Web bengali.cri.cn   
ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রী ফেং হুই লানের বিশেষ সাক্ষাত্কার
  2010-09-23 19:53:33  cri

২০১০ সালের গ্রীষ্মকালীন দাভোস বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম ১৩ সেপ্টেম্বর চীনের উত্তরাঞ্চলের থিয়ান চিন শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বের রাজনৈতিক ও বাণিজ্য মহলের ১ হাজার ৫ শ'রও বেশি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা এবারের ফোরামে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সংকটোত্তর সময়ে অবিরাম উন্নয়ন সমস্যা নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেছেন। আসিয়ানের একজন প্রতিনিধি হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রী ফেং হুই লান এবারের ফোরামে অংশ নেন। বন্ধুরা, আজকের 'সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব' অনুষ্ঠানে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রী ফেং হুই লানের বক্তব্য সম্পর্কে আপনাদের কিছু শোনাবো।

চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠা আসিয়ান দেশগুলোর উন্নয়নে একটি নতুন পথের উন্মোচন করেছে। ফেং হুই লান বলেন, চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল প্রতিষ্ঠা ব্যাপকভাবে ইন্দোনেশিয়ার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার শক্তির উন্নয়ন করেছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন:

"আমাদের প্রতিযোগিতার শক্তি উন্নয়নের জন্য আমরা সবসময় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সবেমাত্র প্রকাশিত সারা বিশ্বে প্রতিযোগিতার শক্তি সংক্রান্ত সেরাদের তালিকা থেকে জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান ৫৪তম থেকে উন্নীত হয়েছে ৪৪তম স্থানে । এর কল্যাণে শিক্ষা ক্ষেত্রে অবিরামভাবে উন্নয়ন হয়েছে এবং বিভিন্ন সংস্থার শক্তি তেজীয়ান হয়ে উঠেছে। এক কথায়, ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক জোরদার ও উন্নয়ন হয়েছে। অবশ্যই আমাদের কিছু কিছু জায়গায়ও অব্যাহতভাবে উন্নয়ন করা দরকার। যেমন অবকাঠামো নির্মাণ ক্ষেত্র।

আসিয়ান দেশগুলোর সক্রিয়ভাবে অবাধ বাণিজ্য এলাকা নির্মাণে অংশ নেয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে চীনের উচ্চগতিতে চালানো অর্থনৈতিক গাড়িতে উঠে কমা। তবে এ ব্যাপারেও তাদের নানা ধরণের উদ্বেগ রয়েছে। বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী নির্মাণ শিল্পে চীনের রপ্তানির ব্যাপারে অনেকেই বেশ উদ্বিগ্ন। অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল চালু হওয়ার শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়ার কিছু কিছু খাতে বাধা পেয়েছে। অবাধ বাণিজ্য অঞ্চল ইন্দোনেশিয়ার শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করার অজুহাতে কিছু খাত ও সংস্থা ইন্দোনেশিয়া সরকারকে অবাধ বাণিজ্য এলাকা বাস্তবায়নের সময় স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়েছিল। তবে এক বছর উন্নয়নের পর, বাস্তবতা থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে, চীন এর বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারের মধ্য দিয়ে ইন্দোনেশিয়া বেশ উপকৃত হয়েছে। বাজারের তুমুল প্রতিযোগিতার সাহায্যে ইন্দোনেশিয়ার নির্মাণ শিল্পের উত্পাদনের কার্যকরিতার উন্নয়ন করেছে। এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রী ফেং হুই লান বলেছেন , অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের মাধ্যমে সকল অর্থনৈতিক খাতের উপকৃত হওয়া সম্ভব হবে না। তাঁর সাহায্যে ইন্দোনেশিয়া স্পষ্টভাবে এ বিষয় বিবেচনা করে অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের কাঠামোয় দু'দেশের 'পারস্পরিক কল্যাণ' বাস্তবায়নের জন্য যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন

"বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য প্রক্রিয়ায় ৫ বছরের মধ্যে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ দিগুণেরও বেশি বাস্তবায়িত হয়েছে। একই সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের চালানো প্রক্রিয়ায় যে কোন সমস্যা সমাধান করতে সুবিধা সৃষ্টি করার জন্য আমরা এক দীর্ঘকালীন কর্ম গ্রুপ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি। এর মধ্যে রয়েছে লৌহ ও বস্তুসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র। আমি আশা করি, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য প্রক্রিয়ায় চীন শুধু এক বাণিজ্যিক অংশীদারি ভূমিকা পালন করা ছাড়া ইন্দোনেশিয়ার কাছে আরো পুঁজি বিনিয়োগ করতে পারবে, যাতে ইন্দোনেশিয়ার নির্মাণকাজে অংশ নেয়া যায়।"

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ইন্দোনেশিয়ার শিল্প ও বাণিজ্য ফেডারেশন, ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইন্দোনেশিয়ার খাদ্য ও ঔষধ তত্ত্বাবধান বিষয়ক ব্যুরো সম্মিলিতভাবে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। এ নতুন ব্যবস্থা হচ্ছে সকল আমদানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে ইন্দোনেশীয় ভাষা দিয়ে ব্যাখ্যা করতে বাধ্য করা। এ সম্পর্কে বাণিজ্য মন্ত্রী ফেং হুই লান বলেন:

"চীনের কাছে রপ্তানি পণ্যে আমাদের জন্যও চীনা ভাষা দেয়া উচিত। এর লক্ষ্য হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ায় ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করা। যদি তারা চীনা পণ্য ক্রয় করে, তাহলে স্পষ্টভাবে তারা চীনা ভাষাও দেখতে পাবেন। এভাবেই পণ্যগুলোর বিভিন্ন তথ্য সবাই জানতে সক্ষম হবেন।"

একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়াও অবিরাম উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের সম্মুখীন হচ্ছে। কীভাবে এ সব সমস্যার সমাধান করা যায় ইতোমধ্যেই তা নতুন উন্নয়নশীল দেশগুলোর সম্মুখীন একটি নতুন বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ জন্য ইন্দোনেশিয়া ইতোমধ্যেই উদ্যোগ নিয়ে অবিরাম উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় এশিয়ার দেশগুলোর সামনে চলে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ সম্পর্কে ফেং হুই লান বলেন:

"আমাদের ইতোমধ্যেই বেশ কিছু অবিরাম উন্নয়নের কর্মসূচী রয়েছে। যেমন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সংক্রান্ত অভিযান পরিকল্পনা। আমরা ২৬ শতাংশ কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমিয়ে দেবো। এ সকল ব্যবস্থা সব ইন্দোনেশিয়ার অবিরাম উন্নয়ন শক্তির উন্নয়ন করার জন্যই।"--ওয়াং হাইমান

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040