|
১২তম এশিয়ান শিল্পকলা দিবস ১০ অক্টোবর চীনের সি ছুয়ান প্রদেশের ছুং ছিংয়ে শুরু হয়েছে। এ বছর চীন-আসিয়ান সংলাপ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ২০তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। দু'পক্ষের শীর্ষ নেতাদের ১৪তম অধিবেশনও নভেম্বর মাসে শুরু হবে। এবারের শিল্পকলা দিবস আয়োজনকালে চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আসিয়ান দশ দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রী, প্রতিনিধি ও আসিয়ান সম্পাদকমন্ডলীর প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ করেছে। তাঁরা ছুংছিংয়ে এশিয়া সংস্কৃতির উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করছেন। আচ্ছা বন্ধুরা, আজকের সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।
এশিয়ান শিল্পকলা দিবস হচ্ছে চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের এক আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শিল্পকলা দিবস। এবারের শিল্পকলা দিবসের প্রধান প্রতিপাদ্য হচ্ছে ' বিনিময়, মিলন, ভাগাভাগি ও সম্প্রীতি।
সংস্কৃতি ও সহযোগিতা হলো আঞ্চলিক চেতনা ও পারস্পরিক আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলার এক ভিত্তি। চীন-আসিয়ান সহযোগিতা ক্ষেত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দু'পক্ষের সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতা সাফল্যপ্রসূ হবে। এবারের শিল্পকলা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ২০১১ সালে আসিয়ানের পালাক্রমিক চেয়ারম্যান দেশ—ইন্দোনেশিয়ার জনকল্যাণ মন্ত্রণালয় দু'পক্ষের সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"বিগত ২০ বছরে আমাদের পারস্পরিক আস্থা গভীরতর হয়েছে। কৌশলগত বিনিময় ও সহযোগিতাও বেশ ঘনিষ্ঠ। একই সঙ্গে পারস্পরিক যোগাযোগ বিনিময়ে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দু'পক্ষের জনগণের বোঝাপড়া ও মৈত্রী ত্বরান্বিত হয়েছে"।
১০ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত চীন-আসিয়ান সংস্কৃতি মন্ত্রী সম্মেলনে চীনা সংস্কৃতি মন্ত্রী ছাউ উ মনে করেন, চীন ও আসিয়ানের সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতা হচ্ছে এশিয়ার আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বাড়ানোর ভিত্তি। সংস্কৃতির মিলন ও সহযোগিতা হচ্ছে চীন ও আসিয়ানের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক উন্নয়নের অনিবার্য ধারা। দু'পক্ষের সহযোগিতার নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং ২১ শতাব্দীর কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন মানবিক ক্ষেত্রের বিনিময় ও সহযোগিতার সঙ্গে সম্পর্কিত।
চীন ও আসিয়ানের চলমান ১১টি মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন ব্যবস্থার মধ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রী বিষয়ক সম্মেলন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি। সংস্কৃতি ক্ষেত্রের সংলাপ ব্যবস্থা উন্নয়ন, সামগ্রিক পরিকল্পনা ও কৌশলগত কর্মসূচী তৈরী এবং সংস্কৃতি ক্ষেত্রের বাস্তব সহযোগিতা বৃদ্ধি ইতোমধ্যেই দু'পক্ষের জন্য এক জরুরী বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও দু'পক্ষের শীর্ষ নেতাদের ১২তম অধিবেশনে অংশ নেয়ার সময় প্রস্তাব দিয়েছেন যে, চীন ও আসিয়ানের উচিত ' মানবিক বিনিময় জোরদার করে দু'পক্ষের সংস্কৃতি মন্ত্রী সংলাপ ব্যবস্থা গড়ে তোলা"।
ছাউ উ বলেন, চীন-আসিয়ান সংস্কৃতি মন্ত্রী সংলাপ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তাব উত্থাপন করায় চীন তিনটি ক্ষেত্রের বিবেচনা করেছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
" প্রথমতঃ দু'পক্ষের সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করা। দ্বিতীয়তঃ আরও বেশি সাংস্কৃতিক সহযোগিতার ইভেন্ট সৃষ্টি করা। তৃতীয়তঃ আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক সামগ্রিক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক শক্তির উন্নয়ন করা"।
যোগাযোগ ও বিনিময়ের পর অংশগ্রহণকারী মন্ত্রীরা চীন-আসিয়ান সংস্কৃতি মন্ত্রী সম্মেলন ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছেছেন। একই সঙ্গে ২০১২ সালে সিঙ্গাপুরে প্রথম আনুষ্ঠানিক অধিবেশন আয়োজনের সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।
ছাই উ আরও বলেন, দু'পক্ষের সংস্কৃতি মন্ত্রী সম্মেলন ব্যবস্থা স্থাপন করলে তা সাংস্কৃতিক সংলাপ ও সহযোগিতার উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। এ সম্পর্কে ছাই উ আরো বলেন,
" এ ব্যবস্থা সংলাপ ও সহযোগিতা জোরদার করার জন্য সহায়ক হবে। এটি আঞ্চলিক সংস্কৃতির সামগ্রিক শক্তি উন্নয়নের জন্য বেশ সুযোগ সৃষ্টি করেছে"।–ওয়াং হাইমান/শান্তা
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |