|
রেডিও পিকিং থেকে রেডিও পেইচিং।
চীন আন্তর্জাতিক বেতার নাম ইদানীং।।
স্বতত: বিরাজ মোদের হৃদির মাঝারে।
চল্লিশতম জন্মে দিনে স্মরি তোমারে।।
চার দশকের অজস্র ঘটনার আবর্তে।
কেটে গেছে কাল হোয়াংহোর স্রোতে।।
তোমারই আদর্শে পথ চলা।
আর বিশ্ব শান্তির কথা বলা।।
উন্নয়নের আর এক নাম চীন প্রজাতন্ত্র।।
সিআরআই'র মাধ্যমে পেয়েছি এ মন্ত্র।
বিশ্বের মানুষও নিয়েছে আজ দীক্ষা।।
শ্রাবোনী বেরা, আপনি আমাদেরকে কবিতা লিখে পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতে আমরা আরো বেশি সুন্দর অনুষ্ঠান তৈরী করার চেষ্টা করবো।
ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বর্বামান জেলার রেডিও শ্রোতা সংঘের অজয় কুমার সরকার তাঁর রচনায় লিখেছেন, আমার বয়স বর্তমানে পঞ্চাশোর্ধ। আমি আপনাদের নিয়মিত শ্রোতা। রেডিও পিকিংয়ের বাংলা অনুষ্ঠান শোনা শুরু করি সত্তরের দশকে। আমার একটা জেদ ছিল রেডিওতে বিভিন্ন দেশের বাংলা অনুষ্ঠান খুঁজে বেরকরে শোনা। পরবর্তীকালে তা নেশায় পরিণত হয়। প্রথম দিকে শুধুই সিআরআই'র অনুষ্ঠান শুনতাম এবং উপভোগ করতাম। পরবর্তীকালে ১৯৮৫-১৯৮৬ সাল নাগাদ পত্রালাপ শুরু করি। কারণ চীনকে জানতে হলে নিয়মিত অনুষ্ঠান শুনতে হবে, পত্রালাপ করতে হবে। সেই থেকেই শুরু। তখন প্রতিটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম, এখনো করি। একদিন অনুষ্ঠান না শুনলে মনে হয় অনেক কিছুই শোনা হোল না। সিআরআই বাংলা বিভাগের বৈশিষ্ট্য হোল চীনারা ভালভাবে বাংলা শিখে নিজেরাই সুন্দরভাবে, সাফল্যের সঙ্গে বাংলা অনুষ্ঠান পরিবেশন করে চলেছেন। আমি যখন অনুষ্ঠান শুনতে শুরু করি তখন আধঘন্টা করে অনুষ্ঠান প্রচারিত হোত দুবার। তখন তিন মাসের অনুষ্ঠানসূটী শ্রোতাদের পাঠানো হোত। আর ইংরাজী বছরের প্রথমে গ্রীটিংসকাউ এবং ক্যালেন্ডার পাঠানো হোত। তখন শুক্রবার শ্রোতাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়া হোত এবং শনিবার গল্পের আসর প্রচারিত হোত। তখন প্রতি প্রতিযোহিতায় অংশগ্রহণ কারীকে স্মারক উপহার পাঠানো হোত। আমি বহু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি এবং পুরস্কার পেয়েছিও কিছু। পুরস্কারগুলি স্মারক হিসাবে রেখে দিয়েছি। যাতে করে আমার পরবর্তী প্রজন্ম বিশ্বা ক্লাবে আসা সানুষজন সিআরআই বাংলা বিভাগের প্রতি আকৃষ্ট হয়। আজ আমার মনে হয়, আমি যদি শর্টওয়েডে সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান না শুনতাম তাহলে আমি হয়ত কোন নেশায় আসক্ত হয়ে পরতাম। তারফল ভোগ করতে হোত সাড়াজীবন। কিন্তু আমি সুখী যে, সিআরআই'র বাংলঅ অনুষ্ঠানের মত রেডিও অনুষ্ঠান পেয়েছি। আমার অবসর কাটে সিআরআই'র বাংলা অনুষ্ঠান শুনে। জয়তু সিআরআই। ভাল থেকো। অজয় কুমার সরকার, আপনাকে আমাদের অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে শোনা ও চিঠি লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আপনি আমাদের ভক্ত বন্ধু। কোখনো পরিবর্তন হবে না। আশা করি, আগামী ৪০ বছরে আমরা একসাথে কাটবো।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |