Web bengali.cri.cn   
নতুন দৃষ্টিপথ ও ঠাকুরকে বোঝা - ১৫০তম রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ অনুষ্ঠান
  2010-09-10 20:59:57  cri
    "কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি, কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক। মেঘনা দিনে দেখেছিলেম মাঠে কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ।

    ঘোমটা মাথায় ছিল না তার মোটে, মুক্তবেণী পিঠের পরে লোটে।

    কালো? তা সে যতই কালো হোক, দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ।" এ সুন্দর কবিতা শুনে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আজকের অনুষ্ঠান এ কবিতার লেখক বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কিত। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন। প্রখর উদ্ভাবন উদ্যম, চমত্কার লেখার দক্ষতা ও বিশ্বশান্তির তত্ত্ব প্রচারের কারণে তিনি ১৯১৩ সালের নোবেল সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন এবং এশীয় সংস্কৃতির প্রতিনিধি ও দক্ষিণ এশিয়ার গর্বে পরিণত হন।

    ২০১১ সালের ৭ মে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি 'নতুন দৃষ্টিপথ ও গবেষণায় ঠাকুরকে বোঝা' শীর্ষক বিশেষ সেমিনার আয়োজন করে। চীন, ভারত, বাংলাদেশ ও সিংগাপুরসহ বিভিন্ন দেশের ৩০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞ সেমিনারে অংশ নেন এবং ঠাকুর সম্পর্কে তাঁদের গবেষণা নিয়ে ব্যাপক আদান-প্রদান ও গভীর আলোচনা করেন। এখন শুনবেন এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেন।

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চীনে অত্যন্ত জনপ্রিয় বিশ্বকবি - তাঁর লেখা বই চীনে বহুল বিক্রিত ও দীর্ঘসময় ধরে বিক্রিত বইয়ের স্থান অর্জন করেছে। ১৯১৩ সালে তিনি যখন নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, তখন চীনের সমাজ সংস্কারের সময়পর্বে অবস্থান করছিল। চীনের লেখকরা সাধু ভাষা বাতিল করে চলতি ভাষা দিয়ে লিখতে শুরু করেন। বিদেশী লেখকদের সাহিত্য তাঁদের শেখার নমুনায় পরিণত হয়। ঠাকুরের সাহিত্য নোবেল পুরস্কার অর্জন করার এবং তাঁর সাহিত্য পড়ার পর চীনা লেখকরা মনে করেন, তিনি এশীয় সাহিত্যের একজন প্রতিনিধি হিসেবে এশিয়ার গর্বে পরিণত হয়েছেন। ঠাকুরের চিন্তাভাবনা ও সাহিত্য উপলব্ধি করার জন্য ১৯২৪ সালে পিকিং সাহিত্য সংস্থা ঠাকুরকে প্রথমবারের মতো চীন সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। সেটি ছিল আধুনিকালের চীন ও ভারতের বেসরকারী আদান-প্রদানের একটি নতুন সূচনা। ৫৮দিনব্যাপী সফরে তিনি পেইচিং, শাংহাই ও হাংচৌসহ বিভিন্ন শহর ভ্রমণ করেন এবং বহু সেমিনার ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। সফরকালে তিনি পেইচিংয়ে তাঁ ৬৩তম জন্মদিন কাটান। পিকিং সাহিত্য সংস্থা এক জোড়া পাথর সিল উপহার হিসেবে তাঁকে দেয়। পাথরের উপর তাঁর চীনা নাম "চু চেনতানের" খোদাই করে দেয়া হয়। প্রাচীনকালে ভারতে চীনকে "চেনতান" বলে ডাকা হতো, এর চীনা অর্থ হল সুর্য্য। অন্যদিকে চীনে ভারতকে "থিয়ানচু" বলে ডাকা হতো। রবীন্দ্রনাথের চীনা নামের অর্থ ও চীনের নিজের নামের অর্থ প্রায় একই। এর পাশাপাশি চীন ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ অর্থও রয়েছে তার নামে। ঠাকুর তাঁর চীনা নামকে খুবই পছন্দ করেছিলেন।

    চীন ও ভারতের মৈত্রী এবং আদান-প্রদান সম্পর্কে বলতে গেলে, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ঠাকুরের চীনা বন্ধু থান ইউুনশানকে উপেক্ষা করা যায় না। এবারের সেমিনারের সময় আমরা তাঁর বড় ছেলে ডক্টর থান চোংকয়ের সাক্ষাত্কার নিয়েছি। তিনি ভারতে চীনা সংস্কৃতি প্রচার করেন এবং ঠাকুরের সাহিত্য ও তত্ত্ববিদ্যা নিয়ে গবেষণা করেন। থান ইউুন শান ও ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন,

    "ঠাকুরের সঙ্গে ১৯২৭ সালে সিঙ্গাপুরে আমার বাবার দেখা হয়। তখন উনি তাঁকে ভারতে গিয়ে চীনা সংস্কৃতি শেখানোর আমন্ত্রণ জানান। ১৯২৮সালে আমার বাবা রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা সাহিত্য শিখাতে শুরু করেন। কয়েক বছর পরে তিনি চীনে ফিরে এসে ভারতে চীনা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য পুঁজি সংগ্রহ করেন। তিনি চীনের বিখ্যাত লেখক ছাই ইউয়ান পেই, ইউ ইয়ৌ রেনকে চীনা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থ সহায়তা দেয়ার আহ্বান জানান। ১৯৩৭সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি চীনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ছিলেন। ১৯৮৩ সালে আমার বাবা মৃত্যুবরণ করার পর আমি তাঁর মতো ঠাকুরের সাহিত্য ও তত্ত্ববিদ্যা নিয়ে গবেষণা করি।"

    ঠাকুরকে নিয়ে এত বেশি বিশেষজ্ঞ ও পন্ডিতের গবেষণার সঙ্গে তাঁর সাহিত্যের বিষয় ও তত্ত্ববিদ্যার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। চীনের আধুনিক সাহিত্যের ওপর ঠাকুরের সাহিত্যের প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন,

    "ঠাকুরের সাহিত্য ব্যাপক। চীনের অনেক বিশেষজ্ঞ ঠাকুরের সাহিত্য অনুবাদ করেছেন। ১৯১৫ সালে ছেন তুসিউ গিতাঞ্জলী অনুবাদ করেন এবং চীনের সর্বাধিক বিক্রিত ম্যাগাজিন "নতুন যুব"তে তা প্রকাশিত হয়। তাঁদের মধ্যে লেখিকা পিংসিনের ঠাকুরের সাহিত্য বেশ ভালো লেগেছিল। ঠাকুরের কবিতা চীনের নতুন কবিতার উন্নয়ন ও পদ্ধতির উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। চীনা লেখকরা অর্ধচন্দ্র কবিতা সংস্থা গঠন করে একসাথে ঠাকুরের 'অর্ধচন্দ্র' অনুবাদ করেন। ঠাকুরের চিন্তাভাবনায় অনেক তত্ত্বগত তাত্পর্য রয়েছে। তিনি স্নেহ ও সার্বজনীন চেতনা প্রচার করেন। তিনি যুদ্ধকে নিন্দা করেন এবং জাপানের চীন আক্রমণের বিরোধিতা করেন। তিনি যুদ্ধ ও শক্তি প্রয়োগের বিরোধিতা করেন এবং বিশ্বের ঐক্য ও সমাজের সুষমতাকে সমর্থন করেন।

    ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে উদযাপনী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারতের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত গবেষণা দল ৪টি শিরোনামে ঠাকুরের সাহিত্য ও তত্ত্ববিদ্যা নিয়ে গবেষণা করে। জন্মবার্ষিকী উদযাপনী অনুষ্ঠানমালার তৃতীয় স্থান হিসেবে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় এবারের সেমিনারের পরিকল্পনা করে। সেমিনারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশী ভাষা ইনস্টিটিউটের হিন্দী ভাষার ডক্টর চিয়াং চিং খুই অনুষ্ঠানের তাত্পর্য ও প্রভাব সম্পর্কে বলেন,

    "এবার সেমিনারে আমরা ভারত, বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ২০জনেরও বেশি এবং চীনের ৩০জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা ঠাকুরকে জানি। ১৯১৩ সালে তিনি নোবেল সাহিত্য পুরস্কার পাওয়ার পর এটিই হচ্ছে চীনে তাঁর সম্পর্কে আয়োজিত সবচেয়ে বড় সেমিনার। এ সেমিনার ঠাকুরকে বোঝার ক্ষেত্রে চীনা বিশেষজ্ঞদের জন্য এবং চীনে ঠাকুরের ওপর গবেষণা সাফল্য নিয়ে আদান-প্রদান জোরদারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের জন্য সহায়ক হবে। এর ব্যাপক বাস্তব তাত্পর্য রয়েছে। যেমন, কীভাবে মানুষের মধ্যে সুষমতা ত্বরান্বিত করা যায়, কীভাবে মানুষ ও সমাজের মধ্যে সুষমতা বজায় রাখা যায়, কীভাবে মানুষ ও প্রকৃতির সুষমতা আনা যায় এবং কীভাবে দেশ ও দেশের মধ্যে সুষমতা ত্বরান্বিত করা যায়।"

    রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ডক্টর রাজশ্রী বসু এবারের সেমিনারে অংশ নেন। চীনের বিশেষজ্ঞদের ঠাকুর গবেষণার সাফল্য ও চীন সম্পর্কে মতামত নিয়ে তিনি বলেন,

    "ঠাকুরের মাতৃভূমি হিসেবে ভারতে তাঁকে নিয়ে গবেষণা আরও গভীর হওয়া সম্ভব এবং সেখানর পরিবেশও আরও সুবিধাজনক।" ভারতে ঠাকুরকে নিয়ে গবেষণার পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন,

    বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ডক্টর সৌমিত্র শেখর এ সেমিনারের তাত্পর্য ও প্রভাব সম্পর্কে নিজের মতামত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,

    "বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ঠাকুরের সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করার পাশাপাশি চীনে তাঁর প্রভাব ত্বরান্বিত করার জন্য চীনের লেখকরা তাঁর চমত্কার লেখা চীনা ভাষায় অনুবাদ করেছেন। গত কয়েক বছর চীনের অনুবাদকরা ঠাকুরের সাহিত্য সংকলন অনুবাদ করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। তাদের মধ্যে বাংলা ভাষার বিশেষজ্ঞ তুং ইয়ৌ ছেন ঠাকুরের সাহিত্য পুনরায় অনুবাদ করা প্রতিনিধিদের অন্যতম।" এবার অনুবাদ কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন,

    "আগামী বছর হবে ভারতের বাংলা সাহিত্যের লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী। তাঁকে স্মরণ করার জন্য চীনের জনগণ প্রকাশনা সংস্থা ঠাকুর সাহিত্য সংকলন প্রকাশ করতে চায় এবং আমি এ সংলনের প্রধান সম্পাদক। আমার বয়স বেশি - একাকি এ কাজ সম্পন্ন করা তো অসম্ভব। তবে আমি মনে করি, এ কাজ খুবই তাত্পর্যপূর্ণ।আগে আমরা ঠাকুর সাহিত্য সংকলন প্রকাশ করেছি, তবে কম সময়ের মধ্যে শেষ করার কারণে ওই সংকলনের বিষয় সম্পূর্ণ নয়। এবার আমরা পুনরায় এ সংকলন করি - বাংলা ভাষা থেকে অনুবাদ করি। এটা খুবই তাত্পর্যসম্পন্ন। আমরা যুব বিশেষজ্ঞদের, বিশেষ করে যারা বাংলা ভাষা বোঝেন না, তাদের জন্য ভিত্তি গবেষণার পরিসংখ্যান দেবো। আমরা রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া ১৮টি লেখার সংকলন অনুযায়ী অনুবাদ করি। চীনা ভাষা ও বাংলার শৃঙ্খলা সব একই রকম, যাতে সবার দেখার জন্য সুবিধা হয়। ঠাকুর চীনের সাহিত্য বিশেষ করে আধুনিক সাহিত্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেন। তিনি আমাদেরকে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার দিয়েছেন। তাঁর স্বরূপ আমরা লেখার মাধ্যমে অনুভব করতে পারি। আশা করি, ৫ বছরের মধ্যে তা শেষ হবে।"

    উল্লেখ্য, ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রতিভা পাতিল চীনা অনুবাদকদের ঠাকুর সংকলন অনুবাদের খবর পেয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে ধন্যবাদ পত্র পাঠিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন:

    "গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে তাঁর সাহিত্য সংকলনের চীনা অনুবাদ প্রকাশিত হবে জেনে আমি খুবই আনন্দিত। তিনি চীনের ওপর গভীর মনোযোগ দিয়েছিলেন এবং সক্রিয়ভাবে এশিয়ার দু'টি প্রাচীন সাংস্কৃতিক দেশের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করেছেন। এ সংকলনের মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করা হবে।"

    "বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ঠাকুর সার্বজনীন চেতনা নিয়ে সাহিত্য সূচনা করেন। তাঁর লেখা ভারত ও চীনসহ অন্যান্য দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। চীন সফরকালে তিনি চীনের লেখকদের সঙ্গে কার্যকর আদান-প্রদান করেন। ভারত ও চীনের জনগণ তা মনে রেখেছেন। ১৯৩৭ সালে তিনি শান্তিনিকেতনে চীনা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠান করেন, যা চীন সম্পর্কে গবেষণা ও চীনা ভাষা শেখার সূচনা করে। চলতি বছরের শুরুতে আমি চীন সফর করি। সফরকালে শাংহাইতে আমি ঠাকুরের অর্ধ শরীরী মূর্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিই। ভারত ও চীনের জনগণের মৈত্রীসেতু গঠনে ঠাকুরের অবদানের জন্য এ মূর্তি স্থাপিত হয়েছে। সফরকালে আমি বুঝতে পারি যে, তিনি চীনা জনগণের আন্তরিকতা ও সম্মান পেয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, এ সংকলন ভালভাবে তাঁর লেখা উপভোগ করার ক্ষেত্রে চীনা পাঠকদের জন্য সহায়ক হবে এবং তারা ভারতীয় জাতিকে বুঝতে পারবে। এটা হচ্ছে তাত্পর্যপূর্ণ পরিকল্পনা। আমি চীনা অনুবাদক ও সম্পাদকদের প্রতি ধন্যবাদ জানাই এবং আমার সবচেয়ে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।"

    প্রিয় বন্ধুরা, যদিও বিশ্বকবি মেরে গেছেন, তবে তাঁর ধীময় চিন্তাভাবনা, স্নেহময় চেতনা ও শান্তিকামী তত্ত্ববিদ্যা অন্ধকার রাতের বাতির মতো আমাদের দিক নির্দেশনা দিয়ে যাবে।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040