|
আগে অনেক ক্ষুদ্রাকারের সাংস্কৃতিক কোম্পানি ব্যাংকে ঋণ নিতে চেতো কিন্তু অবশেষে ব্যাংক তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করতো। পাও লি ইয়ান ই চিং চি লিমিটেড কোম্পানি একটি বেসরকারী কোম্পানি। এর মাত্র ৩০ জনেরও বেশি কর্মী আছে। এ কোম্পানির উপ-পরিচালক থিয়ান হাই ইয়ান বলেন, কয়েকবার তাদের প্রকল্প জনপ্রিয় করে তোলার জন্য ব্যাংককে সাহায্য চেয়েছে। কিন্তু কোন ফলাফল পায়নি। তিনি বলেন,
আমরা কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঋণ নিতে চেয়েছি কিন্তু কোন সমর্থন পাইনি। তাদের শর্ত উচ্চ। আমাদের কোম্পানির মতো রিয়াল ইস্টেটের চেয়ে ভিন্ন। আমাদের কোন রিয়াল বন্ধক নেই। আমরা ঘর বর্গা নিয়েছি।
এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের নিজের সংশয় আছে। সাংস্কৃতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়া এক নতুন পরিসেবা। এ ধরণের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শক্তি দুর্বল এবং ব্যাপকতা ছোট। তারা সম্ভবতঃ একটি প্রকল্পের জন্য ব্যর্থ হয়ে তারপর দেউলিয়াপনা হবে। একটি চলচ্চিত্র এবং একটি পরিবেশনা বাজারে প্রদর্শনের আগে শুধুমাত্র মনে ইচ্ছা। এ ধরণের নিরবয়ব পণ্যদ্রব্যের স্বত্তাধিকার কীভাবে বন্ধক করবে? আগে কখনও করেনি।
গত বছর থেকে চীনের সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় আর্থিক সংস্থা ও সাংস্কৃতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টা চালিয়েছে। ব্যাংক সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ করা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়। এক বছরের মধ্যে ২৩টি প্রকল্প সাফল্যের সঙ্গে ৬০০ কোটি ইউয়ান রেনমিনপি মূল্যের ঋণ পেয়েছে।
ছিয়াও চিয়া রেন নামে পেইচিংয়ের একটি মিডিয়া সংস্থা ঋণ দিয়ে সাফল্যের সঙ্গে বিদেশের একটি মিডিয়া কোম্পানি কিনেছে এবং তার পরিসেবা মার্কিন বাজারে সম্প্রসারণ করেছে। এ কোম্পানির মহাপরিচালক লি ফোং বলেন,
সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানিকৃত কোম্পানি হিসেবে আমরা ব্যাংকের ঋণ পেয়েছি। স্থাবর সম্পত্তি, ছিয়াও চিয়া রেন এই ব্র্যান্ড এবং দশটিরও বেশি বছরের মধ্যে আমাদের পুঁজি বিনিয়োগের সাহায্যে তৈরী করা চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠান বন্ধক করা হয়। তিনি আরো বলেন, আর্থিক সংকটের কারণে বিদেশের সেই শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অর্থ হ্রাস হয়েছে। তাই তিনি যুক্তগত দামে সেই কোম্পানিকে কিনেছেন।
আসলে সাংস্কৃতিক শিল্প চীনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির নতুন বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুলভূভাগের সাংস্কৃতিক শিল্পের উন্নয়নের গতি উল্লেখযোগ্য। একই সময়ের জি ডি পির চেয়ে বেশি দ্রুত হয়। পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০০৪ সালের পর চীনের সাংস্কৃতিক শিল্প প্রতি বছর ১৫ শতাংশের গতিতে বজায় রয়। ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংকটের প্রেক্ষাপটে সাংস্কৃতিক শিল্প উন্নয়নের প্রবণতায় বজায় থাকে। চলতি মাসে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়সহ ৯টি মন্ত্রণালয় ও কমিটি যৌথভাবে আর্থিক ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক শিল্পকে সমর্থনের দলিলপত্র প্রকাশ করেছে।
চীনের গণ ব্যাংকের আর্থিক বাজার কার্যালয়ের মহাপরিচালক মু হুয়া পোং মনে করেন, সাংস্কৃতিক শিল্পের উন্নয়নে আর্থিক সমর্থন প্রয়োজনীয়। সাংস্কৃতিক প্রকল্প ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য পুঁজি বিনিয়োগ করতে আর্থিক সংস্থার আগ্রহও দিন দিন উঠে আসছে। তিনি আরো বলেন,
আর্থিক সংস্থা সাংস্কৃতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে নিজ নিজ উদ্যোগে তাদেরকে আর্থিক সেবা দিতে হবে।
উল্লেখিত নীতিতে স্পষ্টভাবে লেখা হয় যে, সাংস্কৃতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ঋণপত্র নির্গত করার উপায়ে সরাসরিভাবে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। চীনের বীমা সংস্থাও জানিয়েছে, তারা সাংস্কৃতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বীমা পণ্য সৃষ্টি করতে ইচ্ছুক।
চীন সরকার সাংস্তৃতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে সমর্থনের মাত্রাও বাড়িয়েছে। বর্তমানে চীন সরকার এবং শক্তিশালী প্রদেশ ও শহর শিল্প উন্নয়নের তহবিল স্থাপন করেছে। চীনের সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ও ইয়াং চিয়ান বলেন, সমর্থনের মাত্রা অব্যাহতভাবে বাড়বে। তিনি বলেন,
এসব শক্তিশালী প্রদেশ ও শহরকে সরকারের বিভিন্ন সমর্থনকারী নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। (লিলি)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |