|
বন্ধুরা, ২০১১ সাল হচ্ছে চীনের সংস্কৃতির ব্যাপক উন্নয়নের এক বছর। গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১৭তম ষষ্ঠ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে 'চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাংস্কৃতিক ব্যবস্থার সংস্কারকে গভীর করায় সমাজতান্ত্রিক সংস্কৃতির ব্যাপক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি সংক্রান্ত ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচীর ওপর সিদ্ধান্ত' গৃহীত হয়। এটি চীনা সংস্কৃতি ব্যবস্থার সৃজনশীলতা উন্নয়ন এবং দেশের মৌলিক শক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও তাত্পর্যবহ। ২০১১ সালে চীনে সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে সৃজনশীল তেজস্বীতা জোরদার করা হয়। বিভিন্ন জায়গার সাংস্কৃতিক কর্মসূচীতে সমৃদ্ধির লক্ষণ দেখা হয়। আচ্ছা বন্ধুরা, আজকের সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।
গত ২১ ডিসেম্বর চীনের অপেরা শিল্প উত্তরাধিকার ও উন্নয়ন ফোরাম পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের জাতীয় গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের ভাইস-চেয়ারম্যান ও চীনের সাহিত্য শিল্প ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সুন চিয়া চেং চীনের অপেরা শিল্প উত্তরাধিকার ও উন্নয়ন সম্পর্কিত আলোচনায় বলেন, আধূনিকীকরণের অবিরাম উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বস্তুগত জীবন-যাপনের ধারাও ধাপে ধাপে সমৃদ্ধ হয়। জনগণের মর্মের চাহিদা অধিক থেকে অধিকতর জরুরী হয়ে উঠেছে।এ সম্পর্কে তিনি বলেন
"ব্যাপকভাবে সমাজতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ব্রতের উন্নয়ন, জনগণের মর্ম ও সাংস্কৃতিক চাহিদা পূরন করা, বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী জাতীয় সংস্কৃতির রক্ষা ও উন্নয়ন জোরদারে ইতোমধ্যেই সাংস্কৃতিক গঠনকাজে ও দেশের বহুমুখী উন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আমাদের দেশের বহুমুখী শক্তি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড রক্ষার দিকটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্ব পায়"।
ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি রক্ষা কেবল যে সরকারের গুরুত্ব পেয়েছে তা নয়, বিভিন্ন জায়গায় ঐতিহ্যকে ভিত্তি করে সৃজনশীলতাকে নতুন উপায়ের মাধ্যমে চীনা সংস্কৃতির প্রচার কাজ চলছে। চীনা জাতির এক গুরুত্বপূর্ণ উত্স্য ও চীনের এক গুরুত্বপূর্ণ বিপ্লবী কেন্দ্র হিসেবে ইয়ান আন আধুনিক উপায় নিয়ে ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে রক্ষার পদ্ধতি অনুসন্ধান করছে। নতুন গ্রামীণ গঠনকাজ প্রতিফলিত হওয়া চীনা কার্টিং কার্টুন 'ইয়ান আন ওয়ান' কর্ম গত নভেম্বরে প্রদর্শিত হয়। এ কর্মের মধ্য দিয়ে ইয়ান আন ব্যাপকভাবে ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির দুয়ার উন্মোনচিত করেছে। চীনের লাল সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের উপ-মহাপরিচালক হু ফেই ইয়ান মনে করেন, ইয়ান আনে অনেক বেসরকারী সাংস্কৃতিক সম্পদ রয়েছে। সবার উচিত ভালভাবে এর উত্তরাধিকার রক্ষা করা। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"চীনের শান' পেই ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি হচ্ছে চীনা জাতির সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। এখানে খুবই সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক সম্পদ রয়েছে। আশা করি, সারা দেশের উপযুক্ত সাংস্কৃতিক শিল্পীরা শান'পেই এসে এখানে কাজ করবেন"।
চীন কেবল যে ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির ওপর সৃজনশীলতা জোরদার করেছে তা নয়, তা সংস্কৃতির 'বিদেশ মুখীনতা' সম্পর্কের ক্ষেত্রেও অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়েছে। গত নভেম্বরে নবম এশিয়া সংবাদমাধ্যম ফোরাম এবং তৃতীয় এশিয়া শহর ফোরাম চীনের সি ছুয়ান প্রদেশের ছেং তুয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সপ্তম চীনের শেন চেন আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক শিল্প বিষয়ক প্রদর্শনী গত মে মাসে শেন চেনে অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংবাদমাধ্যমের ফোরাম ও প্রদর্শনী আয়োজনের দিক থেকে স্পষ্ট যে, চীনের সংস্কৃতির বিশ্বায়ন বিনিময় জোরদার করা হচ্ছে। চীনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ত্বরান্বিতকরণ কমিটির ভাইস-পরিচালক ইয়ু সিয়াও তুং বলেন, এবারের শেন চেন আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক শিল্প বিষয়ক প্রদর্শনী বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
চীনে ইতোমধ্যেই দ্বাদশ পাঁচশালা পরিকল্পনা কর্মসূচী প্রকাশিত হয়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে চীনের সংস্কৃতিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মূল বেড়েছে ১ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। --ওয়াং হাইমান/আবাম
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |