|
২০১১ সালে ইতালির চীনা সাংস্কৃতিক বর্ষের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে চীনের আর্ট ভবনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় চীনা আধুনিক চিত্র শিল্পীর প্রদর্শনী ২২ জুন জাঁকজমকপূর্ণভাবে রোমের ভেনিস ভবনে। এবারের প্রদর্শনীতে মধ্য দিয়ে চীনা চিত্রকলা ঐতিহ্যবাহী দিক থেকে আধুনিক দিকে চলে আসার মর্ম তুলে ধরা হয়। এ সব কর্ম কেবল যে প্রথমবারের মত ইতালিতে প্রদর্শিত হচ্ছে তা নয়, তা প্রথমবারের মত ব্যাপকভাবে স্বদেশ থেকে ইউরোপে চলে আসছে। যা পশ্চিমা দর্শকের জন্য সমৃদ্ধ দর্শনশক্তি ও প্রগাঢ় অনুভুতি এনে দিয়েছে। আচ্ছা বন্ধুরা, আজকের সাংস্কৃতিক ঘটনা অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।
এবারের প্রদর্শনীর প্রধান প্রতিপাদ্য হচ্ছে 'ঐতিহ্যকে ছাড়িয়ে যাওয়া'। তবে এর অর্থ এমন নয় যে, সহস্রাব্দী উন্নয়নের সাংস্কৃতিক বিষয়টি অস্বীকার করা। বরং, অতীতকালের শিল্পকলার উত্তরাধিকার সূত্রে নিজের সৃজনশীলতা সম্পন্ন করা। এ সম্পর্কে চীনা আর্ট ভবনের উপ-মহাপরিচালক মা সু লিন অবহিত করে বলেন:
"এ সব চিত্রকর্মের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার ভাষা ও স্টাইলের সংস্কার ত্বরান্বিত করেছে তা নয়, তা ঐতিহ্যবাহী চীনা চিত্রকর্মের সাংস্কৃতিক বিষয়টিও প্রতিফলিত হয়েছে"।
ইতালি হচ্ছে ক্লাসিক্যাল শিল্পকলা বেশি থাকার একটি দেশ। চীনা চিত্রকর্মের বৈশিষ্ট ও প্রকৃতিগত সৃজনশীলতা ইতালির জনগণকে এক নতুন দর্শনশক্তিজগত এনে দিয়েছে। চীনা সাংস্কৃতিক বর্ষের ইতালি পক্ষের প্রধান এবং অধ্যাপক গুইলিয়ানো উরবানি মনে করেন,
"এবারের প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে ইতালির দর্শক এবং পশ্চিমা দর্শকের জন্য প্রাচ্যশিল্পকে উপভোগ করার সুযোগ সৃষ্টি করবে। এটি একটি আধুনিক শিল্পকলা প্রদর্শনী। যা অতীতকালের শিল্প থেকে ভিন্নতর। ইতালির তরুণ-তরুণীর জন্য এটি বেশ সহজেই গ্রহণযোগ্য। সুতরাং, শিল্পের এ সুবিধার মধ্য দিয়ে আমরা দেশটির আধুনিক সংস্কৃতি জানতে পেরেছি"।
হ্যাঁ, অধ্যাপক উর্বানি এই কথা বলেছেন যে, ভাষার চেয়ে চিত্রকর্মের স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সুবিধা রয়েছে। এবারের প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে ইতালির দর্শকরা কেবল যে চীনা শিল্পীর কর্ম উপভোগ করতে পারেন তা নয়, তা চীন ও ইতালিন ভাষা শব্দ তথ্যের সাহায্যে তাঁদের শিল্পকলান স্টাইলও উপলদ্ধি করতে পারছে। এ সম্পর্কে চীনা আর্ট ভবনের মহাপরিচালক ফান তি আন বলেন:
"চীন ও ইতালির মধ্যে অনেক সাংস্কৃতিক প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। এর মধ্য দিয়ে শুধু মাত্র ঐতিহ্যকে জানানোর জন্য নয়, আসলে আরও আধুনিক বিষয়টি জানানো হবে। কারণ আমরা সবাই আধুনিক যুগের"।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, শিল্পকলা বিনিময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য হচ্ছে চীন-ইতালি দুপক্ষের সাংস্কৃতিক তারতম্য ছাড়িয়ে যাওয়া। অধ্যাপক উর্বানিও দুদেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ব্যাপারে ভবিষ্যতে আরও বড় আস্থা গড়ে তুলেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"চীনে এবারের প্রদর্শনী আয়োজন করার ব্যাপারে আমি খুবই আনন্দিত এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এবারের প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে আমি চীনা শিল্পের বৈচিত্র্য ও তার প্রবল প্রাণশক্তি দেখেছি এবং দুদেশের সাংস্কৃতিক সেতুর গুরুত্ব উপলদ্ধি করেছি"।–ওয়াং হাইমান
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |