|
চীন ও সেনেগালের মধ্যে প্রথমবারের মতো বৃহত্ আকারের সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্প----'চীনকে জানুন : সেনেগালের ছাত্রছাত্রীদের চীন সফর' এবং 'চীন ও সেনেগালের তরুণ-তরুণী সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচী' ২৯ জুলাই পেইচিংয়ে সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে। সেনেগালের উচ্চশিক্ষা বাণিজ্য ও শিল্প ব্যবস্থাপনা কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা এবং পেইচিং শহরের ছাত্রছাত্রী স্বেচ্ছাসেবকরা সম্মিলিতভাবে এক মনোজ্ঞ পরিবেশনা উপস্থাপন করেছেন। চীনে সেনেগাল দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মহলের এক শ'রও বেশি অতিথি এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বন্ধুরা, আজকের 'সাংস্কৃতিক ঘটনা' অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।
পরিবেশনায় চীন ও সেনেগালের তরুণ-তরুণী প্রতিনিধিরা থাইজি-মুষ্টিযুদ্ধসহ চীনা সংস্কৃতিসম্পন্ন স্ববৈশিষ্ট্যের অনুষ্ঠান এবং দু'দেশের ঐতিহ্যবাহী নাচগান উপস্থাপন করেছেন। এ সময় সবাই হাততালিতে সরব হয়ে উঠে।
ছি ইয়ু হচ্ছেন পেইচিংয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। তিনি সংবাদদাতাকে বলেন, এবারের 'চীনকে জানুন : সেনেগালের ছাত্রছাত্রীদের চীন সফর'-এর মধ্য দিয়ে তিনি অনেক আফ্রিকার বন্ধুর সাথে পরিচিত হন। তিনি খুব আনন্দিত। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"আমি চীনের দ্বিতীয় বৈদেশিক ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরাসী বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সেনেগালের ছাত্রছাত্রীদের সাথে ১৫ দিনের জীবন কাটিয়েছে ও লেখাপড়া করেছি। তাদের সাথে ভাল বন্ধুর সম্পর্ক রাখার জন্য আমি খুবই আনন্দিত"।
চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক যোগাযোগ ব্যুরোর কর্মকর্তা লি রেই মনে করেন, তরুণ-তরুণী যোগাযোগ চীন ও সেনেগালের সাংস্কৃতিক বিনিময় ত্বরান্বিত করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"এ বছর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় চীন ও আফ্রিকার মধ্যে ' চীনা সংস্কৃতির ওপর দৃষ্টি নিবন্ধ করা—২০১১' কর্মসূচী আয়োজন করবে। এবারের 'চীনকে জানুন : সেনেগালের ছাত্রছাত্রীদের চীন সফর' আসলে এ কর্মসূচীর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমি মনে করি, এবারের তত্পরতা দু'দেশের মধ্যে আরও গভীর পর্যায়ের বিনিময় জোরদার করার জন্য বেশি তাত্পর্যবহ। আশা করি, ভবিষ্যতে আরও সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক তত্পরতা চীন ও আফ্রিকার সাংস্কৃতিক বিনিময়ের আওতায় যোগ দেবে"।
এবারের 'চীনকে জানুন : সেনেগালের ছাত্রছাত্রীদের চীন সফর' হচ্ছে চীন আন্তর্জাতিক বেতার, সেনেগালে চীনা দূতাবাস ও পেইচিং আন্তর্জাতিক শিক্ষা যোগাযোগ কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত। এর লক্ষ্য হচ্ছে চীন ও সেনেগালের বেসরকারী বিনিময় ও মৈত্রীকে এগিয়ে নেয়া এবং তরুণ-তরুণী যোগাযোগ ও পারস্পরিক বোঝাপড়া জোরদার করা। পেইচিং আন্তর্জাতিক শিক্ষা যোগাযোগ কেন্দ্রের মহাপরিচালক কু থিয়ান কাং বলেন:
"বিদেশী ছাত্রছাত্রীরা চীনে লেখাপড়া করলে তাদের চীনা সংস্কৃতি জানা এবং চীনকে জানার জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আশা করি, তারা চীনে সুন্দর জীবন কাটাবেন"।
তিনি আরো বলেন, এবারের সাংস্কৃতিক তত্পরতা শুধু দু'দেশের সরকারের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় ও সহযোগিতার দৃষ্টান্ত নয়, এটা তাদের বেসরকারী পর্যায়ের বিনিময়েরও একটি দৃষ্টান্ত।
তিনি এবারের তত্পরতার মাধ্যমে দু'দেশের ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী ত্বরান্বিত করা এবং তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় বাড়ানোর ব্যাপারেও আশা ব্যক্ত করেন । --ওয়াং হাইমান/আবাম।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |