বাংলাদেশের সিরাজগন্ঞ্জ জেলার আতিকুল ইসলাম অতিক তাঁর রচনায় লিখেছেন, "১৯৪৯ সালে মাও সে তুং'র চীন গণ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ঘোষণার এ বছর ৬০ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। এজন্য আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আর সেই সাথে সিআরআই'র মাধ্যমে সকল চীনা নাগরিককে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আজ আপনাদের জীবন যাত্রার মান সত্যিই অনুসরণীয়। চীন আজ বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ। চীন আজ কৃষি, শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শুধু সমৃদ্ধই নয় আজ তারা বিশ্বকে খাদ্য, বস্ত্র এবং ইলেকট্রনিক দ্রব্যাদি সুলভ মূল্যে সরবরাহ করছে। সমগ্র বিশ্বে আজ চীনের সামগ্রী ছড়িয়ে রয়েছে। চীন বিশ্ব রাজনীতিরও অন্যতম নিয়ন্ত্রক। তাদের কূটনৈতিক প্রয়াস এবং বন্ধুসুলভ আচরণ বাংলাদেশের মত ছোট দেশের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। মহাকাশ গবেষণা থেকে খেলাধুলা কোন ক্ষেত্রেই চীনের পশ্চাদপদতা নেই। ধাপে ধাপে উত্তরোত্তর এই উন্নতি বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য শিক্ষণীয়। আর চীনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার পদ্ধতি দুর্যোগ-প্রবণ দেশগুলোর জন্য পাথেয়। আজ এই ৬০ বছর পূর্তিতে চীনবাসীকে তাই শুধু শুভেচ্ছা জানাচ্ছি না, তাদের ধন্যবাদও দিচ্ছি। আশা করি চীনের এই অগ্রযাত্রা আরও গতিশীল হবে। সিআরআইকেও শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ।" ভাই আতিকুল ইসলাম অতিক, চীনের জনগণকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা আশা করি, আপনার সবগুলো ইচ্ছেই বাস্তবায়িত হবে। আমরা আপনাদেরকে আরো আরো বেশি চীন সম্পর্কে জানাবো।
বাংলাদেশের জামালপুর জেলার ব্রাইট লাইফ ওয়ার্ল্ড রেডিও ফ্যান ক্লাবের সভাপতি সুরুজ্জামান তরফদার লিখেছেন, "নয়া চীনের ৬০তম বার্ষিকীতে চীনে বহুবিধ উন্নয়ন ও সাফল্য পরিলক্ষিত হয়। বিশেষ করে জাতীয় শক্তি উন্নয়ন, কুটনৈতিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃষি ও আইন প্রণয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ সাফল্য অতুলনীয়। ৬০ বছরে এ উন্নয়ন ও সাফল্যে চীন আজ বিশ্বের বুকে প্রশংসিত। সিআরআই বেতার, পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিন ইত্যাদি মাধ্যমে উন্নয়নের সে বার্তা সারা বিশ্বে প্রচারিত হচ্ছে ও ছড়িয়ে পড়ছে। চীন বাংলাদেশের অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধুদেশ। সিআরআইকে যেমন ভালোবাসি, তেমনি চীনকে ভালবাসি গভীর আন্তরিকতায়। ভালোবাসি চীনের জনগণকে। চীনকে মনে প্রাণে ভালোবেসে মৈত্রীর বাধনে বাধা পড়ে গেছি। তাই কামনা করি, চীন আরো সফলতা লাভ করুক, উন্নয়নে ভরে উঠুক দেশটি। চীনের সুনাম, সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বের বুকে। নয়া চীনের এই ৬০তম বার্ষিকীতে চীনকে জানাই আন্তরিক ও প্রীতিপূর্ণ শুভেচ্ছা।" ভাই সুরুজ্জামান তরফদার, চীনের জন্য শুভ কামনায় আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, আপনি আজীবন চীনা জনগণের বন্ধু হয়ে থাকবেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা জেলার জিয়াউল হক তাঁর রচনায় লিখেছেন, "আমি কান পেতে রই চীনের দিকে। হিমালয়ের বিশাল পাঁচিল আমার কাছে অতি তুচ্ছ। প্রতিদিন চীনের নতুন নতুন সংবাদ আর উন্নয়নের কথা শুনি। সে তো আমাকে পৌঁছে দেয় সিআরআই বাংলা বিভাগ। ধন্যবাদ বন্ধু সিআরআই তোমাকে। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার মাত্র ৬০ বছরের মধ্যে একটা দেশ উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে গেল ভাবতে অবাক লাগে। চীনা ভাইবোনদের কঠিন পরিশ্রম আর সরকারের সঠিক সিদ্ধান্তই উন্নয়নের চাবিকাঠি এটা আমি খুব ভালোভাবেই অনুমান করতে পারছি। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার আগে যেখানে মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে থাকত - শাক-পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করত, আজ সেখান থেকেই বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় সিকি অংশের খাবারের যোগান হচ্ছে। এটা এক বিষ্ময়কর ব্যাপার। বিজ্ঞান প্রযুক্তিতেও তারা পিছনে নেই। চীনের অহিংস পররাষ্ট্র নীতি বিশ্ব শান্তির এক অটুট বন্ধন হিসেবে কাজ করছে। ভারতের প্রতিবেশী চীনের এই উন্নতিতে আমি গর্বিত। আমার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। মহান চীন আরো সমৃদ্ধি লাভ করুক এই কামনা করি।" ভাই জিয়াউল হক আমরাও আশা করি আপনার কামনা বাস্তবায়িত হোক।