনাটি। তিনি লিখেছেন, "সিছুয়ান প্রদেশ আমি কখনো নিজ চোখে দেখিনি। তবে সিআরআই'র বাংলা বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ এবং তাদের ওয়েবসাইট, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা পড়ে আমি যেটুকু জেনেছি এখানে তারই সবিশেষ আলোকপাত। চিউ চাই কৌ চীনের সিছুউয়ান প্রদেশের পশ্চিমাংশের আপা তিব্বতী জাতি ও ছিয়াং জাতি স্বায়ত্তশাসিত বিভাগে অবস্থিত। এ উপত্যকা দেখতে ঠিক ইংরেজি বর্ণমালা 'Y'র মত। এটি চীনের সুন্দরতম জায়গা। কারণ এখানে অতি সুন্দর পাহাড়, নদী ও প্রাকৃতিক দৃশ্য রয়েছে। এখানে ১০০টিরও বেশি রং বেরংয়ের পাহাড়ী হ্রদ আছে। হ্রদের পানি এত পরিষ্কার যে তার তলায় পাহাড়, ভাসমান ঘাস, শুকনো ডালপালা সবই পরিচ্ছন্নভাবে দেখা যায়। এখানে ১৭টি জলপ্রপাত আছে। 'নোরিলাং' নামক চীনের সবচেয়ে চওড়া জলপ্রপাতের অবস্থান এখানে। এই এলাকাটিকে ১৯৯২ সালে ইউনেস্কো বিশ্বের প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করেছে। এখান থেকে ১৩০ কিলোমিটার মি দূরে হুয়াংলু পর্যটন এলাকা। এটিও ১৯৯২ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্বের প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত হয়েছে। এখানে সোনালী ড্রাগনের মতো প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী আছে। এখনকার সবচেয়ে উঁচু জায়গায় প্রায় ৭০০টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ডোবা নিয়ে গঠিত 'পাঁচ ডোবা' আছে। এটি হলো এখানকার শ্রেষ্ঠ প্রাকৃতিক দৃশ্য। সানসিং গ্রাম চীনের দক্ষিণ পশ্চিমাংশের সিছুয়ান প্রদেশে অবস্থিত। রাজধানী ছেংতু থেকে গাড়ি করে যেতে প্রায় ১ ঘন্টা সময় লাগে। প্রায় ১০ বছর আগে এখানে 'সানসিংতুই' নামে ১টি জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘকালের এবং সবচেয়ে সাংস্কৃতিক সম্পদ সমৃদ্ধ একটি প্রাচীন নগর। পুরাকীর্তি আবিস্কারের দিক থেকেও সানসিং সবচেয়ে এগিয়ে। আরেক পুরাকীর্তি 'থুংথিয়ান গাছ'। নীল ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরী ৩-৬ মিটার উঁচু এই থুথিয়ান গাছকে বিশ্বের বিস্ময় বলা হয়। এই গাছ তৈরীর প্রযুক্তি খুব কঠিন। এমন ভাস্কর্য পৃথিবীতে অদ্বিতীয়। ব্রোঞ্জ দিয়ে এতো বড় ভাস্কর্য একবারে তৈরী করা যায় না। সান সিংতুই ধ্বংসাবশেষে বিপুল পরিমান হাতির দাঁত, শামুকের খোল আবিস্কৃত হয়েছে। সান সিংতুইয়ের পুরাকীর্তি ৪টি মহাদেশে প্রদর্শিত হয়েছে। একে ইয়াংসি নদীর সভ্যতার উপরে একটি রাজমুকুট বলা হয়। প্রাচ্য ও সিছুয়ানের প্রাচীন শু রাষ্ট্রের সভ্যতার মিশ্রন হচ্ছে সান সিংতুইয়ের মূল বৈশিষ্ট্য।

চীনের প্রথম পাহাড় হচ্ছে এ্যমেই পাহাড়। এটির উচ্চতা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার মিটারেরও বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ্যমেই পাহাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে, যা সংখ্যার দিক থেকে গোটা ইউরোপের উদ্ভিদের মোট সংখ্যার প্রায় সমান। ইউনেস্কো এ্যমেই পাহাড়কে বিশ্বের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছে। সিছুয়ান প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত উওলুং পান্ডা প্রাকৃতিক সংরক্ষিত অঞ্চল। পান্ডার প্রধান আবাসস্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম বলে সিছুয়ানকে চীনের পান্ডার জন্মস্থান বলে মনে করা হয়। এখন কেবল সিছুয়ান, শেনসি ও কানসু এই কয়েকটি প্রদেশের ঘন বনে বন্য পান্ডা দেখা যায়।"

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040