বাংলাদেশের বগুড়া জেলার সাহিনুর আলম লিখেছেন, "সিআরআই প্রচারকৃত সংবাদ নিরপেক্ষ ও সত্যনিষ্ঠ। তাছাড়া প্রতিবেদনগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। অনুষ্ঠানের মধ্যে 'ভিনদেশীর চোখে', 'চলুন বেড়িয়ে আসি', 'অর্থনীতির অগ্রযাত্রা', 'মুক্ত মন মুক্ত চিন্তা' ও 'শ্রোতা সন্ধ্যা' খুব ভাললাগে। 'প্রতিদিন চীনা ভাষা' অনুষ্ঠানটিও ভালোলাগে। এই অনুষ্ঠান আমাদের চীনা ভাষা সম্পর্কে জানতে এবং তা শিখতে সাহায্য করে। তাই মন দিয়ে অনুষ্ঠান শুনে থাকি। আমি আমার জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে সিআরআই'র অনুষ্ঠান শুনি। কারণ এই অনুষ্ঠান জ্ঞানের পরিধিকে বাড়ায়। সেদিন রাতে আমার মামা সিআরআই'র অনুষ্ঠান শুনে মুগ্ধ হয়েছেন। তার বাসায় রেডিও আছে। তিনি বললেন, আগে তো জানিনি চীন এত সুন্দর অনুষ্ঠান প্রচার করে। আমার কাছে সিআরআই'র দেয়া খাম ফুরিয়ে গেছে। দয়া করে পাঠাবেন। মামা নিজে ক্লাব গঠন করতে চেয়েছেন। মামার ক্লাবের সদস্য ১২ জন।" জনাব সাহিনুর আলম, আমাদের অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে শোনার জন্য আপনি ও আপনার মামাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনারা ভাল থাকুন; সুস্থ্য থাকুন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার সিআরআই বয়েজ ফ্যান ক্লাবের অমিত ভট্টাচার্য লিখেছেন, "চীন পৃথিবীর তথা বিশ্বের শক্তিশালী ও বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। পৃথিবীর মানচিত্রে চীন এক বিশাল দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ১৯৪৯ সালের ১লা অক্টোবর নয়া চীন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় চীন। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত ১৭১টি দেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের সঙ্গে চীনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা আজও অটুট রয়েছে। চীন আজ শিল্প, সংস্কৃতি, কৃষি, প্রযুক্তিবিদ্যা ও বিজ্ঞান, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্র এবং শিক্ষা ও খেলাধুলা প্রতিটি অঙ্গনে বিশ্বের দরবারে নিজেকে সর্বশিখরে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে যা খুবই চমকপ্রদ ও খুশির কথা। আমি খুবই ছোটবেলা থেকেই বাংলাতে একটি লাইন শুনে আসছি - হিন্দি-চীনা ভাই ভাই। এই কথাটি শুনলে মনে একটা দারুন অনুভূতি জাগে। কিন্তু রাজনৈতিক টানাপোড়নের মধ্যেও হিন্দুস্থান আর চীন আজও একে আপরের পরিপূরক দেশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলেছে। তাই চীন গণ প্রজাতন্ত্রের ৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আমি, আমার পরিবার ও বন্ধুবর্গের তরফ থেকে চীনকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা, ভালবাসা ও আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। চীন বিশ্বের দরবারে নিজেকে আরো ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত করুক আর সেই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আরও মজবুত ও সুদৃঢ় হোক সেই আশা ও কামনা করি। ৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে চীনকে আমার মনের গভীর থেকে আরো একবার শুভেচ্ছা জানাই।" ভাই অমিত ভট্টাচার্য, সুন্দর চিঠির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো আমরাও আশা করি চীন ও ভারতের জনগণের মৈত্রী দিন দিন আরো গভীর হবে। আশা করি, চীনকে আরো বেশি জানার জন্য আপনি আমাদের অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে শুনবেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দুমকল সিআরআই ফ্যান ক্লাবের সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম লিখেছেন, "১৯৮০ সালে সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠানের সঙ্গে আমার পরিচয়। পড়াশোনা ও সংসার জীবনের পাশাপাশি সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠানকে খুব কমই মিস করি। আমার জীবনের প্রতিটি রক্তকণার সঙ্গে সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান মিশে আছে। বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচারের গৌরবময় ৪০ বছরের সাফল্যে আপনারা কদম-কেয়ার সুরভিতে শুভেচ্ছা জানবেন।"