Web bengali.cri.cn   
"আজকের ভারত সাহিত্য" বিষয়ক সেমিনার থেকে শুরু করে পেইচিং আন্তর্জাতিক বই মেলার তত্পর্যর নিয়ে আলোচনা
  2010-09-08 16:36:39  cri

শরতকালের বাতাস মানুষের মাঝে শীতলতা বয়ে আনে। এই সুন্দর শরতকালে পেইচিংয়ে ১৭তম আন্তর্জাতিক বই মেলা শুরু হয়েছে। "বই প্রদীপের মতো আপনাকে একটি নতুন বিশ্বের ভেতর দিয়ে দূরে কোথাও নিয়ে যাবে", শিশুদের গাওয়া "বইয়ের বিশ্ব" শিরোনামে এ সুন্দর গানের মধ্য দিয়ে ৩০ আগস্ট সকালে ১৭তম পেইচিং আন্তর্জাতিক বই মেলা চীনের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী কেন্দ্রে শুরু হয়েছে।

এবারের বই প্রদর্শনীর আয়তন ৪৩ হাজার বর্গমিটার এবং মোট ২১৫০টি স্টল রয়েছে। ৫৮টি দেশ ও অঞ্চলের ১৮৪১টি দেশী-বিদেশী প্রকাশনা ২ লাখেরও বেশি বই মেলায় প্রদর্শন করেছে। এছাড়াও এতে এক হাজারেরও বেশি সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মকান্ডের আয়োজন করা হয়েছে। ২ লাখেরও বেশি দর্শক মেলাটি পরিদর্শন করেছেন বা বইয়ের ব্যবসা প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন। এবারের বই মেলায় ভারত ছিলো স্বাগতিক দেশ। চলতি বছর চীন ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ২০১০ সালে চীনের ভারত বর্ষের একটি অংশ হিসেবে স্বাগতিক দেশ হিসেবে ভরতের অংশগ্রহণ নিতান্ত তাত্পর্যসম্পন্ন।

২৭টি ভরতীয় প্রকাশনা এবারের বই মেলায় অংশ নিয়েছে এবং বিশেষভাবে বৌদ্ধ ধর্ম, জাওয়াহেরলাল নেহরু এবং রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরসহ এ তিনটি ক্ষেত্রে ভারতের সংস্কৃতি প্রদর্শনকারী বইগুলো বেছে নিয়েছে। মেলায় অংশগ্রহণের প্রতিপাদ্য হলো মধ্যপন্থী পথ অনুসন্ধান করা। ইন্ডিয়া ন্যাশনাল লাইব্রেরী অব দি কমনওয়েলথের চেয়ারম্যান বিপন চন্দ্র বলেন, বৌদ্ধ, রবী ঠাকুর ও নেহরু এ তিনটি প্রতিপাদ্য যে বেছে নেয়া হয় তার কারণ ছিলো বৌদ্ধ ধর্ম হচ্ছে ভারত ও চীনকে সংযুক্ত করার সাংস্কৃতিক সংযোগস্থল, রবী ঠাকুর হচ্ছেন নোবেল সাহিত্য পুরস্কার পাওয়া এশিয়ার প্রথম লেখক, জাওয়াহেরলাল নেহরু হচ্ছেন স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও চীন-ভারত সম্পর্কের প্রত্যক্ষদর্শী। মধ্যপন্থী এই ধারণা সাক্যমুনির চিন্তাধারা। ভারত ও চীনের সংস্কৃতিক বিনিময় বৌদ্ধের বিনিময় থেকেই শুরু হয়। রবী ঠাকুর মনে করেন, প্রাচ্য ও পশ্চিমার সংঘর্ষ সৃষ্টি করা উচিত্ নয়। নেহরু ভারতে পশ্চিমার সঙ্গে এশিয়ার বিনিময়ের সেতু স্থাপনের পক্ষপাতী। এসব ধারণা "মধ্যপন্থীর" সঙ্গে সম্পর্কিত এবং চীনের সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে।

এবারের বই মেলায় ভারতের প্রদর্শনী কেন্দ্রের বাহ্যিক গঠন ঐতিহ্যবাহী ঘাস-বাড়িকে আদিরূপ হিসেবে নির্মিত ভারতের প্রাঙ্গন। তার নাম হলো "অপরিসীম সম্ভাবনায় ভরপুর প্রাঙ্গন"। এর আয়তন প্রায় এক হাজার বর্গমিটার।

বই মেলা চলাকালে ২০ জন ভারতীয় বিখ্যাত আধুনিক লেখক লেখিকা অংশ নিয়েছেন এবং তাঁদের সাহিত্যকর্ম নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন। "আজকের ভারত সাহিত্য" বিষয়ক সেমিনার তাদের মধ্যে অন্যতম একটি। ভারতের সাহিত্যের কথা উল্লেখ করলে সবাই মনে করেন, এটি একটি বিমূর্ত বিষয়। কিন্তু মেনিনারে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন লেখকের চমত্কার বক্তব্যের মাধ্যমে একটি বৈচিত্রময় কিন্তু ঐক্যবদ্ধ ভারতের সাহিত্য ধারণা আমাদের প্রত্যেক শ্রোতার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে।

বাংলাভাষী লেখক হারশা দত্ত প্রথমে বক্তব্য দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি হচ্ছেন "দেশ" মাসিক পত্রিকার সম্পাদক। দেশ হচ্ছে বিখ্যাত পত্রিকা আনন্দ বাজারের ম্যাগাজিন। ৪ ও ৫ প্রজন্মের বাংলাভাষী লেখক এ ম্যাগাজিনের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। বক্তব্যে দত্ত বলেন, ভারত একটি বৈচিত্র্যময় দেশ, কিন্তু এতে অভ্যন্তরীণ একীকরণও রয়েছে। এ ধরণের বৈশিষ্ট্য বিশ্বে কম দেখা যায়। তিনি বলেন,

এমন ধরণের বৈচিত্র্যময় দেশে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্য পর্যন্ত মোট কয়েক'শটি ভাষা আছে। একদিন আপনি বাড়িঘর স্থানান্তরিত করলে আবিষ্কার করবেন যে, প্রতিবেশীর কথাও বুঝতে পারেন না।

বৈচিত্র্যময় একীকরণ সাহিত্য, শিল্প ও সঙ্গীততসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলেছে। বহুভাষাসম্পন্ন একটি দেশ হিসেবে আমরা ভারতের সাহিত্য বিবেচনার সময় শুধুমাত্র একটি ভাষা বা একটি প্রতিপাদ্যের ওপর দৃষ্টি রাখতে পারবো না।

যে কোন দেশের যে কোন সময়পর্বেই সাহিত্য নিঃসঙ্গ নয়। ভারতের সাহিত্যও একই রকম। আজকের ভারত সাহিত্যের একদিনের মধ্যে গড়ে উঠা অসম্ভব। আগেকার সাহিত্যের সার আহরণের পর ধাপে ধাপে গড়ে ওঠে সমৃদ্ধ হয়েছে।

১৯ শতাব্দীর মাঝা মাঝি সময় ভারত পুরোপুরিভাবে বৃটেনের উপনিবেশ হওয়ার পর বাংলাদেশ ছিলো তখন ভারতের অর্থনীতি ও সংস্কৃতির উন্নয়নের অগ্রণী এলাকা। বাংলাভাষী নতুন সাহিত্য সবচেয়ে আগে জাতীয়তার চিন্তা ও চেতনা ফুটিয়ে তুলেছে এবং ভারতের গোটা সাহিত্যের অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। জাতীয় মুক্তির অভিযানের সঙ্গে হিন্দী ভাষার নতুন সাহিত্যের সৃষ্টির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও রয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসকের সঙ্গে ভারতীয় জনগণের দ্বন্দ্ব তীব্রতর হয়েছে। ভারতের লেখকদের চিন্তা-ভাবনাও গভীরভাবে পরিবর্তন হয়েছে। তাঁদের সাহিত্যকর্মে সাম্রাজ্যবাদ ও সামন্ততান্ত্রিকবাদ বিরোধিতা সম্পর্কিত মর্ম দেখা দিয়েছে। ১৯৩৬ সালে প্রেমচাঁদের নেতৃত্বে সারা ভারতের লেখক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারতের সাহিত্য নতুন সময়পূর্বে প্রবেশ করে। এ সম্পর্কে দত্ত বলেন,

আধুনিক ভারত সাহিত্যে জনগণের ক্ষয়ক্ষতি ও সংগ্রাম প্রদর্শিত হয়েছে এবং বৃটেনের সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতের উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসকদের অপরাধ উদ্ঘাটন করা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিপাদ্য ছিলো।

১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হয়। আগেকার ভারত ভারত ও পাকিস্তান এ দুটি দেশ বিভক্ত করা হয়। ভারতের সাহিত্য সার্বিক উন্নয়নের সময়ে উন্নীত হয়। কিন্তু ভারতের সাহিত্য বহু জাতীয় ও বহু ভাষাসম্পন্ন এক ধরণের সাহিত্য। বিভিন্ন জায়গার আঞ্চলিক ভাষার ভিত্তিক ভাষার সংখ্যা কয়েকশরও বেশি।

"একজন ইন্ডিয়ান হিসেবে আমি নিজের দেশের সুপ্রাচীন উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির কারণে গৌরব বোধ করি। "

প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা এখন যে কথা শুনলেন তা হলো বিখ্যাত ওয়েভ মাল্টিলিংগুয়াল লেখক অনিল কুমার বোরোর বক্তব্যের সূচনা কথা। ভারতের সাহিত্য প্রসঙ্গে বোরো মনে করেন, বহুবচনসূচক পদ্ধতিতে তাকে প্রকাশ করা উচিত্। কারণ সত্যিকার ভারত সাহিত্য আঞ্চলিক ও বহুভাষাসম্পন্ন। প্রত্যেকটি ভাষা বিশেষ ধরনের। প্রত্যেক অঞ্চলের ভাষা ও সাহিত্য সে অঞ্চলের লোকের ভাবানুভূতি ও স্বপ্নের প্রতিনিধিত্ব করে। এ প্রসঙ্গে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে,

আমি ন্যাশনাল একাডেমী অব লেটারসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাদের সাহায্যে একটি ভাষার সাহিত্য অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করা হয় এবং ধাপে ধাপে অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে।

২০ শতাব্দীর শেষ নাগাদ নতুন সাহিত্যের সৃজনশীলতা ভারতের সাহিত্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তখন উপন্যাস ছিলো লেখকদের লেখার প্রধান পদ্ধতি। গল্প বর্ণনার সময় মহাকাব্য অনুকরণ করা এসময় ভারতের সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। গ্রামাঞ্চল ও শহরের মানুষের সম্পর্ক উপন্যাসের প্রধান বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তা ছাড়া, লিংগ সমস্যা, পণপ্রথার সমস্যা, সমাজের ন্যায্যতা, তথা সমকামি সমস্যাও উপন্যাসে দেখা দিয়েছে।

আজকের ভারত সাহিত্য যুগের কন্ঠ প্রকাশ করে। বিখ্যাত হিন্দী নারী লেখিকা মৃদুলা বেহারি মনে করেন, বর্তমানে লেখকদের লেখার মনোভাব সুচিন্তিত, মাঝে মাঝে অতিরিক্ত সুচিন্তিত হয়েছে। তাঁদের সাহিত্যকর্মে পুরোপুরি বাস্তবতা প্রকাশ করা হয় এবং বর্ণনার প্রাণবন্ত কথার অভাব দেখা দেয়। বেহারি মনে করেন, প্রাণবন্ত ভাষাও উপন্যাসের অপরিহার্য একটি অংশ। তিনি বলেন,

উপন্যাসের মূল হলো গল্প। কিন্তু ভাষা অর্থ প্রকাশ ছাড়াও প্রচারের ভূমিকাও পালন করে। লেখক পাঠকদের কাছে নিজের ধারণা পৌঁছতে চাইলে প্রথমে পাঠকদের মনে পৌঁছতে পারলে অনুনাদ সৃষ্টি করবে। যেমন মাটি দিয়ে মৃত্শিল্প তৈরীর মতো নিজের ভাষা নির্মাণ করা। ভাষার সুদক্ষ ব্যবহার করতে চাইলে দীর্ঘ সময় ও ধৈর্যের সঙ্গে চর্চা করা প্রয়োজনীয়।

নারী লেখিকা বেহারি বা বাংলাভাষী, ওয়েভ মাল্টিলিংগুয়াল লেখক, i মারাঠি ভাষার লেখক, তারা যার যার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন যে, নারী লেখিকার আবির্ভাব পুরুষের উদ্যোগে প্রহরার সমাজের চ্যালেঞ্জ করেছে। বেহারি বলেন,

শহর ও গ্রামাঞ্চলের নারী কবিতা ও উপন্যাসসহ বিভিন্ন উপায়ে যার যার অনুভূতি প্রকাশ করেন। ফেমিনিজাম প্রসঙ্গে বিশেষ করে উপস্থাপন করা স্পষ্টভাবেই পশ্চিমা নারী-অধিকারবাদের ওপরে প্রভাবিত হয়েছে।

লেখকদের চমত্কার বক্তব্যের মাধ্যমে ভারতের সাহিত্য যেন আমাদের সামনে ফুটিয়ে তোলা এক একটি রঙিন ছবি । আমরা তাঁর আগেকার ও আজকের অবস্থা দেখেছি এবং তাঁর আরো সুন্দর ভবিষ্যত দেখারও আকংক্ষায় রয়েছি।

সেমিনারের শেষে বাংলাভাষী লেখক হারশা দত্ত আমাদের সংবাদদাতাকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন,

সাহিত্য আমাদের রক্তে রয়েছে। বাংলাদেশ বা ভারতের তরুণ-তরুণীদের জন্য প্রতিদিন নানা ধরণের সাহিত্যকর্ম পড়া অসম্ভব, কিন্তু সাহিত্যের প্রতি তাঁদের অন্বেষণ কখনও থামবে না। যারা লেশমাত্র শিক্ষা পেয়েছেন, তারা রবী ঠাকুরের সাহিত্যকর্মও পড়েন। সাহিত্য আমাদের শরীরে আমাদের সঙ্গেই বড় হয়েছে।

পেইচিংয়ে বাংলা ভাষা বলতে সক্ষম আমাদের সঙ্গে দেখা করে দত্ত অনেক আবেগাক্রান্ত। তিনি বরাবরই কথা বলার সময় সে ধরণের উষ্ণতা বজায় রেখে আমাদের প্রত্যেকের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।

চীনের সঙ্গে পরিচয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

চীনের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি প্রসঙ্গে আমরা জানতে আগ্রহী। কারণ আমরা চীনের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছি। কারণ ভাষার কারণে আমরা শুধুমাত্র চীনা ভাষা থেকে ইংরেজী, ইংরেজী থেকে বাংলা ভাষায় অনুবাদের মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে পরিচিত হবো। এমন ধরণের পরিচয় সরাসরি নয়, সাবলীল নয়। তাই আন্তর্জাতিক বই মেলায় তার গুরুত্ব দেখা দিয়েছে। এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে আমরা মুখোমুখিভাবে বিনিময় করতে এবং পরস্পরের চাহিদা জানতে পারি। এবারের পেইচিং আন্তর্জাতিক বই মেলার কারণে আমি আপনাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাই। কথা বলতে বলতে তিনি রবী ঠাকুরের একটি বিখ্যাত গান গেয়েছেন।

"আমি চিনি গো চিনি তোমারে ওগো বিদেশীনী। তুমি থাকো সিন্ধু পারে ওগো বিদেশীনী।"

চাং লিন বো হচ্ছেন পেইচিং বিদেশী ভাষা ইন্সটিটিউটের তৃতীয় বর্ষের একজন ছাত্র। এবারের বই মেলার স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তিনি মনে করেন, এতে তিনি উপকৃত হয়েছেন। তিনি বলেন,

আগে আমি ভারতের সাহিত্য পড়তে চাইলে শুধুমাত্র ইংরেজি বা হিন্দী ভাষার বই পড়তাম। এবারে ২৪টি ভাষার সাহিত্য নিজের চোখে পড়েছি, আমি অবাক হয়েছি। আগে আমি স্কুলের বইতে প্রেমচাদসহ বিভিন্ন বিখ্যাত লেখকের প্রবন্ধ পড়েছি, কিন্তু তাদের পূর্ণাঙ্গ সাহিত্যকর্ম দেখিনি। এবারে আমি দেখেছি অনেক এবং আবেগাক্রন্ত।

স্বাগতিক দেশ হিসেবে ভারত বা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য আন্তর্জাতিক বই মেলা একটি সেতুর মতো। এ সেতুর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ একত্রিত হয়ে কথা বলেন। বই ও কপিরাইটের বাণিজ্য ছাড়াও মানুষের সঙ্গে মানুষের হৃদয়ের যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বই মেলার বৃহত্তম তাত্পর্য। (লিলি)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040