বাংলাদেশের কুশ্টিয়া জেলার ব্লু স্কাই রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের সভাপতি এম,এ,রশিদ চৌধুরী চারটি প্রশ্ন করেছেন। তাঁর প্রথম প্রশ্ন হল চীনের অন্ধ লোকদের কিভাবে লেখাপড়া শিখানো হয়? আপনার প্রশ্নের জবাব হচ্ছে, চীনে অন্ধ লোকদের জন্য বিশেষ প্রাথমিক স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল ও বিদ্যালয় রয়েছে। চীনা অন্ধ লোক সাধারণ মানুষের একই মত লেখাপড়া করতে পারেন। দ্বিতীয় প্রশ্ন হল, সিআরআই'র বাংলা বিভাগ বছরে কত হাজার চিঠি আছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কত হাজার আর ভারত থেকে কত হাজার চিঠি আসে? আপনার প্রশ্নের জবাব হচ্ছে, প্রতি মাসে আমরা একবারের মত চিঠির সংখ্যা পরিসংখ্যান করি। সাধারণত আমরা প্রতি মাসে ২০হাজার চিঠি পাই। এর মধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগ বাংলাদেশ থেকে আসে এবং অন্য এক ভাগ ভারত ও বিশ্বের অন্যান্য স্থান থেকে এসে। কিন্তু প্রতি মাসের চিঠির সংখ্যা একই না। কোনো কোনো মাসে কম বা কোনো কোনো মাসে বেশি। যেমন গত মে মাসে আমরা বাংলাদেশ থেকে ১৩হাজার ৮শো ১২টি চিঠি পেয়েছি এবং ভারত থেকে ৪হাজার ৯শ ৭টি চিঠি পেয়েছি। সেজন্য প্রতি বছর আমরা বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৮০হাজার এবং ভারত ও অন্যান্য দেশ ও অঞ্চল থেকে ৬০হাজার চিঠি পাই। তৃতীয় প্রশ্ন হল চীনের সবচাইতে বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কি? আপনার এ প্রশ্নের জবাব হচ্ছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রের শক্তি অনুযায়ী চীনের সবচেয়ে ভাল বিশ্ববিদ্যালয় হল ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষক সম্পদ অনুযায়ী ছিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় চীনের প্রথম স্থানেও রয়েছে। কিন্তু আয়তন অনুযায়ী চীনের বেসামরিক বিমান বিশ্ববিদ্যালয় (Civil Aviation Flight University Of China) প্রথম স্থানে রয়েছে। বেসামরিক বিমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আয়তন প্রায় ১২ বর্গ কিলোমিটার। তিনি আরো জানতে চেয়েছেন, চীনে কি মাটির নীচে ট্রেন চলাচল করে? থাকে তা হলে সেই ট্রেন লাইন কত কিলোমিটার? আপনার প্রশ্নের জবাব হচ্ছে, চীনের অনেক শহরে গাতাল রেল রয়েছে। পেইচিংয়ে এখন ৬টি লাইন গাতাল রেল ও একটি লাইট রেল ট্রেনসিট ( Light Rail Transit) চালু হয়েছে এবং ২০১২ সালে আরো ৭টি লাইন গাতাল চালু হবে ও ২টি ২০১৫ সালে চালু হবে। সাংহাই এখন ১১টি গাতাল রেল চালু হয়েছে এবং আরো ৭টি লাইন র্নিমিত হচ্ছে। কুয়াংচৌ এখন ৫টি লাইন গাতাল রেল চালু হয়েছে ও হবে এবং আরো ৬টি লাইন নির্মিত হচ্ছে। শেনচেন দুই লাইন চালু হয়েছে এবং আরো ৫ লাইন এ মাসের মধ্যে চালু হবে। থিয়ানচিন এক লাইন গাতাল ও এক লাইন লাইট রেল ট্রেনসিট চালু হয়েছে এবং আরো ৫ লাইন চালু হবে। উহান, নানচিং, শেনইয়াং, তালিয়ান, ছাংছুন ও ছুংছিংয়েও গাতাল রেল চালু হয়েছে এবং আরো বেশি লাইন নির্মিত হচ্ছে। এছাড়াও ছেংতু, সিআন, হাংচৌ, সুচৌ, হার্বিন, চেংচৌ ও কুনমিংয়েও গাতাল রেল চালু হবে। সেজন্য এখন চীনের গাতাল রেলের লম্বা দিন দিন বৃদ্ধি হচ্ছে। আমরা খুবই কঠিন বলতে পারি যে চীনের গাতাল রেলের মোট লম্বা কত। আমরা শুধু বলতে পারি চীন একটি বড় ও উন্নত দেশ, সেজন্য গাতাল রেলের লম্বাও অনেক দীর্ঘ হবে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ইয়ৌথ রেডিও ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জিওটসনা বানু জানতে চেয়েছেন, চীন সরকার প্রতিবন্দীদের জন্য কি কি বিশেষ সুযোগ সুবিধা রেখেছে? আপনি খুবই ভাল প্রশ্ন করেছেন। আপনার প্রশ্নের জবাব হচ্ছে, চীন সরকার প্রতিবন্দীদের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক বিশেষ সুযোগ সুবিধা রেখেছে। যেমন ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্দীদেরকে কর কম অধিগ্রহণ করা। প্রতিবন্দীরা সহজে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাওয়ার জন্য প্রতিবন্দীদেরকে গ্রহণ করার শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর অধিগ্রহণের অগ্রাধিকার প্রদান দেয়া হয়। চীনের আইন অনুযায়ী প্রতিবন্দীরা সাধারণ মানুষের চেয়ে আরো বেশি কল্যাণ পান। পাবলিক সেবা সংস্থানে প্রতিবন্দীদেরকে বিশেষ সেবা সরবরাহ করা হয়। বাস, গাতাল রেল, বিমান, জাহাজসহ বিভিন্ন গণ পরিবহন ব্যবস্থায় প্রতিন্দীদেরকে বিশেষ সহাকারী ব্যবস্থা রয়েছে।