নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দেশের আর্থ-সামজিক অবস্থান ক্রমান্বয়ে পরিবর্তিত হতে শুরু করে
বাংলাদেশের নাটোর জেলার এমদাদুল হক তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, "চীন আমার প্রিয় বন্ধু দেশ। তাই আমি চীনকে শুভেচ্ছা জানাই। আমি যখন যৌবনকালে পর্দাপন করি তখন থেকে চীনকে ভালবাসি। মানুষের সঙ্গে যেমন ভালবাসা গড়ে ওঠে তেমনি চীনের সঙ্গেও আমার ভালবাসা গড়ে উঠেছে। জীবন যুদ্ধের প্রতিটি সময় চীনের প্রাচীন সভ্যতার কথা, শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতির কথা এবং তার ১৩০ কোটি মানুষের কথা হৃদয়ের অন্তর্স্থলে গাঁথা থাকে। এ বছর চীন গণ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পুর্তি হবে। ৬০ বছর ধরে চীন সরকার ও জনগণ দেশ গঠনে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। জনগণের জীবন যাপনের মান ধাপে ধাপে সমৃদ্ধ হয়েছে। কৃষি, শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। চীনকে জ্ঞানের সাগর বলা যায়। তাই আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) জ্ঞান অর্জনের জন্য চীন দেশে যেতে বলেছিলেন তার অনুসারীদের। আমি যাতে চীন দেশে গিয়ে জ্ঞান আহরণ করতে পারি সেই প্রত্যাশা করি। আপনারা সুখে থাকুন, ভাল থাকুন আর চীন আরো সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হোক সেই কামনা করি।" ভাই এমদাদুল হক, চীন ও আমাদেরকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, আপনিও সুখে থাকুন ও ভাল থাকুন।
বাংলাদেশের সিলেট জেলার আফজাল হোসেন লিখেছেন, "৬০ বছর ধরে চীন সরকার ও জনগণের দেশ গঠনের প্রচেষ্টার ফলে আজ চীন বিশ্বের দরবারে একটি সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি থেকে শুরু করে শিল্প, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে চীন। নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দেশের আর্থ-সামজিক অবস্থান ক্রমান্বয়ে পরিবর্তিত হতে শুরু করে। জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত হতে আর মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেতে থাকে। পাশপাশি জাতীয় শক্তির ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হতে থাকে। কৃষি ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে চীনের শষ্যভান্ডার বিশ্বের মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে উন্নীত হয়। বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চীন অভূতপুর্ব সাফল্য অর্জন করে। মানববাহী নভোযান মহাকাশে প্রেরণ করে চীন বিশ্বের মধ্যে রেকর্ড সৃষ্টি করে। খেলাধূলা ও সাহিত্য-সংস্কৃতি বিকাশের ক্ষেত্রে চীন এগিয়ে যায় বহু দূরে। পশ্চিমা দেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সঙ্গে স্থাপন করে বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক। ফলে সারা বিশ্বে চীনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং চীনের ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটে। এক কথায় নয়া চীন প্রতিষ্ঠার ৬০ বছরে দেশটি আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। দেশের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, তথ্য-প্রযুক্তি, আইন আদালত, কৃষি, শিল্প, পর্যটন, চিকিত্সা, ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রভৃতি ক্ষেত্রে সফলতা বিশ্বে চমক সৃষ্টি করেছে। চীনের এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণয়নের মধ্য দিয়ে। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার ৬০ বছরে জাতীয় শক্তির ব্যাপক উন্নয়ন চীনকে আজকের এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে। চীনের এ পর্যায়ে আসতে যে সব মহান ব্যাক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। চীনের বিরাট সাফল্যের বিষয় বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে সিআরআই যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে তার জন্য সিআরআইকে ধন্যবাদ। নয়া চীনের ৬০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে চীন সরকার, চীনা জনগণ ও উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানসহ সিআরআইকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।" ভাই আফজাল হুসেইন, সুন্দর চিঠির জন্য ধন্যবাদ। আশা করি, আমাদের মৈত্রী আজীবন থাকবে।