Web bengali.cri.cn   
পছন্দের কারণেই নিরলস শ্রম—ভারতের নৃত্যানুরাগী চাং চিং হুই
  2010-12-22 16:44:32  cri
এক শুক্রবার রাতে চীনে ভারত দূতাবাসের সাংস্কৃতিক অফিস জমজমাট হয়ে ওঠে। লোকেজন পৃথক পৃথকভাবে সাংস্কৃতিক অফিসের ছোট্ট একটি রুম সবার আলোচনায় মুখরিত। কী কারণে তার তাঁদের সাপ্তাহিক ছুটির রাতে এখানে এসেছেন? তাঁরা এখানে কী ধরণের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসেছেন? আসলে আজ রাতে এখানে একজন চীনা মেয়ের ভারতের ঐতিহ্যবাহী নাচ, কত্থক নাচের একক অনুষ্ঠান। এ মেয়েটির নাম হচ্ছে চাং চিং হুই।

প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, ভারতের নৃত্যগীত প্রসঙ্গে আপনাদের মনে কি রঙ্গিন পোশাক, চমত্কার গহনা, বিশেষ সঙ্গীত বা নৃত্যশিল্পীর বৈচিত্র্যময় অভিব্যক্তিসম্পন্ন সেই মুখ দেখতে পাচ্ছেন? আসলে ভারতের সংস্কৃতি অনেক সুগভীর ও প্রগাঢ়। এর মধ্যে ক্লাসিক্যাল নাচগান গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের ক্লাসিক্যাল নাচগান হচ্ছে বিনম্র সংস্কৃতির উন্নয়নের ফল। এর আটটি প্রকার আছে। কত্থক হচ্ছে উত্তর ভারতের ক্লাসিক্যাল নৃত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তা ভারতের মন্দির থেকে চালু হয়েছে। এর আসল অর্থ হলো গল্প করা মানুষ। সর্বপ্রথম গল্প করা মানুষজন বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতেন। তাঁরা মন্দিরে অনুসারীদেরকে দেবতার গল্প ব্যাখ্যা করতেন। অধিকাংশ ভারতীয়রা দেবতায় বিশ্বাসী। পরে আরো ভালো পূণ্য অর্জনের জন্য তাঁরা সঙ্গীত, নাচগান ও বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ যোগ করায় কত্থক নৃত্যের আদিরূপ সৃষ্টি হয়েছে। কত্থক নৃত্যের পরিবেশনায় বিশেষ করে অনুভূতি প্রকাশের ওপর সবচে' বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।

প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা এখন যে সঙ্গীত শুনছেন তা হলো সে রাতে চাং চিং হুই পরিবেশন করা প্রথমবারের মত কত্থক নৃত্য। সঙ্গীত শিক্ষকের প্রতি ছাত্রছাত্রীদের গভীর শ্রদ্ধা-তর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ভারতের সুমধুর ও মনোগ্রাহী ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতে নীল শারী ও লম্বা পোশাক পড়া চাং চিং হুই মাঝে মাঝে দ্রুততালে আবর্তিত হয়েছেন। তাঁর লম্বা পোশাকটি দেখতে ঠিক যেন ফুল ফুটে থাক বসন্তের মতো। মাঝে মাঝে তিনি হাসিখুশী ও সুন্দরভাবে সেখানে দাঁড়িয়ে নৃত্যের কৌশল বুঝিয়ে দিচ্ছেন। মাঝে মাঝে তিনি ভূকুটি সহকারে রুষ্টভাব ফুটিয়ে তুলছেন। সঙ্গীতের ছন্দে তাঁর শরীরে থাকা এক'শরও বেশি ঘন্টা টুং টাং শব্দ করে মানুষের মনে সুন্দর অনুভূতি এনে দিয়েছে।

সে রাতের পরিবেশনা মোট ৪০ মিনিটেরও বেশি সময় স্থায়ী হয়। পরিবেশনার শেষে দর্শকরা পৃথক পৃথকভাবে মঞ্চে চাং চিং হুইয়ের সঙ্গে ছবি তোলেন এবং তাঁকে ধন্যবাদ জানান। ফু তোং মিং নামে একজন দর্শক বলেন,

'এবারে আমি কাছে থেকে ভারতের নৃত্য উপভোগের জন্য এখানে এসেছি। নৃত্যের সঙ্গীত ছন্দোময়। বিশেষ করে হাতের মুদ্রা। গুল্ফের ঘন্টাও বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। নৃত্যের পোশাকও অনেক সুন্দর। আমার মনে হয়, চীনের নৃত্যের তুলনায় তা অনেক ভিন্নতর। দেখার বেশ ভালো লেগেছে।'

লি সাহ হচ্ছেন পেইচিংয়ে কর্মরত একজন ক্যানাডিয়ান মেয়ে। তিনি আমাদেরকে তাঁর উপভোগের অনুভূতির কথা প্রকাশ করে বলেছেন,

'তিনি খুব মনোযোগসহকারে নাচেন। তাঁর নৃত্যে আমি তাঁর শেখা সকল বিষয় দেখতে পারি। তিনি একজন ভারতীয়ের মতোই খুব ভালো নাচতে পারেন। আমি তাঁর পরিবেশনা খুব পছন্দ করি। খুবই চমত্কার।'

যখন আমরা দূর থেকে চাং চিং হুইকে দেখছিলাম, তখন তাঁর সারা গা ঘামে ভেজা ছিলো। দেখা গেছে, তিনি অনেক ক্লান্ত। কিন্তু যখন আমরা জিজ্ঞাস করলাম যে, তাঁর সঙ্গে সঙ্গীত নিয়ে কিছু বলতে পারবো কিনা, সংগে সংগে তিনি রাজী হয়ে যান। তিনি বলেন,

আসলে তবলা ঢাকের সঙ্গে কত্থক নৃত্যের সমন্বয় আরো নিখাদ ও অবিমিশ্র। সত্যিকার কত্থক পরিবেশনার সময় কোন সিডি ব্যবহার করা হয়নি। নাচের সঙ্গে সঙ্গে স্বরলিপি উচ্চারণ করতে হয়। ফলে তবলা বাদক বুঝতে পারেন যে, পরে সে কী নাচ করতে যাচ্ছে। ভরত-নাট্যমের তুলনায় তার এত বেশি হাতের মুদ্রা নেই।

চাং চিং হুই বলেন, তিনি কখনও চিন্তা করে নি যে, তিনি একটানা বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে নাচের সাথে আছেন। ছোটবেলায় নৃত্য শেখার উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

শুধু মনে করছিলাম যে, মেয়ে হিসেবে নাচবো এবং সেই সাথে নিজে শিল্পের কিছু জ্ঞান অর্জন করবো। তখন আমি ওরিয়েন্টাল নৃত্য সংস্থার প্রবীন শিল্পী চাং চুনের কাছ থেকে ভারতীয় নৃত্য শিখি।

চীনে ওরিয়েন্টাল নৃত্যগীত সংগঠনটি অনেক বিখ্যাত। বিশ্বের বৈচিত্র্যময় নৃত্যগীত পরিবেশন করা হলো এ গোষ্ঠীর বিশেষ শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য। ছোটবেলায় নৃত্যের প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল বলেই চাং চিং হুই-এর বাবা-মা তাঁকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেন। ছোটবেলায় নৃত্য শেখার সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে চাং চিং হুইয়ের বাবা চাং ইং-এর গভীর অনুভূতি স্মৃতিপ্রবন। চাং চিং হুইয়ের বাবা বলেন, নৃত্যের ব্যাপারে চাং চিং হুইয়ের প্রতিভা রয়েছে। যখন সে ওরিয়েন্টাল নৃত্যগীত গোষ্ঠীতে শিখছিল তখন একই ক্লাসের অন্যান্য ছাত্রছাত্রী ইতোমধ্যেই অনেক বিষয় শিখে ফেলেছে। আমি তাঁকে জিজ্ঞাস করছিলাম যে, তুমি কি সমতল হতে পারো? তখন মাত্র ৯ বছর বয়সী ছোট্ট মেয়েটি আমাকে আত্ববিশ্বাসীভাবে বললো, বাবা, আমি তাদের সাথে সমতালে চলতে পারি। অচিরেই সে ক্লাসে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অন্যতম হয়ে যায়। আমরা দেখি, নাচের ক্ষেত্রে তার প্রতিভা আছে এবং সখও আছে। আমরা তাকো সহায়তার সিদ্ধান্ত নিই। এ ক্ষেত্রে তার মা অনেক কাজ করেছে। চাং চিং হুইয়ের বাবা বলেন,

'তখন আমরা ইউ ছুয়ান সড়কের পাশে থাকতাম। প্রতি রবিবারে তার মা তাকে নিয়ে ওরিয়েন্টাল নৃত্যগীত গোষ্ঠীতে গিয়েছিল। ইউ ছুয়ান সড়ক থেকে ওরিয়েন্টাল নৃত্যগীত গোষ্ঠী পর্যন্ত এর ব্যবধান অনেক দূর। তার মা সেখানে তার জন্য সারা দিন অপেক্ষা করতেন। প্রতি সপ্তাহে একই অবস্থা চলতে থাকে। আমরা মনে করি যে, নাচকে সে খুব বেশি ভালোবাসে, তাই আমরা তাকে এ ক্ষেত্রে সমর্থন করি। ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে নৃত্যশিল্পী বানানোর আগ্রহও আমাদের ছিলো না।'

ছোটবেলায় নৃত্য শেখার সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণ করে চাং চিং হুই বলেন,

নৃত্য আমার কাছে একটি সুন্দর স্বপ্নের মতো। ছোটবেলা থেকে নৃত্যের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে এখন পর্যন্ত আমি নৃত্যকে ছেড়ে দিতে পারবো না। আমি মনে করি, ভারতের এই ক্লাসিক্যাল নৃত্য অনেক সুন্দর। বড় হওয়ার পর আমি নৃত্য শেখার সুযোগ আবার পেয়েছি। তাই আমি এ সুযোগের বেশির মূল্যায়ন করেছি। চাং চিং হুই বলেন,

তখন আমি ওরিয়েন্টাল নৃত্যগীত গোষ্ঠীর প্রবীন শিল্পী চাং চুনের কাছ থেকে ভরত নাট্যম ও ওডিশি নৃত্য শিখেছি। তারপর আমি চীনের বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী চিন শান শানের কাছ থেকে শিখেছি। কত্থক নৃত্যের সঙ্গে যোগাযোগ দূতাবাসের সাংস্কৃতিক অফিসে শুরু হয়। আমি ২০০৮ সালে সাংস্কৃতিক অফিসের গুরু অশোক চক্রবর্তির কাছে শিখতে শুরু করি।

ভারতের ক্লাসিক্যাল নৃত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ রূপ হিসেবে কত্থকের বড় বৈশিষ্ট্য হলো ঘূর্ণন এবং মাটিতে পা দিয়ে আঘাত করা। দর্শকরা নৃত্য উপভোগের সময় নৃত্যশিল্পীর দ্রুত ঘূর্ণন ও মাটিতে সঙ্গীতের তালে তালে পদাঘাতের দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। চীনে একটি প্রবাদ আছে। তা হলো মঞ্চে এক মিনিটের পরিবেশনার জন্য দশ বছরের প্রশিক্ষণের প্রয়োনজ। মঞ্চে নৃত্যশিল্পীর জন্য পরিবেশনা কত বার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দর্শকদের সামনে মনোরম হয়ে ওঠতে পারে। সে সম্পর্কে চাং চিং হুই আমাদেরকে জানান:

প্রথমে আমি অভ্যস্ত ছিলাম না। দুই বা একবার নিজেকে আবর্তিত করলেই আমার মাথা ঘুরে যেতো। কিন্তু নিষ্ঠার সাথে চর্চার পর এখন অনেকবার পারছি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘনঘন নানা আকারের বড় অনুষ্ঠানে চাং চিন হুই অংশ নিয়েছেন। যেমন, ২০০৮ সালে ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পেইচিং হোটেলে অনুষ্ঠিত উদযাপনী অনুষ্ঠান, ২০০৯ ও ২০১০ সালে ভারতের দূতাবাসে অনুষ্ঠিত হোলি দিবসের উদযাপনী অনুষ্ঠান, ২০০৯ সালে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের হিন্দি সার্ভিসের বার্ষিকী উদযাপনী অনুষ্ঠান, ২০১০ সালে ভারতের পর্যটন ব্যুরোর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত 'অবিশ্বাস্য ভারত' শীর্ষক বড় আকারের পরিবেশনা এবং ২০১০ সালে চীন ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৬০তম বার্ষিকী উলপক্ষে অনুষ্ঠিত পরিবেশনা প্রভৃতি। চীনের নানা ধরণের মঞ্চে সক্রিয় থাকা ছাড়াও, তিনি চীন থেকে ভারতে গিয়েও নৃত্যে অংশ নিয়েছেন। ২০১০ সালে ভারতের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বিষয়ক কাউন্সিলের আমন্ত্রণে চাং চিং হুই নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত প্রথম আন্তর্জাতিক নৃত্য উত্সবে অংশ নিয়েছেন। নৃত্য উত্সবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভারতীয় নৃত্যের অনুরাগীরা যার যার একটি করে নৃত্য পরিবেশ করেছেন। চাং চিং হুই-এর পরিবেশনা সবার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা পেয়েছে। এবারের পরিবেশনায় চাং চিং হুই বেশি কথা বলেন নি। বরং চাং চিং হুইয়ের বাবা নিজের গৌরব লুকিয়ে না রেখে মেয়ের প্রশংসা করতে শুরু করেন। তিনি বলেন,

বলা যায়, এই আন্তর্জাতিক নৃত্য উত্সব হলো ভারতে নৃত্য শেখা বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের একটি পার্টি। যারা এ উত্সবে অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন হলুদ চুলের ইউরোপীয় এবং আফ্রিকার নিগ্রোও। যদিও এবারের উত্সব এক ধরণের বিনিময়, আসলে একবার প্রতিযোগিতার মতো। চাং চিং হুই অনেক ভালো করেছেন এবং সবার প্রশংসা পেয়েছে। তা সহজ নয়। সে আমাদের চীনের গর্ব। ক্রীড়াবিদরা প্রতিযোগিতায় পদক পেয়ে চীনের জন্য গর্ববোধ করেন। সেও আন্তর্জাতিক উত্সবের মাধ্যমে চীনের জন্য গর্ববোধ করেছেন।

নিজের ছাত্রী চাং চিং হুই'র কথা উল্লেখ করে সাংস্কৃতিক অফিসের সংগীত শিক্ষক গুরু অশোক চক্রবর্তিও তার প্রশংসার কথা বলেছেন। তিনি বলেন,

নৃত্য মাত্র চাং চিং হুইয়ের একটি সখ। তাঁর আরো একটি আনুষ্ঠানিক চাকরিও আছে। তিনি হলেন হিসাব রক্ষক। তিনি অবসর সময়ে নৃত্য শিখছেন। তাই মাঝে মাঝে পরিবারের প্রতি তাঁর যত্ন যথেষ্ট নয়। আমাদের সংবাদদাতাদের সঙ্গে কথা বলা সময় পরিবারের সদস্যের প্রতি তাঁর দুঃখও প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেন,

এইমাত্র আপনি দু বছর বয়সী যে ছেলের কথা শুনলেন, সে হলো আমার ছেলে। মাঝে মাঝে আমার বাবা-মা তার যত্ন নেন। আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে প্রচুর সহায়তা করেন। আমি মনে করি, আমি এত বেশি নৃত্য করতে পছন্দ করি, তাহলে এ ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা চালাবো।

আসলে মেয়ের ব্যাপারে চাং চিং হুইয়ের বাবার বরাবরই উদ্বেগ। চাং চিং হুইয়ের বাবাও মনে করেন, নিজের মেয়ের আরো বেশি সময় নাতির সঙ্গে থাকা উচিত্। চাং চিং হুইয়ের বাবা মনে করেন, মাঝে মাঝে সে নৃত্যের জন্য দেরি করে বাড়ি ফিরে আসেন। তখন আমার নাতি তার মা'র জন্য অপেক্ষা করে। কিন্তু নৃত্যের প্রতি সে অত্যন্ত অনুগত। নৃত্য হলো তার সারা জীবনের ধ্যান ধারণা। আমার মেয়ে বলতেন যে, বৃদ্ধ হলে একটি ক্লাস প্রতিষ্ঠা করে নিজের লেখাপড়ার বিষয় ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেবে। চাং চিং হুইয়ের বাবা বলেন,

নৃত্যের প্রতি সে বেশি অনুগত। কিন্তু উ শু, গান গাওয়া ও অন্যান্য বিষয়গুলো শেখার সময় অনুগত মন নিয়ে শিখতে হবে। তা না হলে সফল হবে না। আমার মেয়ে হিসেবে আমি তাকে যথেষ্ট স্নেহ করি।

ভালোবাসেন বলেই তাকে অব্যাহতভাবে সহায়তা করেন। আসলে একজনের সারা জীবন মনোযোগ দিয়ে নিরলসভাবে কাজ করা আসলে যথেষ্ট হয়। (লিলি)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040