Web bengali.cri.cn   
জাপানী আদর্শ শ্রমিক কিশি আকিরার চীনের জীবন
  2010-06-11 20:29:10  cri
প্রতি বছরের আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসে চীনের বিভিন্ন স্তরের সরকার বিভিন্ন মহলের শ্রেষ্ঠ শ্রমিকদের পুরস্কার দেবে এবং আদর্শ শ্রমিকের মর্যাদা দেবে। চীনে আদর্শ শ্রমিক হল একজন শ্রমিককে দেয়া সর্বোচ্চ স্বীকৃতি। তারা সমাজ এবং সহকর্মীদের সম্মান পাবেন, তারাও সবার দৃষ্টান্ত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অধিক থেকে অধিকতর বিদেশি চীনের আদর্শ শ্রমিকদের মর্যাদাও পেয়েছেন।

৫৫ বছর বয়সী আকিরা জাপানের সাইতামা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বরাবরই ওষুধ তৈরির কাজ করেন। সম্প্রতি তিনি ও একজন ফোরাসী একসাথে পেইচিংয়ের প্রথম দফার বিদেশি আদর্শ শ্রমিকের পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আকিরা বলৈন, চীনে কাজ করার কারণে আমার কর্ম জীবনের সবশেষ দশ বছর আরো তাত্পর্যসম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন:

আমার নাম আকিরা, আমি পেইচিংয়ের টাইড ওষুধ কোম্পানীর একজন কর্মী। ১৯৭৮ সালে আমি জাপানের দোশিশা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছি, একই বছরের এপ্রিলে প্রকৌশলী হিসেবে আমি জাপানের তাইশো ওষুধ কোম্পানীতে যোগ দিয়ে ২৭ বছর কাজ করেছি। আমি প্রধানত কারখানার নির্মাণ, উত্পাদন যন্ত্রের ডিজাইন, উত্পান পরিচালনা এবং যন্ত্রের মেরামতসহ বিভিন্ন কাজের জন্য দায়ী। ১৯৯৪ সালে পেইচিংয়ের চীন-জাপান মৈত্রী হাসপাতাল তাইশো কোম্পানী থেকে নতুন যন্ত্র আমদানি করেছে। এ সুযোগে আমি প্রথমবারের মত পেইচিংয়ে এসেছি, এরপর এসব যন্ত্র স্থাপন করা এবং পরীক্ষা করার জন্য আমিও বেশ কয়েক বার চীনে এসেছিলাম।

আকিরা একজন জাপান বিশেষজ্ঞ হিসেবে ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মত চীনে এসে টাইড কোম্পানীর ওষুধ উত্পাদনকারী যন্ত্র পরীক্ষা করেছেন। এরপরের তিন বছরের মধ্যে আকিরা পর পর ৮বার চীনে এসেছিলেন। তবে প্রতি বার চীনে এসে তিনি শুধু এক সপ্তাহ থাকতে পারেন। যদিও সময় অনেক কম, তবে চীনের প্রাণচঞ্জল পরিবেশ আকিরার মনে গভীর দাগ কেটেছে। ২০০২ সালে আকিরা টাইড কোম্পানীর ফোন পেয়েছেন, টাইড কোম্পানী তাকে নতুন কারখানা ডিজাইনের অনুরোধ জানিয়েছেন। এর ফলে তিনি চীনে আসার সুযোগ পেয়েছেন।

কারখানা নির্মাণ কাজে আকিরার উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য পেইচিং টাইড কোম্পানী আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে কোম্পানীতে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তিন বছর পর আকিরা জাপানের কাজ থেকে পদত্যাগ করে আনুষ্ঠানিকভাবে টাইড কোম্পানীর একজন কর্মী হয়েছেন। এখন আকিরা পেইচিংয়ে ৫ বছর ধরে কাজ করেছেন।

পেইচিংয়ের সংস্কৃতি, সুস্বাদ্যু খাবার অথবা সুন্দর দৃশ্যের আকর্ষণে অনেক বিদেশি পেইচিংয়ে এসে কাজ করেন। তবে আকিরার মতে, পেইচিংয়ে কাজ করা তার মূল্য প্রকাশ করতে পারে। তিনি বলেন:

টাইড ততটা বড় কোম্পানী নয়, এখানে আমার সহকর্মীর সঙ্গে এই কোম্পানীকে উন্নয়ন করতে আমি খুব আস্থাবান।

পেইচিংয়ে কাজ করার অনুভূতি সম্পর্কে আকিরা বলেন, এখানকার কাজ অনেক আরামদায়ক এবং আনন্দময়। তিনি বলেন:

প্রথমেই আমার মনে হয়, টাইড কোম্পানীর কর্মের পরিবেশ অনেক ভালো। সবাই মন দিয়ে ওষুধ তৈরির জ্ঞান শিখছে এবং পরিশ্রেম কাজ করছে।

আকিরার টেবিলে একটি ফোর্ম আছে, এ ফোর্মে লেখা আছে প্রতি সহকর্মীর চীনা নামের উচ্চারণ। যখন কোম্পানীতে নতুন কর্মী আসে, তখন তার এ ফোর্মে তাদের নাম যোগানো হবে।

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040