সে একজন মানুষ। ছোটবেলা থেকেই সে সবসময় নিজেকে একজন ব্যর্থ মানুষ বলে মনে করতো। ব্যর্থতা যেন সবসময় তাকে ঘীরে থাকে। সেজন্য সে মনে করে, ঈশ্বর তাকে অনেক সুনজরে দেখেন না। এ জন্য সে ঈশ্বরকে ' সাফল্য' এর মানে কি?' এ কথা জিজ্ঞেস করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সে পাহাড় পেরিয়ে একটি নদীর কাছে এসে একজন বুড়োর দেখা পেলো। সে বুড়োর কাছে জিজ্ঞেস করলো ওহে বুড়ো, বলতে পারো কি 'সাফল্য' মানে কী?'। বুড়ো বললো 'আমি মনে করি, আমি প্রতিদিন মাছ ধরতে পারি, সেটাই হচ্ছে আমার সাফল্য'।
বুড়োর কথা শুনে সে তখন আবার পথ চলতে থাকে। চলতে চলতে নদী পেরিয়ে বনের ভেতরে সে একজন সুপুরুষের দেখা পেলো। আবারও সে ঐ লোকটিকে জিজ্ঞেস করলো ' সাফল্য মানে কী'? লোকটি বললো 'আমি মনে করি, প্রতিদিন যদি কোন একট পশুপাখি ধরতে পারি , সেটা হচ্ছে আমার সাফল্য'।
এ লোকটির কথা শুনে সে আবারও সামনের দিকে এগিয়ে চললো। ঘন বন এবং মরুভূমির মধ্য দিয়ে চলার পর সে ঈশ্বরকে খুঁজে পেলো। সে ঈশ্বরকে জিজ্ঞেস করলো 'হে ঈশ্বর, সাফল্য মানে কী?' ঈশ্বর হাসি মুখে বললো ' সাফল্য হচ্ছে জীবন, সাফল্য হচ্ছে অভিজ্ঞতা এবং সাফল্য হচ্ছে ঘাম। তরুণ, তোমার উচিত সাফল্য লাভের প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে ভাগাভাগি করা'। ঈশ্বরের কথা শুনে এ লোকটি বেশ বুঝতে পারলো তার কী করা উচিত হবে।
বাসায় ফিরে আসার পর, সে পথে দেখা সকলের কথা লিখে একটি বই প্রকাশ করলো। এ বইয়ের ওপর নির্ভর করে সে নিজের সাফল্য নিজেই অর্জন করলো।
হ্যাঁ, বন্ধুরা, এ গল্প থেকে আপনারা কী শিখেছেন? আমরা বুঝতে পেরেছি যে, অনেকেই সাফল্য চান, তবে অতি সহজে পথ পাওয়া সম্ভব হবে না। কেন ? কারণ তাঁরা ঘাম ঝরাতে চাননা এবং নির্দিষ্ট উদ্যোগও নিতে দ্বিধা করেন। --ওয়াং হাইমান
