|
আরবী সংস্কৃতি সব সময় সবার জন্য এক ঐতিহ্যবাহী ও রহস্যময় অনুভব সৃষ্টি করে। অন্যদিকে লাতিন সংস্কৃতিকে আবেগপ্রবণ বলে অভিহিত করা হয়। সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত লাতিন-আমেরিকা সাংস্কৃতিক উত্সবে আরবী ও লাতিন সংস্কৃতিকে অনুভব করা গেছে। আচ্ছা বন্ধুরা, আজকের সাংস্কৃতিক ঘটনা অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।
১২ অক্টোবর ছিল এবারের সাংস্কৃতিক উত্সবের ষষ্ঠ দিন। এর আগের দিন থেকে লাতিন আমেরিকা সংস্কৃতির মূল–ব্রাজিলের সামবা , আর্জেটিনার ট্যাঙ্গো এবং সালভাতর জাতির ব্যালে নৃত্যসহ ঐতিহ্যবাহী নৃত্য একের পর এক মঞ্চে প্রদর্শিত হয়। যা সকল দর্শকদের জন্য ছিল দারুণ আনন্দের।
সালভাতরের বিশেষ পরিবেশনায় দেশটির জাতীয় ব্যালে নৃত্য দলের শিল্পীরা রংচঙে পোষাক পড়ে স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যালে নৃত্য পরিবেশন করেছেন। ঐতিহ্যবাহী ব্যালে নৃত্যের সঙ্গে সালভাতরের জাতীয় ব্যালে নৃত্যের পার্থক্য হলো এতে বেশ তেজস্বিতা রয়েছে। তাদের ব্যালে নৃত্যের মধ্য দিয়ে স্বদেশের জাতীয় সংস্কৃতি প্রতিফলিত হয়। কাতারে সালভাতরের রাষ্ট্রদূত ভিক্তর লাগোস সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, লাতিন আমেরিকার সংস্কৃতি ও আরবী সংস্কৃতি ভিন্ন। তবে তাদের মধ্যে বেশ কিছু মিলও রয়েছে। এবারের সাংস্কৃতিক উত্সবের মাধ্যমে দু'টি সংস্কৃতির বিনিময় ত্বরান্বিত করার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"আমি মনে করি, লাতিন-আমেরিকা সংস্কৃতির মধ্যে অনেক দেশ তার নিজের সংস্কৃতির মিল খুঁজে বের করতে পারে। জীবনের আনন্দ উপভোগ এবং সুন্দর জিনিস উতযাপন করতে আমরা আগ্রহী। সংগীত ও নৃত্যের মধ্য দিয়ে সংস্কৃতির আত্মা তুলে ধরা যায়"।
সামবাকে ব্রাজিলের জাতীয় নৃত্য বলে অভিহিত করা হয়। ব্রাজিলের শিল্পী দলের সামবা শিল্পীরা চকচকে পোষাক পড়ে সকল দর্শকের জন্য সবচেয়ে আবেদনময় নৃত্য পরিবেশন করেছেন। প্রাণবন্ত ও আবেগময় নৃত্যের মাধ্যমে ব্রাজিলের জনগণের প্রাণশক্তির প্রকাশ ঘটে।
অবিরামভাবে চলতে থাকা হাততালি হচ্ছে মঞ্চে সকল অভিনেতার জন্য শ্রেষ্ঠ প্রশংসা। এটিও ব্রাজিল জাতীয় শিল্পী দল প্রথমবারের মতো কাতারে পরিবেশন করে অর্জন করেছে। মধ্য-প্রাচ্য আরবী দেশকে তীব্র লাতিন রীতি-নীতির স্পর্শ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দু'টি সংস্কৃতির ব্যবধানও কমে গেছে। এবারের সাংস্কৃতিক উত্সবের উদ্যোক্তা ইউনিট—কাতারের সাংস্কৃতিক গ্রামের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান আল খুলায়ফি বলেন, লাতিন আমেরিকার দেশগুলো ও আরব দেশগুলোর মধ্যে দূরত্ব অনেক । এবারের সাংস্কৃতিক উত্সব আয়োজনের লক্ষ্য হচ্ছে দু'পক্ষের ব্যবধান কমানো এবং লাতিন আমেরিকার সংস্কৃতিকে আরব দেশে পরিচিত করানো।
জানা গেছে, আর্জেটিনা, ব্রাজিল ও সালভাতরসহ লাতিন আমেরিকার ৯টি দেশের ২৩০ জনেরও বেশি শিল্পী এবারের ১০দিনব্যপী সাংস্কৃতিক উত্সবে অংশ নিয়েছেন। তাদের পরিবেশনার মাধ্যমে লাতিন-আমেরিকার সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরা হয়।–ওয়াং হাইমান/শান্ত
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |