Web bengali.cri.cn   
ইংসিউ পুনর্নির্মাণ নিয়ে চিন্তাভাবনা ২
  2010-10-25 18:38:55  cri

    ইংসিউ জেলার নিরাপত্তা সংরক্ষণের লক্ষ্যে সিছুয়ান ও কুয়াংতুং প্রদেশের পরিকল্পনার শুরুতে যেসব বিশেষজ্ঞরা জড়িত ছিলেন তাঁদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা লাভ করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম আয়োজন করা হয়। এর সঙ্গে সঙ্গে পুনর্নির্মাণের প্রস্তাবে স্থানীয় অঞ্চলের অধিবাসীদের মতামতও সংগ্রহ করা হয়।

    সিয়াওতা সাংবাদিকদের জানান, বিস্তারিত কার্যকর প্রক্রিয়ায় ইংসিউ জেলার স্থাপত্য সবই রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প প্রতিরোধক মানদণ্ড অনুযায়ী নির্মিত হয় এবং বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে ভূমিকম্প প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা নেয়া হয়।

    "আমরা সকল স্থাপত্যে ভূমিকম্প প্রতিরোধক নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি। বাসভবনসহ সব ধরনের ভবনে ভূমিকম্প প্রতিরোধক অবকাঠামো ও কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়েছে এবং নিরাপদ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।"

    অধিকাংশ পুননির্মিত প্রকল্পের প্রধান স্থাপত্য এবার বন্যা প্রবাহে ভালভাবেই টিকে থাকে। ছেন চি পিয়াওয়ের জন্য তা হল দুর্যোগের মধ্যেও একটি আনন্দের খবর।

    "শুধু একটি পানির কারখানা গুরুতর রকমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পর্যালোচনার পর আমরা বুঝতে পারি অন্যান্য প্রকল্পে ক্ষয়ক্ষতি খুব কম।"

     অনেক দিনের চেষ্টার মধ্য দিয়ে বাধা হওয়া ২১৩ নম্বর রাস্তা মেরামত হয়ে গেছে এবং পুনরায় চালু হয়েছে। বন্যা প্রবাহ শেষ হওয়ার আধা মাস পর ইংসিউ জেলার পুনর্নির্মাণ কাজ দ্বিতীয় বারের মতো শুরু হয়। ট্র্যাকটর এবং ট্রাক মাটিপূর্ণ রাস্তায় চালানো হয়।

    ছেন চি পিয়াওসহ তুংকুয়ান শহরের কর্মীদের বাসায় ফিরে যাওয়ার সময় যদিই আবার অনির্দিষ্ট হয়ে গেছে, তবে বন্যা প্রবাহেও মোটামুটি ক্ষতিহীণ নতুন ইংসিউ জেলা তাদের জন্য আরও বেশি আস্থা ও আশা নিয়ে এসেছে।

    "আমি এখন আরও আস্থাবান। আমাদের স্থাপত্য এত লম্বা সময়ব্যাপী বন্যা প্রবাহেও তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।"

     বন্যা প্রবাহের পর ইংসিউ জেলার অধিবাসীরা নতুন বাসভবন মেরামতের জন্য আবার ব্যস্ত হয়েছেন। এবার দুর্যোগের কারণে তাদের চিন্তাভাবনাও পরিবর্তিত হয়েছে। ইংসিউ জেলার প্রধান স্যু হোংচুন বলেন, দ্বিতীয় পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনায় মধ্যমপর্যায়ের ভৌগলিক দুর্যোগ প্রতিরোধ এবং দুর্যোগের সম্ভাব্য স্থানের যথাযথ ব্যবস্থাপনা প্রথম স্থানে রাখা হবে। তাছাড়া, কয়েকটি স্থায়ী দুর্যোগমুক্ত স্থানের নির্মাণ প্রস্তাব দাখিল করা হবে।

    "ইংসিউ'র কাছাকাছি অঞ্চলের ভৌগলিক অবস্থা দুর্যোগের কাছে খুব নাজুক। এখন নানা পদ্ধতিতে তা প্রতিরোধ করতে হবে। প্রথমে কার্যকর উপায়ে এবং পদ্ধতিতে ব্যবস্থাপনা করা তারপর কিছু বিপদ এড়ানো ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটা আমাদের একটি সার্বিক চিন্তাভাবনা।"

ইয়াং পিং নিজ উদ্যোগে নিজের নতুন বাসা মেরামত করতে শুরু করেন। তিনি বলেন, পরপর দু'বার দুর্যোগের জন্য তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে তিনি অন্য কোন অঞ্চলে চলে যাবেন না; ইংসিউ তাঁর চিরদিনের বাসা।

    "আমি আশা করি নিজ উদ্যোগে নিজের বাসা নির্মাণ করবো এবং পুরনো স্থানে তা নির্মাণ করবো।"

    তিনি সাংবাদিককে জানান, ১২ মের ভূমিকম্পের সময় তাঁর ছেলে খুব ছোট ছিল। এখন সে বাবা ডাকতে পারে এবং নানা জায়গায় হেঁটে যেতে পারে। খুব সম্ভবত এ ছোট্ট ছেলে বড় হওয়ার পর বুঝতে পারবে দুর্যোগের অর্থ কী এবং তাঁর জন্মস্থানের ওপর দুর্যোগ কি রকম প্রভাব ফেলেছে। সন্তানের জন্য একটি স্থিতিশীল ও নিরাপদ বাসা নির্মাণ করা হচ্ছে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় আশা।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040