Web bengali.cri.cn   
নয়া চীনের ৬০তম বছর পূর্তিতে ১৩০ কোটি চীনাকে জানাই আন্তরিক অভিবাদন ও লাল গোলাপের শুভেচ্ছা
  2010-06-11 17:23:41  cri
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সিআরআই রেডিও ফ্যান ক্লাবের চেয়ারম্যান মসরুর জুনাইদ তাঁর রচনায় লিখেছেন, "নয়া চীনের ৬০তম বছর পূর্তিতে ১৩০ কোটি চীনাকে জানাই আন্তরিক অভিবাদন ও লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। ১৯৪৯ সালের ১লা অক্টোবর চীনাদের জন্য একটি স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক দিন। ঐ দিন চীনারা একটি বিজয় অর্জন করেন এবং তাদের আসল মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করেন। ১৯৪৯ সালে যে চীনাদের বার্ষিক মাথাপিছু মোট অভ্যন্তরীণ উত্পাদন বা জিডিপি ছিল ৫০ মার্কিন ডলার, আজ তাদের বার্ষিক জিডিপি দাঁড়িয়েছে ৬,৫৪৬ মার্কিন ডলারে। এটা সম্ভব হয়েছে চীনা নেতৃত্বের দেশপ্রেমিক ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ও নেতৃত্বের কারণে। উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে চীন আজ পৃথিবীর পরাশক্তিতে পরিণত হয়েছে। তার জন্য সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য চীনের কমিউনিস্ট পার্টির যোগ্য নেতৃত্ব এবং পাশাপাশি চীনের ১৩০ কোটি জনগণ। ২৯তম অলিম্পিক গেমসের মাধ্যমে চীন বিশ্ববাসীকে এই বার্তা পৌঁছে দিতে সফম হয়েছে যে 'আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাব। সব কিছু সম্ভব আমাদের পক্ষে।' অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং কারোর প্রতি আগ্রাসী মনোভাব পোষণ না করার যে নীতি চীন অনুসরণ করে তার আলোকে দেশটির উচিত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে আরো সূদৃঢ় ও ব্যাপক করা। বাংলাদেশের জনগণ সব সময় চীনের পক্ষে। তারা চায় বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হোক, দু'দেশের মানুষ পরস্পরকে আরো বেশি করে জানুক। তাই, আমি সিআরআই বাংলা বিভাগের মাধ্যমে চীন সরকারে জানাতে চাই, চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরো সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গভীর করার জোরালো উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক। আমরা চীনকে জানতে সক্ষম হচ্ছি সিআরআই'র কল্যাণে। আমরা চীনকে আরো বেশি জানার ও দেখার প্রত্যাশা রাখি।" ভাই মসরুর জুনাইদ, আপনার চিঠি পড়ে বোঝা যায় আপনি চীনকে অনেক বেশি জানেন। চীন ও তার জনগণের প্রতি এই আগ্রহের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের অনুষ্ঠান শুনতে থাকলে আপনি চীন সম্পর্কে অবশ্যই আরো বেশি জানতে পারবেন আশা রাখি।

বাংলাদেশের বগুড়া জেলার সারাক ইন্টারন্যাশনাল রেডিও লিসনার্স ক্লাবের সভাপতি এম. আব্দুর রাজ্জাক লিখেছেন, "সিআরআই বাংলা বিভাগ হলো এমন এক বেতার যা চীনকে জানার এক খোলা জানালা। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার সময় দেশটির খাদ্য উত্পাদন খুব কম ছিল। গত শতাব্দীর ৮০ ও ৯০'র দশকে কৃষকের স্বাধীনতা বেড়েছে। ২০০৮ সালে চীনের খাদ্য শষ্যের উত্পাদন ৫০ কোটি টনে পৌঁছেছে। এখন চীনাদের জীবনযাত্রার মান অনেক বেড়েছে। চীন ১৯৭০ সালে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ উত্ক্ষেপন করে। আজ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার চীনা বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দেশটির প্রভাব বেড়েছে। চীন এ পর্যন্ত ১৭১টি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। দেশটি বিশ্বের শান্তি ও কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭৮ সাল থেকে সংস্কার আর বুনিয়াদী ব্যবস্থা চালু হয়। চীনে বিরাট পরিবর্তন আসে। চীনাদের জাতীয় মাথাপিছু আয় বর্তমানে প্রায় ২,০০০ মার্কিন ডলার। ২০০৮ সালে অলিম্পিক গেমস্ অনুষ্ঠিত হয় চীনে। ১৩০ কোটি চীনা জনগণের জন্য এটা একটা গর্বের বিষয়। চীন মহান জাতি। তাদের কাছ থেকে শেখার ও জানার অনেক কিছু আছে। হয়রত মুহাম্মদ বলেছেন, জ্ঞান অর্জনের জন্য দরকার হলে চীন দেশে যাও। সিআরআই হলো জানার এক খোলা জানালা। এই জানালা দিয়ে আমরা অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারি।"

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040