|
তুরস্কের বিখ্যাত লেখক নাজলি এরাই তাঁর বক্তব্যে চীনা সংস্কৃতির ওপর তার গভীর আগ্রহের কথা জানান। তিনি মনে করেন, সুদীর্ঘকালীন ইতিহাস ও বৈচিত্রময় সংস্কৃতি থাকা দু'টি প্রাচীন দেশ হিসেবে চীন ও তুরস্কের পারস্পরিক সাংস্কৃতিক সমঝোতা খুবই প্রয়োজন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন :
"চীনের অপেরা কেমন লাগে? চীনা চলচ্চিত্র আমাদেরকে কী বুঝিয়েয়েছে? চীনের শিশু সাহিত্য কেমন হয়েছে? এ সব বিষয় আমি সবসময়েই জানতে চাই। আমার ভাল বন্ধুকে চীন দেশ সম্পর্কে জানাতে চাই। আমি মনে করি, চীনা শিল্পকর্ম তুরস্কের ভাষায় অনুবাদ করলে তা নিশ্চয় সকল তুর্কীরা পছন্দ করবেন।"
এবারের চীনা প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য এবং চীনের বিখ্যাত লেখক ওয়াং ইউয়ে ওয়েন তাঁর বক্তব্যে চীনা সংস্কৃতির গুরত্বের কথা উল্লেখ করেছেন। চীনা সংস্কৃতি সংক্রান্ত আলোচনায় ওয়াং ইউয়ে ওয়েন বলেন :
"আমি মনে করি, ইতিহাসের যে কোন এক পর্যায়ে দাঁড়ালে , চীনা সাহিত্যের ইতিহাস গবেষণা হয়তো চীনা রাজনৈতিক ইতিহাস গবেষণার চেয়ে আরও স্পষ্টভাবে চীন ও চীনা নাগরিককে বুঝতে সক্ষম হবে । কারণ, চীনা সাহিত্যের ভেতরে চীনা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সুগভীর সম্পর্ক রয়েছে।"
তুরস্কের বিখ্যাত লেখক মুস্তাফা কুর্ট বলেন, চীনা সাহিত্যের ওপর তাঁর জ্ঞান যথেষ্ট নয়। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:
"কলম্বিয়া ও আর্জেটিনাসহ দক্ষিণ আমেরিকার লেখকের সাহিত্যকর্ম আমি পড়েছি। তবে আমি কখনো চীনা লেখকের সাহিত্যকর্ম পড়িনি। এটি একটি বড় সমস্যা বলে মনে করা হয়। সুতরাং, আমার উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চীনা লেখকদের সাহিত্যকর্ম মনোযোগসহকারে পড়া। বই পড়ার মাধ্যমে চীনা সংস্কৃতি এবং তুরস্ক ও চীনা সংস্কৃতির ব্যবধান আমি ভালভাবে জানতে পারবো।"
এবারের চীন ও তুরস্কের লেখক বিনিময় কার্যক্রম ২ ঘন্টা ধরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু'দেশের লেখকরা অংশগ্রহণকারী শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। জানা গেছে, চীন ও তুরস্কের দ্বিতীয় লেখক বিনিময় কার্যক্রম তুরস্কের রাজধানী ইস্তানবুলের বিখ্যাত শিক্ষা ভবন--বোগাজিকি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |