|
সবাই চুপচাপ বসে থাকলো। একজন হঠাত্ প্রস্তাব দিলেন যে, আমরা প্রত্যেকেই ঘরের মেঝেতে একটি করে সাপ টান আঁকবো এবং যে সবচেয়ে দ্রুত ও সুন্দরভাবে সাপের পাসহ আঁকতে পারবে তাকেই এ মদ খেতে দেয়া হবে। কি আপনারা সবাই রাজিতো? সবাই মনে করলো, তাঁর এই প্রস্তাবটি অনেক ভালো। তাই সবাই ঘরের মেঝেতে সাপ আঁকতে শুরু করে দিল।
সদস্যদের মধ্যে একজন খুব দ্রুত আঁকার চেষ্টা করছিল। হঠাত্ সে পাত্র থেকে মদ খেতে শুরু করলে বাকী সবাই দেখলো যে, তার সাপ আঁকা শেষ হয়নি। তিনি নিজেই ভেবেছিলেন যে, সবাই খুব ধীরে ধীরে আঁকছে। তাই তার সংগে কেউ পারবে না। তাই সে নিজের নৈপুন্য প্রদর্শনের জন্য সে বা' হাতে মদের পাত্রটি ধরে ডান হাতে একটা তুলি দিয়ে সাপ ও সাপের পা আঁকছিলেন। আঁকার সাথে সাথে তিনি উল্লাসের সংগে বলছিলেন যে, তোমরা এত আস্তে আস্তে আঁকছিলে যে, আমার এ সাপের পা আঁকতে মোটেই দেরী হবে না। এ কথা বলার পাশাপাশি তিনি সাপের দেহে পা আঁকছিলেন। তাঁরা পাশে অন্য আরেকজনের সাপ আঁকা ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে যায়। তিনি সেই লোকটির হাত থেকে মদের পাত্র নিজের কাছে নিয়ে বললেন, তুমি কি আগে কখনো সাপের পা দেখেছো? সাপের কোন পা নেই। তুমি কেন সাপের পা আঁকছো? তাই প্রথম তুমি শেষ করো নি, বরং আমি শেষ করেছি। একথা বলার সাথে সাথে তার হাতে থাকা পাত্রের সব মদ খেয়ে ফেললো।
হ্যাঁ, প্রিয় বন্ধুরা, এ গল্পটি শুনে আপনারা কী বুঝতে পারলেন? কিই বা শিখতে পারলেন? আসলে এটিতো একটি বুদ্ধির খেলা। বা বলা যায় কার কত মেধা আছে তা প্রদর্শনের পরীক্ষা। সত্যি কথা হলো সাপেরতো কখনো পা থাকে না। তাই যে সাপের পা আঁকে আসলে সেতো অনেক বোকাই বটে। মদ খেতে বা না খেতে পারা একটি সামান্য ব্যাপার। এ থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে, যে মানুষ বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে নিজের ইচ্ছেমত কাজ করে সে বেশিরভাগ সময়ই নিজের বিপদ ডেকে আনে।। মূলকথা হলো জীবন ক্ষেত্রে সকলকেই চিন্তা-ভাবনা করে বুদ্ধিমত্তার সংগে কাজ করতে হয়।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |