Web bengali.cri.cn   
শাংহাই বিশ্ব মেলা উদ্যানে 'জার্মান-চীন বিজ্ঞান ও শিক্ষা বর্ষ' শেষ
  2010-06-11 13:58:13  cri
২ জুন '২০০৯ ও ২০১০ জার্মান-চীন বিজ্ঞান ও শিক্ষা বর্ষের কর্মসূচী শাং হাই বিশ্ব মেলা উদ্যানে অবস্থিত 'জার্মান – চীন একসাথে এগিয়ে যাচ্ছে' শীর্ষক প্রদর্শনী কেন্দ্রে শেষ হয়েছে। জার্মানীর ফেডারেল শিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণা বিষয়ক মন্ত্রী মাদাম শ্যাভান এ্যানেত শ্যাভান এবং চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ওয়েন কাং সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন।

২০০৯ সালের জানুয়ারী মাসে চীন ও জার্মান সরকার যৌথভাবে বিজ্ঞান ও শিক্ষা বর্ষের কর্মকান্ড আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ কর্মকান্ডের প্রতিপাদ্য হলো 'জ্ঞান অনুসন্ধান করা'। কর্মকান্ডের সময় চীন ও জার্মানীর যৌথ প্রচেষ্টায় মোট ১৫০টিরও বেশি তত্পরতা আয়োজিত হয়েছে। বিশেষ করে উচ্চ ও পেশাগত শিক্ষা এবং জলবায়ু, জ্বালানীসম্পদ, স্বাস্থ্য ও ন্যানোসহ উন্নত প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রের সহযোগিতার সঙ্গে সম্পর্কিত। চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ওয়েন কাং বলেন,

আমরা বিশ্বের অভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন হচ্ছি। যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানীসম্পদের বৈচিত্র এবং খাদ্যশস্যের সমস্যার সমাধান এবং জনগণের মান সম্মত স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। তাই এ অভিন্ন লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য দু'দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রের কর্মীদের যৌথ প্রচেষ্টার প্রয়োজন রয়েছে।

'জার্মান – চীন একসাথে এগিয়ে যাচ্ছে' শীর্ষক ধারাবাহিক বন্ধুত্বপূর্ণ কর্মসূচী ২০০৭ সালে চীন ও জার্মানীর যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়। জার্মানীর চ্যন্সেলর হোস্র্ট কোলার এবং চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও যৌথভাবে তত্ত্বাবধানকারীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এসময় জার্মানী চীনের পাঁচটি প্রদেশ ও শহরে ছ'শরও বেশি নানা ধরণের প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন করে। 'জার্মান – চীন একসাথে এগিয়ে যাচ্ছে' শীর্ষক সর্বশেষ কর্মসূচী হিসেবে 'জার্মান – চীন একসাথে এগিয়ে যাচ্ছে' শীর্ষক প্রদর্শনী কেন্দ্র শাং হাই বিশ্বমেলার উদ্যানে স্হাপন করা হয়। এ কেন্দ্রটিতে টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশ-বান্ধব ধারণা প্রতিফলিত হয়। কেন্দ্রটি সহজভাবেই স্হাপন করা যায় এবং ভেঙ্গে ফেলা যায়। কেন্দ্রটি স্হাপনের সব মালামাল সংরক্ষণ করা যায় এবং তাপুনর্ব্যবহার করা যায়।

ওয়ান কাং বিশ্বাস করেন, এ ধরণের কর্মকান্ড অবশ্যই অব্যাহত থাকবে এবং চীনের বিভিন্ন বড় বড় নগর তথা গ্রামেও তা বিস্তৃত হবে।

এ্যানেত স্চাভান আশা করেন, বিজ্ঞান ও শিক্ষা ক্ষেত্রে দু'দেশের সহযোগিতা আরো গভীর পর্যায়ে উন্নয়ন হতে পারবে। তিনি বলেন,

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানসম্মত সহযোগিতা এবং জার্মান ও চীনের বিজ্ঞানীদের সহযোগিতা ও সমঝোতা দু'দেশের বিজ্ঞানসম্মত ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার তৃতীয় পর্যায়ে প্রবেশের সুষ্ঠু ভিত্তি স্থাপন করেছে। তৃতীয় পর্যায় হচ্ছে দু'দেশের মধ্যে বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা বিনিময় ও যৌথভাবে প্রকল্প চালানোর কাঠামোগত সহযোগিতার যুগে প্রবেশ করা। এর মধ্যে রয়েছে জ্বলানী সম্পদ ও জৈব জ্বালানীর ব্যবহারসহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি।

চীনে নিয়োজিত জার্মানীর রাষ্ট্রদূত Michael Schafer মিশেল শেফার বলেন, শাংহাই বিশ্বমেলা ও 'জার্মান – চীন একসাথে এগিয়ে যাচ্ছে' শীর্ষক কর্মকান্ডের সুযোগে জার্মান ও চীনকে সার্বিক সহযোগিতা চালাতে হবে। তিনি বলেন,

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছাড়া, আমরা জার্মান ও চীনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিনিময়, শহর ডিজাইনারদের বিনিময় ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন প্রস্তাব উত্থাপন করতে চাই এবং আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তা গভীরতর করতে চাই। এভাবে জার্মান ও চীনের বিনিময় পেইচিং ও শাংহাইসহ বড় বড় শহর থেকে চীনের বিভিন্ন শহর ও অঞ্চলে বিস্তৃত হতে সক্ষম হবে। (লিলি)

সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040