|
ভারতের এক ইলেকট্রোনিক যন্ত্র কম্পানির কর্মী নিশিত এবারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার জন্য বাইরে থেকে নয়দিল্লীতে আসেন। তিনি সবসময় চীনের ছুয়ান অপেরার মুখোশ পরা পরিবেশনা, শারীরিক কসরত্ ও যাদুসহ চীনা ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলার ব্যাপারে আগ্রহী। তবে এখনো তাঁর চীনে যাওয়ার সুযোগ ঘটেনি। এবারের সিছুয়ান সপ্তাহ'র সুবাদে, চীনে না গিয়েও তিনি চীনা শিল্পীদের পরিবেশনা উপভোগ করতে পারেন। তিনি আনন্দের সাথে বলেন:
"ভারতে এবারের পরিবেশনা দেখে আমি খুব আনন্দিত। আমার সবচেয়ে প্রিয় বিষয় হচ্ছে মুখোশ পরা অপেরা। এটি দেখে আমি বিস্মিত। কারণ আমি সত্যি বুঝতে পারিনি যে, চীনা শিল্পীরা কীভাবে এতো কঠিন অনুষ্ঠান সাফল্যের সঙ্গে পরিবেশন করেছেন।"
ভারতীয় দর্শকের তুমুল ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পুনরায় প্রমাণিত হয়েছে যে, সাংস্কৃতিক শিল্প ক্ষেত্রের বিনিময় হচ্ছে চীন ও ভারতের জনগণের বোঝাপড়া ত্বরান্বিতকরণের এক উপযুক্ত উপায়। চীনের সি ছুয়ান প্রদেশের গর্ভনর চিয়াং চু ফেং বলেন, সাংস্কৃতিক বিনিময়ের দিক থেকে ভারতের সঙ্গে আর্থ-বাণিজ্যিক, পর্যটন ও তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে আগ্রহী সি ছুয়ান। তিনি বলেন:
"সি ছুয়ানের সুগভীর ইতিহাস ও প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। এবারের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এক সমৃদ্ধ সি ছুয়ান এবং উন্মুক্ত সি ছুয়ানকে সবার সামনে তুলে ধরা হয়েছে। সি ছুয়ান ও ভারতের মধ্যে রয়েছে মহাসাগরের ব্যবধান। তবুও দুপক্ষের যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক বিনিময় সুদীর্ঘকালের। ২০১০ সালে সি ছুয়ান ও ভারতের আমদানি ও রপ্তানির মোট পরিমাণ ছিল ১.১৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারত ইতোমধ্যেই সি ছুয়ানের ষষ্ঠ বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদারে পরিণত হয়েছে। --ওয়াং হাইমান
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |