Web bengali.cri.cn   
এশিয়ান গেমস ভিলেজের বৈচিত্র্যময় সাংস্তৃতিক কার্যক্রম
  2010-11-24 15:40:19  cri
২০১০ সালের কুয়াং চৌ এশীয় গেমসের চলাকালে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের ক্রীড়াবিদ এবং কর্মকর্তাসহ প্রায় এক হাজার লোক কুয়াং চৌ শহরের ফান ইউ জেলার এশিয়ান গেমস ভিলেজে থাকছেন। সেখানে প্রথম শ্রেণীর বসবাসের পরিবেশ ও পূর্ণাঙ্গ অবকাঠানো থাকা ছাড়াও, আরো রয়েছে বৈচিত্র্যময় অবকাশ ও বিনোদনের নানা ধরনের কর্মসূচী। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে এশিয়ার বিভিন্ন জায়গার ক্রীড়াবিদরা চীনের বহুমুখী সংস্কৃতিকে অনুধাবন করেছেন।

"এশিয়ান গেমস ভিলেজ প্রসঙ্গে আমরা অত্যন্ত সন্তোষ বোধ করি। খাবার ভালো থাকায় স্বাস্থ্যের অবস্থা অনেক ভালো। বিশেষ করে ভিলেজের সাংস্কৃতিক বিনোদনের তত্পরতা অনেক বেশি আকর্ষণীয়। ফলে আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই চীনের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারছি।"

প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা এতক্ষণ যার কথা শুনলেন তিনি হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার ছেলেদের ভলিবল দলের নেতা সুক জিন উকের এশিয়ান গেমস ভিলেজ প্রসঙ্গে প্রশংসার কথা। তাঁর কথা অধিকাংশ ক্রীড়াবিদের মতামতের প্রতিনিধিত্ব করে। মনিশ মাইথানি নামে ভারতের ফুটবল দলের একজন ক্রীড়াবিদ প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা না থাকলে এশিয়ান গেমস ভিলেজের আন্তর্জাতিক এলাকায় বেড়াতে যান। কারণে এখানে অনেক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম রয়েছে। তাঁর জন্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো চীনের কাগজ কাটা শিল্প। কাগজ কাটা শিল্পী ইয়ে রুন শেং এক জোড়া কাঁচি দিয়ে নিজের ইচ্ছা মতো কাগজ কাটার পর একটি প্রাণবন্ত পাখি তৈরি করেছে। অনেক বিদেশী ক্রীড়াবিদের কাছে কাগজ কাটা যেন জাদুবিদ্যার মতো অদ্ভূত ব্যাপার। প্রতিবার মনিশ কাগজ কাটা প্রদর্শনের জায়গায় দীর্ঘ সময় কাটান। এমন ধরণের শিল্পের প্রতি তিনি প্রবল আকর্ষণ অনুভব করেছেন। তিনি বলেন,

আমি জানি না তারা কীভাবে শেষ করেছেন। মাত্র সেখানে দাঁড়াই কাগজ কাটা উপভোগ করতে খুব ভালো লেগেছে। রঙিন কাগজটায় আসলে কোন নকশা নেই। তারা পুরোপুরিভাবে যার যার সুদক্ষ কৌশলের মাধ্যমে কাগজ কাটেন এবং প্রত্যেকবারই কাঁচি দিয়ে কাটা একেবারে সঠিক হয়। এই শিল্প সত্যিই বেশি প্রশংসাজনক।

কাগজ কাটা প্রদর্শন ছাড়াও, এশিয়ান গেমস ভিলেজের একটি চীনা ভাষার লেখাপড়ার ক্লাসরুমও রয়েছে। সেখানে দোয়ালে চীনা দড়ির গিট, পেইচিং অপেরার মুখ রয়েছে। ঘরে চীনা ফানির্চারের উপর চীনা মাটির ফুলদানিসহ চীনের ঐতিহ্যবাহী গয়নাগাটিও রয়েছে। ক্রীড়াবিদরা এখানে প্রবেশ করেই সুগভীর চীনা সংস্কৃতি অনুধাবন করতে পারেন। অভিজ্ঞতা প্রদর্শন এলাকায় হস্তলিপিকার ক্যালিগ্রাফি করছেন, সঙ্গীতজ্ঞ কু চেন বাজাচ্ছেন এবং ভাষাতত্ত্ববিদ বিদেশী ক্রীড়াবিদদের জন্য চীনা অক্ষরের উন্নয়ন এবং লেখার উপায় ব্যাখ্যা করছেন। অনেক প্রতিযোগী সময় থাকলে এখানে চীনা সংস্কৃতি শিখতে আসছেন। আহমদ আলতার কাইত নামে কুয়েতের স্নুকার খেলোয়াড় তাদের মধ্যে অন্যতম। সময় পেলেই তিনি দলের অন্যান্য ক্রীড়াবিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক এলাকার এই ক্লাসরুমে চীনা অক্ষর শিখতে আসেন। তিনি বলেন,

চীনা ভাষায় আমার নাম লেখা খুবই কঠিন। চীনা শব্দ লেখা আমার জন্য ছবি আঁকার মতো। আশা করি, কুয়াং চৌ ত্যাগ করার আগে আমি কমপক্ষে একটি চীনা শব্দ লিখতে পারবো।

এশিয়ান গেমস ভিলেজের ক্রীড়াবিদদের রুমে টিভি সেট ও নেট ব্যবস্থা কোনটাই নেই। কিন্তু খুব কম ক্রীড়াবিদই অভিযোগ করেছেন। অধিকাংশ ক্রীড়াবিদরা মনে করেন, একারণেই তাঁরা মনোযোগ দিয়ে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারছেন। তা ছাড়া, তারা আরো বেশি সময় নিয়ে আন্তর্জাতিক এলাকায় নানা ধরণের কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন এবং চীনা সংস্কৃতির প্রতি জানাশোনা গভীরতর করতে পারছেন। এশিয়ান গেমস ভিলেজে ক্রীড়াবিদদের জন্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনের হল ও পার্টি করার হল রয়েছে। তারা এসব হলে বিনিময় করতে পারেন এবং সবার ভালো বন্ধু হতে পারেন। (লিলি)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040